বিশ্বনাথে মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক পীর লিয়াকত আর নেই : দাফন সম্পন্ন

Uncategorized
শেয়ার করুন

স্টাফ রিপোর্টার : বিশ্বনাথ উপজেলা ২নং খাজাঞ্চি ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক দু’বারের নির্বাচিত চেয়ারম্যান, ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাবেক সভাপতি, মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক, পীর মো: লিয়াকত হোসাইন আর নেই। ইন্নালিল্লাহি–রাজিউন। (৮ ডিসেম্বর) মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ১০টায় তিনির নিজ বাড়িতে ইন্তেকাল করেন। বাদ আছর হোসেনপুর গ্রামের পাশের মাঠে মরহুমের জানাজার নামাজ অনুষ্ঠিত হয়। জানাযার নামাজে ইমামতি করেন মরহুমের বড় ভাই মাওলানা সাজিদুর রহমান। জানাযা শেষে তার পারিবারিক করস্থানে দাফন করা হয়।

জানাযার নামাজে কয়েক হাজার লোক উপস্থিতি দেখা গেছে। জানাযার পূর্বে মরহুমের কর্মময় জীবনের স্মৃতিচারণ করে সংক্ষিপ্ত বক্তব্য রাখেন সিলেট ২ আসনের সাবেক সাংসদ শফিকুর রহমান চৌধুরী, অধ্যক্ষ সুজাত আলী রফিক, মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক ও মরহুমের সহচর বরইকান্দি ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান হাজী রইছ আলী, বিশ্বনাথ উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক ফারুক আহমদ, সৎপুর দারুল হাদিস আলিয়া মাদরাসার অধ্যক্ষ নোমান আহমদ, প্রাক্তন অধ্যক্ষ মাওলানা শফিকুর রহমান, লামাকাজি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান কবির হোসেন ধলা মিয়া, দৌলতপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আমীর আলী, কান্দিগাঁও ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো: নিজাম উদ্দিন, খাজাঞ্চী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান তালুকদার গিয়াস উদ্দি

অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, বিশ^নাথ উপজেলা আওয়ামীলীগের সাবেক যুগ্ম-সম্পাদক ও বিশিষ্ট কলামিষ্ট এ এইচ এম ফিরোজ আলী, যুক্তরাজ্য প্রবাসী, সিলেটের মাহবুব কমপ্লেক্সের সত্ত্বাধিকারী মাহবুবুর রহমান মাহবুব, রামপাশা ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান আনোয়ার খান, ছইফাগঞ্জ মাদরাসার অধ্যক্ষ মাওলানা মো: আব্দুর রউফ, আওয়ামীলীগ নেতা ডা: শানুর হোসাইন, অলংকারী ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক তফজ্জুল আলী, উপজেলা যুবলীগের যুগ্ম-আহবায়ক আলতাব হোসেন, খাজাঞ্চী ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি মো: আব্দুর নুর, সাধারণ সম্পাদক শংকর ধর সহ বিভিন্ন শ্রেণীপেশার ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন

মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৬৮বছর। তিনি স্ত্রী, ২ ছেলে, ৩ মেয়ে, আত্মীয়-স্বজনসহ অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেছেন। পীর মো: লিয়াকত হোসাইন অবহেলিত এলাকার শিক্ষার উন্নয়নে তার মাতার নামানুসারে আলহাজ্ব লজ্জিলাতুন্নেছা দ্বি-পাক্ষিক উচ্চ বিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠা করেন। তিনি বৃহত্তর সিলেটের একজন সালিশা ব্যক্তিত্ব ছিলেন। তিনি যে কোন বড় ধরণের সামাজিক সমস্যা সহজেই মীমাংশা করার দক্ষ ব্যক্তি ছিলেন। ১৯৭১ সালে বরইকান্দি ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান রইছ আলীকে আশ্রয় দেয়ার অভিযোগে রাজাকার ও পাক হানাদার বাহিনী তাকে গুলি করে হত্যার চেষ্টা করে। কিন্তু তিনি অল্পের জন্য প্রাণে রক্ষা পান। তবে চেয়ারম্যানের বাড়ীর একজন কর্মচারীকে গুলিকরে হত্যা করা হয়। তার ৩ ভাইকে গ্রেফতার করে নিয়ে পাকিস্তানিরা অমানুষিক নির্যাতন চালায়। মরহুম পীর লিয়াকত হোসেন আওয়ামীলীগের একজন বিশ্বস্থ লোক ছিলেন। তার মৃত্যুতে এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে। মঙ্গলবার সকালে তার মৃত্যুর খবর চর্তুদিকে ছড়িয়ে পড়লে শত শত নারী পুরুষ তাকে শেষ বারের মত দেখার জন্য তার বাড়ীতে ভীড় করেন। তার লাশ যখন বাড়ী থেকে বের করা হয়, তখন মানুষের কান্নায় আকাশ বাতাশ ভারি হয়েছিল। পীর লিয়াকতের মৃত্যুতে খাজাঞ্চী ইউনিয়নে যে শুণ্যতা সৃষ্টি হয়েছে, তা সহজে পূরণ হওয়ার নয়।


শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *