রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক উন্নয়নে আওয়ামীলীগ

Uncategorized
শেয়ার করুন

এ এইচ এম ফিরোজ আলী

আজ ২৩ জুন বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের ৭০তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী। বাংলাদেশ তথা এ উপমহাদেশের রাজনীতিতে এ দিনটির গুরুত্ব অপরিসীম। দিবসটি গুরুত্ব সহকারে পালণের জন্য আওয়ামীলীগ সারাদেশ ব্যাপী ব্যাপক কর্মসূচি গ্রহণ করেছে। ব্রিটিশ শাসনের অবসানের পর ১৯৪৭ সালে সাম্প্রদায়িক ও অবৈজ্ঞানিক দ্বি-জাতিতত্বের ভিত্তিতে প্রায় ২হাজার কিলোমিটার দূরত্বে অবস্থিত পৃথক দুটি ভূ-খন্ড নিয়ে পাকিস্তান রাষ্ট গঠিত হয়। ১৯৪৯ সালের ২৩ জুন ঢাকার টিকাটুলি এলাকার কেএম দাস লেনের রোজ গার্ডেনে (হুমায়ুন সাহেবের বাড়ি নামে পরিচিত) ঐতিহাসিক এ দলটির জন্ম হয়। এদিন মাওলানা ভাসানীকে সভাপতি, শামছুল হককে (টাঙ্গাইলের) সাধারণ সম্পাদক, জেলে থাকা অবস্থায় শেখ মুজিবুর রহমানকে যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক এবং আরেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক করা হয় খুুনি খন্দকার মোস্তাককে। নতুন এ দলটির জন্মের খবরে চরমভাবে ক্ষীপ্ত হয়ে ওঠে পাকিস্তানের শাসক গোষ্ঠি। তারা সোহরাওয়ার্দী ও ভাসানিকে ভারতীয় চর বলে আখ্যায়িত করে। ৪০ সদস্যের ঘোষিত ওয়ারকিং কমিটি পাকিস্তানের শাসকদের রক্ত চক্ষু উপেক্ষা করে তীব্র গতিতে দলটিকে জনগনের কাছে নিয়ে যেতে সক্ষম হন।

বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ দেশের শুধু প্রাচীন ও সর্ববৃহৎ রাজনৈতিক দল নয়, বরং দক্ষিণ এশিয়ার রাজনীতিতে একটি  বিশাল ও শক্তিশালী প্রতিষ্ঠান। পাকিস্তান সৃষ্টির ৪ মাস ২০ দিন পর ১৯৪৮ সালের ৪ জানুয়ারি তৎকালিন পূর্ব বাংলায় প্রথম সরকার বিরুধী ছাত্র সংগঠন ‘পূর্ব পাকিস্তান মুসলিম ছাত্রলীগ, আত্ম-প্রকাশ করে। তেজোদ্দীপ্ত তরুণ সংগ্রামী নেতা শেখ মুজিবুর রহমানের প্রেরণায় সংগঠিত জাতীয় আন্দোলনের মূল ধারায় ঐতিহাসিক ভূমিকা পালণ করে এ ছাত্রলীগ। স্বাধীন বাংলাদেশের অভ্যূদয় ও বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের ইতিহাস একই সূত্রে গাঁথা। বঙ্গবন্ধু-বাংলাদেশ-আওয়ামীলীগ তিনটি শব্দের এক একটি সমার্থক তৎকালীন সময়ে পাকিস্তানের প্রকৃত অর্থেই প্রথম বিরুধী দল হিসেবে আত্নপ্রকাশ করে আওয়ামীলীগ। ১৯৪৯ থেকে ৫৪ সাল পর্যন্ত মুসলিমলীগ ছাড়া কার্যত আর কোন দলের অস্তিত ছিলনা। দলটির প্রতিষ্ঠাতাদের মধ্যে অনেকে আজ জীবিত নেই। শেরে বাংলা একে ফজলুল হক, হোসেইন শহীদ সোহরাওয়ারর্দী, মাওলানা আব্দুল হামিদ খান ভাসানি, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, শামসুল হক, তাজ উদ্দিন আহমদ, সৈয়দ নজরুল ইসলাম, ক্যাপটেন এম মনসুর আলী, কামারুজ্জমানসহ আরো অনেকে। প্রবল সাম্প্রদায়িক সহিংসতার কবলে পড়ে হিন্দুদের ব্যাপকভাবে দেশ ত্যাগের পরিণতিতে অসাম্প্রদায়িক দলগুলোর শূন্যতার পরিপেক্ষিতে আওয়ামীলীগকে এ দায়িত্ব গ্রহন করতে হয়। জন্ম লগ্নে দলটির নাম ছিল,‘পূর্ব পাকিস্তান আওয়ামী মুসলিমলীগ,। দলীয় মুলনীতিতে ধর্মনিরপেক্ষতা গ্রহনের মাধ্যমে ১৯৫৫ সালে অসাম্প্রদায়িক রাজনৈতিক দল হিসেবে মুসলিম শব্দটি বাদ দিয়ে ‘পূর্ব পাকিস্তান আওয়ামীলীগ, নামকরণ করা হয়। ১৯৫৩ সালের ১৪-১৫ নভেম্বর ময়মনসিংহ শহরে অনুষ্ঠিত দলের বিশেষ কাউন্সিলে সাধারণ নির্বাচনে জোট গঠনের সিদ্দান্তের পর ১৯৫৪ সালের ১০মার্চ অনুষ্ঠিত নির্বাচনে ২৩৭টি আসনের মধ্যে ২২৭টি আসন পায় জাতীয়  তিন নেতা শেরে বাংলা একে ফজলুল হক, মাওলানা আব্দুল হামিদ খান ভাসানী ও হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দীর নেতৃত্বে গঠিত যুক্তফ্রন্ট। আওয়ামী মুসলিমলীগ একা পায় ১৪৩টি আসন। মাত্র ২৪ বছর বয়সে এ নির্বাচনে গোপালগঞ্জ আসন থেকে নির্বাচিত হন তরুণ নেতা শেখ মুজিবুর রহমান। এ নির্বাচনে পাকিস্তানের মুসলিমলীগের সূচনীয় পরাজয় হয়। বাঙালির অধিকার প্রতিষ্ঠায় সুকঠিন এক বাস্তবতার মুখোমুখি দাঁড়িয়ে বাঙালি নেতাদের দ্বারা প্রতিষ্ঠিত এ দলটি এখন এ দেশের মানুষের মাতৃসংগঠন।

