স্টাফ রিপোর্টার : সিলেটের বিশ্বনাথ উপজেলার রামপাশা ইউনিয়নের কাঠলি পাড়া গ্রামের ঋণ গ্রহীতা রাধা মালাকার, স্বাক্ষী তার ভাই রাখাল মালাকার ও মখলিসুর রহমান নামের ৩জনের ঋণ মওকুফের আশ্বাস দিয়েছেন ব্র্যাক ব্যাংকের উর্ধতন এক কর্মকর্তা। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন, বিশ্বনাথ ব্র্যাক ব্যাংকের কর্মকর্তা সাদিক আহমদ। গত ১১ নভেম্বর ২০২০ইং তারিখে বিশ্বনাথের ডাক ২৪ ডটকম অনলাইন পোটালে ‘‘বিশ্বনাথে ব্যাংক ঋণ গ্রহীতা রিখোঁজ : একজনের মৃত্যু-অপর জনের ৬মাসের কারাভোগ” শিরোনামে একটি সংবাদ প্রকাশিত হয়। সংবাদটি প্রকাশের পর দেশে বিদেশে চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়। ঋণ গ্রহনের পর ঋণ গ্রহীতা নিখোঁজ একজন স্বাক্ষীর মৃত্যু, অপর জনের ৬ মাসের কারাভোগের করুণ কাহিনী শুনে দেশ বিদেশে থাকা অনেকেই ফোনে এবং মেসেজ দিয়ে দু:খ প্রকাশ করেন।
এদিকে এই সংবাদের পর ব্র্যাক ব্যাংকের উর্ধতন কর্মকর্তাদের নজরে পড়ে এই করুণ কাহিনী। ফলে ১২ নভেম্বর ২০২০ইং বৃহস্পতিবার ব্র্যাক ব্যাংকের সিলেটের এক উর্ধতন কর্মকর্তা অলি উল্লাহ, বিশ্বনাথ ব্র্যাক ব্যাংকের কর্মকর্তা সাদেক হোসেনকে নিয়ে সরেজমিনে বৈরাগী বাজার এলাকায় যান। সেখানে তিনি স্থানীয় ব্যবসাযী ও কাঠলি পাড়া গ্রামের মানুষের সাথে কথা বলেন। তিনি ঋণ গ্রহীতা রাধা মালাকার নিখোঁজ কিনা এবং তার ভাই রাখাল মালাকারের মৃত্যু হয়েছে কিনা জানতে চান। এই ঋণের অপর স্বাক্ষী মখলিসুর রহমানের সাথে কথা বলে আশ্বাস দেন যে, এই ঋণের কারনে কেউ যাহাতে আত্নহত্যা না করেন। তিনি মখলিসুর রহমানকে আশ্বস্থ করে বলেন, ঋণের ব্যাপারে আর কোন চিন্তা করবেন না। উর্ধতন কর্মকর্তাদের সাথে আলোচনা করে আপনাদের ঋন মওকুফ করা হবে। এ ব্যাপারে ব্র্যাক ব্যাংক বিশ্বনাথ শাখার কর্মকর্তা সাদিক মিয়া ঘটনাস্থলে গিয়ে ঋণ মওকুফের আশ্বাসের কথা স্বীকার করেছেন।
উল্লেখ্য যে, ২০০৮ সালের ১৭ নভেম্বর ১৭% সুদে রাধা মালাকার ৬ লাখ ৫০ হাজার ৫৪৮ টাকা ঋন গ্রহণ করেন। পরবর্তীতে সুদসহ এই ঋণের পরিমান দাঁড়ায় ১৩ লাখ ৪৬ হাজার ২৬৪ টাকা। ব্যাংকের পক্ষে মামলা করা হলে কারাভোগের পর রাধা মালাকার নিখোঁজ হয়ে যায়। তার ভাই রাখাল মালাকার ঋণের ভয়ে মৃত্যুবরণ করে এবং অপর স্বাক্ষী মখলিসুর রহমান আত্নহত্যা করার জল্পনা কল্পনা করলে বিষয়টি এলাকায় ছড়িয়ে পড়ে এবং এই বিষয়টি জেনে বিশ্বনাথের ডাক ২৪ ডটকম এর পক্ষে সরজমিনে গিয়ে প্রতিবেদনটি প্রকাশ করা হয়েছিল।