স্টাফ রির্পোটার:: সিলেট জেলা আওয়ামীলীগের অন্যতম সদস্য, সিনিয়র সাংবাদিক ও কলামিষ্ট এএইচএম ফিরোজ আলী বলেছেন, যে কোন থানার একজন অফিসার ইনচার্জ এর সদিচ্ছা ও মানবিক দৃষ্টি ভঙ্গি থাকলে সাধারণ মানুষ ন্যায় বিচার পেতে পারে। সাধারণ মানুষের আস্থা ও বিশ্বাস অর্জন করতে হলে পুলিশকে মানুষের সাথে সু-সর্ম্পক গড়ে তুলতে হবে। একমাত্র মানবিকতাই পুলিশের সুনাম বৃদ্ধি ও সমাজে শান্তি প্রতিষ্ঠা করা সম্ভব। তিনি বলেন, বিশ্বনাথ থানায় বিভিন্ন সময় কতিপয় পুলিশ অফিসারের নানা নেতিবাচক কর্মকান্ডের কারনে বিভিন্ন সমস্যার সৃষ্টি হয়েছে। কোন কোন পুলিশ অফিসার আওয়ামীলীগকে নিঃশেষ করারও চেষ্টা করেছেন। এক সময় যারা আওয়ামীলীগ ও বঙ্গবন্ধুর নাম বললে জিব্বাহ কাটার ঘোষণা দিয়ে ছিলেন, সেই সব সুবিধাবাদিরা আজ বড় আওয়ামীলীগার। দীর্ঘদিন আওয়ামীলীগের নেতাকর্মীরা চরম অত্যাচার নির্যাতনের শিকার হলেও কোন প্রতিশোধ নিতে চায়নি।
জবাবে বিশ্বনাথ থানার নবাগত অফিসার ইনচার্জ গাজী আতাউর রহমান বলেন, আওয়ামীলীগের ত্যাগী নেতাকর্মীরা দলের অমুল্য সম্পদ। তাদের ত্যাগের কারনেই প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সারা বিশ্ব বাংলাদেশের প্রশংসায় এখন পঞ্চমুখ। তাই ত্যাগী নেতাকর্মীদের মূল্যায়ন ও যতোপযুক্ত সম্মান দেখানো উচিত। সরকারের সাথে দলের নেতাকর্মীদের সু সর্ম্পকের মাধ্যমে সমাজের উন্নয়ন করা সহজ হয়। ওসি বলেন, অভিমান করে ঘরে বসে থাকলে চলবে না। আওয়ামীলীগ কর্মীকেই মাঠেই কাজ করে সরকারকে সহায়তা করতে হবে। প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা জীবনের ঝুকি নিয়ে বঙ্গবন্ধুর আদর্শ বাস্তবায়নে কাজ করছেন। তাই সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টাই এদেশের সাধারন মানুষের কল্যাণে কাজ করতে হবে।
৩০ মে রবিবার দুপুর ১২টায় বিশ্বনাথ থানার অফিসার ইনচার্জ এর কার্যালয়ে এক সৌজন্য সাক্ষাতে তারা এসব কথা বলেন।
এসময় উপস্থিত ছিলেন, বিশ্বনাথ উপজেলা আওয়ামীলীগের অন্যতম সদস্য আবুল কালাম, দৌলতপুর ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য আনোয়ার হোসেন ধন মিয়া, এসআই নুর হোসেন ও গোপেষ চন্দ্র দাশ প্রমুখ।