১৯৫৫ সালে পূণরায় ভাসানীকে সভাপতি, বঙ্গবন্ধু সাধারণ সম্পাদক এবং অলি আহমদকে সাংগঠনিক সম্পাদক নতুন ওয়ার্কিং কমিটি গঠন করা হয়। ১৯৬৪ সালে আব্দুর রশিদ তর্কবাগিশকে সভাপতি এবং বঙ্গবন্ধুকে সাধারণ সম্পাদক করে কমিটি গঠনের পর আওয়ামীলীগের উপর নেমে আসে নির্যাতন। এ বছর সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা ও ১৯৬৫ সালে সংঘটিত পাক-ভারত যুদ্ধের বাস্তব অভিজ্ঞতার আলোকে ১৯৬৬ সালে ফেব্রুয়ারিতে আওয়ামীলীগের পক্ষ থেকে শেখ মুজিবুর রহমান বাঙালী জাতির মুক্তির সনদ ৬দফা কর্মসূচি পেশ করেন। শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে দ্রুত বেগে আন্দোলন ছড়িয়ে পড়ে। এতে ভীত সন্ত্রস্ত হয়ে পড়ে পাকিস্তান শাসক গোষ্ঠী। এবছর ৮মে মধ্যরাতে শেখ মুজিবুর রহমান, তাজ উদ্দিন আহমেদ, মিজানুর রহমান চৌধুরীকে গ্রেফতারসহ সমগ্র দেশব্যাপী বিপুল সংখ্যক আওয়ামীলীগ নেতাকর্মীদের গ্রেফতার করা হয়। এমনি এক পরিস্থিতিতে দীর্ঘ আন্দোলন ও সংগ্রামের পর ৭০ সালের নির্বাচনে আওয়ামীলীগ জনগনের রায় নিয়ে ১৯৭১ সালে ৩০ লাখ শহীদ আর তিন লাখ নারীর ইজ্জতের বিনিময়ে বাংলাদেশ স্বাধীন হয়। অগনিত শহীদদের আত্মদান লক্ষ লক্ষ নেতাকর্মী সমর্থকদের অপরিসীম দুঃখ বেদনা ত্যাগ তিতিক্ষা জেল জুলুম ইত্যাদির ফলে আওয়ামীলীগের প্রকৃত নেতাকর্মীরা ৭০ বছরের ইদিহাসে ইস্পাতুল্ল শক্তিতে পরিণত হয়েছে। ১৯২০ সালের ১৭ মার্চ থেকে ১৯৭৫ সালের ১৫ আগষ্ট পর্যন্ত ৫৫ বছর বয়সে বঙ্গবন্ধুর রাজনৈতিক জীবন ছিল ৩৭ বছর। মুক্তিযুদ্ধের পূর্বে ৩৩ বছর আর স্বাধীনতার পর মাত্র সাড়ে  ৩ বছর (১৩১৪ দিন)। এই সময়ের মধ্যে চল্লিশ শতাংশ সময় ছিলেন তিনি জেলে। আওয়ামীলীগ ছাত্রলীগের অগনিত নেতাকর্মীদের কারনে আঞ্চলিক নেতা থেকে জাতীর পিতা এবং বঙ্গবন্ধু উপাধিতে ভূষিত হয়েছেন শেখ মুজিব।

আওয়ামীলীগ ছীগরা চলনে-বলনে খুবই স্মার্ট। কড়া ইস্ত্রি করা ধব-ধবে সাদা পাঞ্জারির উপরে চক চকে মুজিবকোর্ট পরা হাইব্রিড দেখে অনেকই অবিভূত। আওয়ামীলীগের তৃণমুলের ছেড়া শাট, লুঙ্গি-গেঞ্জি পরা কর্মী দেখলে পছন্দ হয়না। তারা বাসায় নিয়ে রুই, কাতলা, কই মাছ, শাড়ি দিতে পারেনা। কারন এদের বাপ দাদা মুক্তিযুদ্ধে গিয়ে, আওয়ামীলীগ করে সব হারিয়েছেন। কর্মীদের মাথা গোজার ঠাই না থাকলেও নৌকার বাইরে ভোট দেয়া যাবেনা-এ নীতির কারনে কর্মীদের যতসব আপদ-বিপদ। ডিজিটাল বাংলাদেশের এই সময়ে এসব নোংরা চেহারার কর্মী দিয়ে দল চলবেনা। তাই হাইব্রিড স্মার্ট কর্মীর দরকার। কিন্তু কালো চেহারা হালকা গায়ে, ময়লা কাপড়ে অনাহারি আনস্মার্ট নেতাকর্মীরাই আওয়ামীলীগের লাইফ লাইন। বিপদের দিনে তারাই নৌকা পানিতে নয়-শুকনো মাটির উপর দিয়ে টেনে নিয়ে যেতে পারে। ক্ষমতার রঙ্গিন চশমা চোখে থাকায় এ গেয়ো (গ্রামের) আনস্মার্ট নেতাকর্মীদের বড় বেশি তুচ্ছ মনে হয়। এমন মনোভাব নিয়ে যারা সত্যিকার ত্যাগী নেতাকর্মীদের দূরে ঠেলে দিয়েছেন, তাঁদের দ্বিতীয়বার খায়েশ পুরণ হয়না। গণমাধ্যমের তথ্যমতে, আওয়ামীলীগের বিভিন্ন স্থরে ৩৫ থেকে ৪০ হাজার হাইব্রিড বা অনুপ্রবেশকারি সংগঠনের বিভিন্ন পদ পদবি দখল করে রয়েছেন। বিএনপির সাধারণ সম্পাদক, আওয়ামীলীগের সভাপতি, জেএমবি নেতা পেলেন আওয়ামীলীগের মনোনয়ন, আওয়ামীলীগ নেতার ভাতিজা শিবির ক্যাডারকে ছেড়ে দিল পুলিশ, ঢাকায় যুবদল নেতা আওয়ামীলীগে, লন্ডনে বিএনপি, দেশে আওয়ামীলীগ, বিএনপি নেতা পেলেন আওয়ামীলীগের মনোনয়ন, এমন শত শিরোনাম আছে গণমাধ্যমে। দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বার বার অনুপ্রবেশকারি কাউয়াদের পদ-পদবী না দিয়ে দল থেকে তাড়ানোর নির্দেশ দিয়েছেন। কিন্তু কোন কাজ হচ্ছেনা। দলের স্বার্থে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহন জরুরী। আর বিষয়টি দেখতে হবে একমাত্র প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে।

অনেক রাজনৈতিক প্রতিকূল পরিবেশ অতিক্রম করে ১৯৮১ সালে ১৪-১৬ ফেব্রুয়ারি ইডেন হোটেলে বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের ত্রয়োদশ জাতীয় কাউন্সিলে শেখ হাসিনাকে তাঁর অনুপস্থিতে সভাপতি নির্বাচিত করা হয়। এবছর ১৭মে শেখ হাসিনা ভারতের দিল্লী থেকে যেদিন বাংলাদেশের মাটিতে পা রাখেন, সেদিন দেখা গেছে আওয়ামীলীগের ত্যাগী কর্মীবাহিনীর জোয়ার। মেঘ বৃষ্টি, ঝড়, তুফান, বজ্রপাত উপেক্ষা করে দেশে প্রত্যন্ত অঞ্চল থেকে লাখ লাখ কর্মী ঢাকায় গিয়ে স্বাগত জানায় প্রিয়নেত্রী শেখ হাসিনাকে। ২০১৬ সালের ২৩ অক্টোবর আওয়মীলীগের ২০তম কাউন্সিলে শেখ হাসিনাকে পূণরায় সভাপতি নির্বাচিত করা হয়। সেদিন তিনি ৫০জন বিদেশি অতিথিদের সামনে ৪০মিনিটের বক্তব্যে বলেছিলেন, স্বাধীনতার মূল লক্ষ্য ছিল রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক মুক্তি। বঙ্গবন্ধু রাজনৈতিক মুক্তি দিলেও অর্থনৈতিক মুক্তি দিতে পারেননি ঘাতকদের কারণে। এখন অর্থনৈতিক মুক্তির পালা। তিনি দারিদ্রকে জাদুঘরে পাঠানোর ঘোষণা দেন। আজ বাস্তবে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নতি সাধিত হয়েছে। ৭০ দশকে এ ভূখন্ডে ৯৮ভাগ মানুষ দরিদ্র সীমার নিচে বাস করতেন। বর্তমানে ৩কোটি মানুষ দরিদ্র। এর মধ্যে ২ কোটি বিকলাঙ্গ কর্মহীন। এদের রাষ্ট্রীয় সহায়তা প্রদান করার কথা বলেছেন সাবেক অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আব্দুল মুহিত।


