ডাক ডেক্স : বিশ্বনাথ উপজেলার বুবরাজান প্রকাশিত পালেরচক গ্রামে জাল দলিল করে চাচাতো ভাইয়ের বাড়ি-জমি আত্নসাতের অভিযোগে যুক্তরাজ্য প্রবাসি ছইল মিয়া ও তার ছোট ভাই মনসুর মিয়ার বিরুদ্ধে বিশ্বনাথ থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে (মামলা নং-০৯ তারিখ ০৬/০৭/২০১৯ইং)। মামলাটি দায়ের করেছেন পালেরচক গ্রামের মৃত হাজি ইরশাদ আলীর পুত্র মো: জমির আলী।
গত (১জুলাই-২০১৯ইং) তারিখে জমির আলী সিলেটের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট ৩নং আমলী আদালতে অভিযোগ দায়ের করলে আদালত দন্ড বিধি ৪২০/৪৬৫/৪৬৬/৪৬৭/৪৬৮/৪৭১/৪০৬/১০৯ ধারা মোতাবেক মামলাটি রুজু করার জন্য বিশ্বনাথ থানার অফিসার ইনচার্জকে নির্দেশ প্রদান করেন। বাদি আদালতে তার অভিযোগে বলেন, বিশ্বনাথ উপজেলার বুবরাজান মৌজার জেএল নং-৬৩, খতিয়ান নং-১৯৭, দাগ নং-৯৯৭ দাগে .৩৩ একর ভুমির ২০৩ নং খতিয়ানে বিএস-১০০০ নং দাগে বাদির পিতা ইরশাদ আলীর নামে চুড়ান্তভাবে রেকর্ড প্রকাশিত হয়। কিন্তু বিবাদি ছইল মিয়া ও মনসুর আলী বিশ্বনাথ সাবরেজিষ্ট্রি অফিসের ২৫১০/৯৫ইং কাবালাটি সহকারি কমিশনার ভুমির নিকট দাখিল করে বাদি ও তার চাচার সমুদয় ভুমি বিবাদিগণের নামে নামজারি করে নেন। বাদি দলিলের নকল তুলে দেখতে পান যে, ২৫১০/৯৫ নং দলিলটি টেংরা প্রকাশিত চাঁনপুর গ্রামের মৃত হামিদুল্লাহর পুত্র মনতাজ আলী ও সুনাফর আলীর নামে রয়েছে। ভুমির মালিক বাদির পিতা বা চাচা বিবাদিগণের নিকট কোন দলিল সম্পাদক করে ভুমি বিক্রয় করেননি। চালাক চতুর আসামিগণ জাল দলিল সৃষ্টির মাধ্যমে প্রতারনা করে ভুমি আত্নসাৎ করেছেন।
এ ব্যাপারে মামলার তদন্তকারি কর্মকর্তা এসআই শফিক জানান, বিষয়টি তদন্ত চলছে। যেহেতু জালিয়াতি ও প্রতারনার মামলা সেহেতু কাগজ পত্রও যাচাই বাচাই করতে হবে।
অভিযুক্ত ছইল মিয়ার সাথে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, আমি নয় আমার একজন প্রতিনিধি এ কাজ করেছে। এটা নিজেদের মধ্যে ঘটেছে মিমাংশার চেষ্টা করব।