১৯৭২-৭৩ সালে বঙ্গবন্ধু সরকারের অর্থমন্ত্রী তাজ উদ্দীন আহমদ মাত্র ৭৮৬ কোটি টাকার বাজেট পেশ করেছিলেন। ২০১৯-২০অর্থবছরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ইতিহাসের সবচেয়ে বড় ৫লাখ ২৩হাজার ১৯০ কোটি টাকার বাজেট ঘোষণা করেছেন। ২০১৮-১৯ সালে ছিল ৪লাখ ৬৪হাজার ৫৭৩ কোটি টাকা। ২০১৫-১৬ অর্থবছরে ছিল ২২হাজার ৭৫০ কোটি টাকা। ২০১৩-১৪ অর্থবছরে ছিল ৬৫ হাজার ৮৭০ কোটি টাকা, ২০০৯-১০ অর্থবছরে ছিল ১৬ হাজার ৭০ কোটি টাকা। এভাবে ক্রমাগতভাবে বাজেট বেড়ে যাচ্ছে। ২০১৮-১৯ অর্থবছরে রপ্তানি আয় ৩হাজার ৫৪ কোটি ডলারের লক্ষ্যমাত্রা থাকলেও আয় হয়েছে ১১মাসে ৩হাজার ৭৫০ কোটি মার্কিন ডলার। চলতি বছর র‌্যামিটেন্স প্রাপ্তিতে রেকর্ড সৃষ্টি হয়েছে। প্রবৃদ্ধি এখন আটের ঘরে ছুই ছুই। এবছর বাজেটে প্রবৃদ্ধি ৮.২ নিধারন করা হয়েছে। পদ্মা সেতু সহ সরকারের মেগা প্রকল্পগুলোর কাজ দ্রুত এগিয়ে যাচ্ছে। সরকার ২০৩০ সালের মধ্যে ১০০টি অর্থনৈতিক অঞ্চল গড়ে তুলার কাজ করছেন। এতে ১ কোটি মানুষের কর্মসংস্থান সৃষ্টি হবে। শেখ হাসিনা ইতিহাসের সবচেয়ে বড় এবং বিস্তিৃত পরিকল্পনা ডেল্টা বা ব-দ্বীপ প্ল্যান ঘোষণা করেছেন। প্রায় শতবছর ব্যাপী এ প্ল্যানে বন্যা, নদী ভাঙ্গন, নদী শাসন, নদী ব্যবস্থাপনা, নগর ও গ্রামে পানি ও বর্জ্য ব্যবস্থাপনা সহ দীর্ঘ মেয়াদি দুর্যোগের ঝুঁিক মোকাবেলার কথা বলা হয়েছে। এসব কারণেই ওয়ার্ল্ড ইকোনমকি ফোরাম এশিয়ার অর্থনীতিতে বাংলাদেশকে ইমাজিন টাইগার আখ্যা দিয়ে বলেছে, মুক্তিযুদ্ধের সাড়ে চার দশক পর হলেও সঠিক নেতৃত্বে প্রমাণ করেছে বাংলাদেশ পারে। অর্থনৈতিক উন্নয়নে বাংলাদেশ এগিয়ে গেলেও সাংগঠনিক দিক দিয়ে বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ দুর্বল এবং আর্দশচ্যুত হচ্ছে। আসল-নকল দ্বন্ধে জর্জরিত দল। সুতারাং দেশের অর্থনৈতিক উন্নতির চেহারা পরিবর্তনের সাথে দলের সাংগঠনিক চেহারা পাল্টাতে হাইব্রিড মুক্ত আওয়ামীলীগ করতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকেই সবিনয়ে অনুরোধ করছি।
লেখক : কলামিস্ট ও বিশ্বনাথের ডাকের সম্পাদক

এ এইচ এম ফিরোজ আলী


শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *