শতবর্ষের দ্বীনি শিক্ষার আলো ছড়িয়েছে ফুলতলী বাদেদেওরাইল কামিল মাদরাসা

Uncategorized
শেয়ার করুন

মোহাম্মদ আবুল কালাম আজাদ : সিলেটের জকিগঞ্জ উপজেলার বাদেদেওরাইল ফুলতলী কামিল মাদরাসার শতবর্ষ পূর্তি অনুষ্ঠান ২০ ফেব্রুয়ারি। শতবর্ষ ধরে প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষার পাশাপাশি ইলমে দ্বীনের প্রচার ও প্রসারে ঐতিহাসিক ভূমিকা পালন করে যাচ্ছে বাংলাদেশের পূর্ব সিমান্তে অবস্থিত সিলেটের জকিগঞ্জে বাদেদেওরাইল ফুলতলী কামিল মাদরাস। জামানার মুজাদ্দেদ আল্লামা ফুলতলী ছাহেব কিবলাহ (রাহ.)’র পরশে ধন্য ঐতিহ্যবাহী এ প্রতিষ্ঠানটি সুশিক্ষা প্রতিষ্টায় অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে। যুগ যুগ ধরে আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাতের আকিদা বিশ্বাস প্রচার ও প্রসারে রয়েছে মাইলফলক অবদান। এই ইলমে নববীর অনন্য বাগানের যারাই শিক্ষার্থী ছিলেন, আছেন এবং হবেন নি:সন্দেহে তারা সুভাগ্যবান। আল্লাহ পাক বলেন: ‘আমি মানব জাতির জন্য যে সমস্ত দৃষ্টান্ত পেশ করি, তা একমাত্র আলেম (জ্ঞানী) ছাড়া অন্যরা বুঝতে পারে না।’ (সূরা: আনকাবুত-৪৩)। এই আলেম তৈরির কারখানা হচ্ছে মাদরাসা। ‘বাদেদেওরাইল ফুলতলী কামিল মাদরাসা’ শুধু নিজের বিকাশ নয়, বিকশিত করছে অগণিত মাদারাসাকেও।
২০০০ সালে আলিম পাশ করার পর ফাযিল ক্লাসে ভর্তির জন্য একটি মাদরাসায় গিয়েছিলাম। যে কোন কারণ বশত: সে দিন আর ভর্তি সম্ভব হয়নি। রাতে স্বপ্নে দেখি ভর্তি যেন হই ফুলতলী কামিল মাদারাসায়। মা-বাবার অনুমতি নিয়ে ফুলতলী কামিল মাদারাসায় ভর্তি হই। সিলেট থেকে গাড়িযোগে জকিগঞ্জ ফুলতলী ছাহেব বাড়ির দিকে যাচ্ছি। মনে বড় খুশি ক্ষনস্থায়ী জীবনের মূল্যবান একটি সময় শিক্ষা নিব জামানার মুজাদ্দিদ আল্লামা ফুলতলী ছাহেব কিবলাহ (রাহ.)’র পদধুলিতে ধন্য দেশ বিখ্যাত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে।
গাড়ি যতই এগিয়ে যাচ্ছে ততই চোঁখের সামনে ভেসে উঠছে উচু পাহাড় বেষ্টিত নয়নাবিরাম বাংলাদেশের সীমান্ত। গাড়িতে প্রত্যেক মহিলা যাত্রী বোরখা (পর্দা) পড়া অবস্থায়। জোহরের নামাজের সময় রাস্তার পাশে একটি মসজিদের সামনে গাড়িটি থামিয়ে চালক জানিয়ে দিল নামাজের বিরতী। যা অন্য কোথায় তা কল্পনাতীত! জকিগঞ্জ যে আলেম উলামা ও পীর মাশাখেয়দের জনপদ এটাই তার বড় প্রমান।
ভর্তি শেষে ছাত্রাবাসে যাওয়ার পর পুরাতন ভাইয়েরা নতুনদের স্বাগত জানাচ্ছেন। জীবনের স্মরণীয় হয়ে থাকেব- হোস্টেলের ফি প্রতি মাসে ১০০ টাকা। যারা প্রথম বিভাগে পাশ করে এখানে ভর্তি হবে তাদের জন্য এ সুবর্ণ সুযোগ ছিল। শিক্ষার্থীদের জন্য এ ধরণের সুযোগ আর কেথায় কখনো ছিল বা আছে বলে আমার জানা নেই। এই সুযোগ কখনো পরিশোধযোগ্য নহে?
প্রতিদিন নতুন অভিজ্ঞতার সাথে সাক্ষাত হতে লাগলো। সঠিক সময়ে ক্লাসে উপস্থিতির পাশপাশি পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ জামাতের সাথে আদায়ের কড়া নির্দেশ। বিশেষ করে ফজরের নামাজ জামাতে পড়ার পর সুরা ইয়াসিন পড়তেই হবেই। নতুবা কঠোর শাসনের সাথে দুপুরের খানাও বাতিল করা হতো। এ শাসনগুলো ছাত্রদের মধ্যে বিরাট পরিবর্তন এনে দিয়েছে। উস্তাদ মহোদয়গণের আখলাক, কথা বলার আদব, সুন্নাতের পাবন্দি হৃদয়কে সজিবতা সৃষ্টি করে। আজও কর্মক্ষেত্রে জীবন চলার পথে দিশারী হিসেবে ভূমিকা রাখছে।
১ম শ্রেণি থেকে কামিল (এম, এ) পর্যন্ত বাদেদেওরাইল ফুলতলী কামিল মাদরাস। স্বাভাবিকভাবেই এখান থেকে শিক্ষার্থীরা শিক্ষার পাশাপাশি নিত্য নতুন অনেক অভিজ্ঞতা অর্জন করছে। এর আগে দু’টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পড়ার সুভাগ্য হয়েছে। এখানে এসে নিজেকে পিছনের কাতারের শিক্ষার্থী মনে হলো। শিক্ষা দীক্ষা, আদব আখলাক, ভদ্রতা আচার আচরণ সবই ব্যতিক্রম। এখানের পরিবেশ জানিয়ে দিল ‘পরীক্ষায় শুধু পাশ করাই নয়, সিরতে-সুরতে ও শিক্ষায় প্রতিযোগিতামূলক’ হতেই হবে। এখানে রয়েছে সৌহার্দ, পরিস্কার পরিচ্ছন্ন ভালোবাসা, আন্তরিকতা ও পরকালীন ইনকামের চিন্তা চেতনা।
শিক্ষাথীরা শুধু অধ্যাবসায়ই নই, সাহিত্য সংস্কৃতিতেও তারা এগিয়ে। শিক্ষার্থীদের কবিতা প্রবন্ধ মাসিক দেয়ালকিা ‘আল মানার’সহ দৈনিক, মাসিক পত্রিকায় প্রকাশ হচ্ছে। আর এ জন্যই তো জকিগঞ্জ কবি সাহিত্যিকের বাজার বলা যায়।
উস্তাদগণের শিক্ষা দেয়ার পদ্ধতিগুলো আজও আমাদের পাথেয় হয়ে চলছে। লোভ মোহের উর্ধ্বে উঠে শিক্ষার্থীদের পিছনে নিরন্তর প্রচেষ্টা কথা লিখে শেষ করা যাবে না। বড় কিতাবগুলোর সব অংশ ক্লাসে পড়ানো সম্ভব নয়। দেশ বিখ্যাত উস্তাদ মহোদয়গণ ক্লাসের নির্ধারিত সময়ের পর রাতেও পাঠদান করতেন। শিক্ষার্থীদের সুন্নাতের পাবন্দি হওয়ার তাগিত যেন আজ আমাদের কাছে মনি মুক্তার মত মনে হচ্ছে। বিশেষত: হযরত আল্লামা ইমাদ উদ্দিন চৌধুরী, বড় ছাহেব কিবলা ফুলতলী (ফি হায়াতি ওয়া বারাকাতী)’র রাতের দরসে হাদিসের তালিম কামিল (এ,এম) ক্লাসের শিক্ষার্থীদের জন্য বড় নিয়ামক। যখনই হাদিস শরীফের দরস দিতেন যেন মনে হতো তিনি যেন রাসুলে পাক (সা:)’র কাছ থেকে হাদিসখানা শুনেছেন। তিনি বিশ্ব বিখ্যাত মুহাদ্দিসগণের ব্যাখ্যার পাশাপাশি বিখ্যাত কবিদের কবিতা (শের) উপস্থাপন করতেন। তালিমের মধ্যখানে চলতো তাহাজ্জুদের নামাজ। রাতের মনোমুগ্ধকর এই তালিমের স্মৃতি রাতের গভীরে হৃদয়ের মাঝে যখনই ভেসে উঠে তখনই মনে হয় যেন আবার ছুটে যাই সেই জ্ঞানের বাতিঘর ফুলতলী ছাহেব বাড়িতে। তালিমের এক রাতের কথা। হঠাৎ আমরা দেখি বড় ছাহেবের কাছে কে যেন এক জগ পানিয়ে নিয়ে এসে বলছেন: ফুলতলীর ছাহেব কিবলা (রাহ.) বলেছেন কামিলের ছাত্রদরেকে দিয়ে (দোয়া পড়ে) ফু দিয়ে দিতেন। তালিবুল ইলমের কতটুকু গুরুত্ব সে দিন একটু অনুমান করতে পারলাম।
মাদরাসার প্রিন্সিপাল হুযুর (অবসর) ছাহেবজাদা হযরত আল্লামা নজমুদ্দিন চৌধুরী (মুদ্দাজিল্লাহুল আলিয়া)-এর ক্লাস ছিল আকর্ষণীয়। তিনি একজন ইতিহাসবিদও। কঠিন বিষয়গুলো সহজ ও সাবলিল ভাষায় উপস্থাপন করতেন। তাঁর সহজ সরল জীবন যাপন। অপরিচিত কেউ দেখলে তা বিশ্বাস করবে না তিনি যে, কামিল মাদরাসার প্রিন্সিপাল ও উপমহাদেশের প্রখ্যাত ওলির দ্বিতীয় ছাহেবজাদা।
ছাত্রাবাসের অনেক স্মৃতি আজও নাড়া দেয়। জ্ঞান পিপাসু অগ্রজ ও অনুজদের মধ্যে মহব্বত, জ্ঞানমূলক কথাবার্তা আজও শিক্ষা দিয়ে যায়। ২০০১ সালের একরাতে প্রচন্ড ঝড় তুফান বয়ে যায়। গাছপালা লন্ডভন্ড হয়ে যায়। আল্লামা ফুলতলী ছাহেব কিবলাহ (রাহ.) পরদিন ভোরে ছাত্রাবাসের সামনে এসে শিক্ষার্থীদের খোঁজ খবর নিচ্ছেন। ছাত্রাবাস কর্তৃপক্ষকে কড়া নির্দেশ দিলেন- ‘তালবাদের যেন কোন সমস্যা না হয় সে দিকে খেয়াল রাখবেন।’
কামিল ক্লাসের শেষ দিকের সময়। এ সময় আল্লামা ফুলতলী ছাহেব কিবলাহ (রাহ.) অসুস্থ হয়ে পড়লেন। সকল শিক্ষার্থীদের মধ্যে অজানা আশংকা বিরাজ করলো ‘আমরা হয়তো ছাহেবের হাদিস শরীফের দরস থেকে বঞ্চিত হয়ে যাচ্ছি’। অবশেষে আল্লাহর রহমতে ছাহেব কিবলাহ অনেকটা সুস্থ হয়ে উঠলেন। কিন্তু হাদিসের দরস দেয়ার ব্যাপারে কোন আলামত না পেয়ে আমরা ছাহেবের বাংলায় জমায়েত হলাম। সেক্রেটারী সাহেব জানিয়ে দিলেন ছাব অসুস্থ দরস দেয়া সম্ভব নয়। ছাহেব কিবলাহ যখন খবর পেলেন কামিলের (হাদিস) শিক্ষার্থীরা হাদীস শরীফের দরস নিতে এসেছেন। তিনি কোন ওযর পেশ না করে তাশরিফ আনলেন এবং বললেন তালাবাদের বলে দাও আমি এখন দরস দিব। ভক্ত মুরিদানদের বলে দিলেন দরস শেষে দেখা হবে। আমরা হাদিস শরীফ নিয়ে বাংলায় বসে পড়লাম। সকাল ১১টার দিকে শুরু হয়ে প্রায় জোহরের নামাজের পূর্ব পর্যন্ত বিরতীহিনভাবে চললো হাদিস শরীফের দরস। মাঝে মাঝে কঠিন ও জটিল বিষয়ের ব্যাখ্যাও দিচ্ছেন। সকল ছাত্রদের কাছ থেকে ১/২ টা করে হাদিস শরীফের এবারত পড়াও শুনলেন। শিক্ষার্থীদের পাশাপাশি উস্তাদগণ দরসে অংশ গ্রহন করেন। আমরা এমন একজন যুগশ্রেষ্ট মুহাদ্দিস ও কামিল ওলির কাছ থেকে তালিম নিচ্ছি, যার কাছ থেকে তালিম নিয়েছেন দেশ বিখ্যাত মুহাদ্দিসগণ। সৎপুর দারুল হাদিস কামিল মাদরাসায় হযরত আল্লামা ফুলতলী ছাহেব কিবলাহ (রাহ.)’র হাদিস শরীফের দরসের কথা শুনেছি আল্লামা রইছ উদ্দিন সৎপুরী মুহাদ্দিস ছাহেবের জবান থেকে এবং বিভিন্ন মাধ্যম থেকে। হাদিস শরীফের দরস চলাকালীন সময় শিক্ষার্থীগণ রাসুলে পাক (সা:) কে দেখার আবদার করে বসেন। সেই সুভাগ্যবান শিক্ষার্থীগণ দেখেও ছিলেন তাই।
যখন আমরা ছোট তখন অনেক বিপদগামী আলেমদের কাছ থেকে ফুলতলী ছাহেবের বিরুদ্ধে অনেক কথা বলতে শুনেছি। তখন বুঝতাম না, কোনটা সত্য আর কোনটা মিথ্যা। মুরব্বিদের দেখিছে তীব্র প্রতিবাদ করতে।
১৯৮৭ ইংরেজি অক্টোবরের ‘আগমন’ পত্রিকার (রেজি নং ডি/এ-৫৮৫) ৭ম বর্ষের ২য় সংখ্যায় জনৈক আলেমের বরাত দিয়ে ফুলতলী ছাহেবের বিরুদ্ধে অনেক কথা লিখেছে। এর মধ্যে তিনটি কথা কথা হচ্ছে, তিনি মাদরাসা ধ্বংসকারী, তিনি মুহাদ্দিস হবেন দূরের কথা নিজের নাম শুদ্ধ করে লিখতে পারেন না, অন্যের বই নিজের নামে লিখে ছাপাতেন!
সংবাদ প্রকাশের ৩২ বছর পর আজ আমরা কি দেখছি? শিক্ষিত সমাজ ওটা পড়ে হাসবে না ধিক্কার দিবে। ঐ সব প্রকৃত জ্ঞান বিবর্জিত ব্যক্তিদের ব্যাপারে কি সিদ্ধান্ত হবে আপনাদের উপর ছেড়ে দিলাম। ধান্দাবাজ আর মিথ্যাবাদীরাও প্রাণ রক্ষা করে কথা বলার চেষ্টা করে। কিন্তু ওরা এরচেয়েও নিকৃষ্ট মন মানসিকতার পরিচয় দিয়েছে।
সকলের জানা প্রয়োজন, ফুলতলীর ছাহেব কিবলাহ (রাহ.) প্রায় ৭২ বছর হাদিস শরীফের দরস দিয়েছেন। ফুলতলী ছাহেবের হাদিস শরীফের দুইজন উস্তাদ ছিলেন হযরত মাওলানা খলিলুল্লাহ রামপুরী (রাহ.) ও হযরত মাওলানা ওজীহ উদ্দীন রামপুরী (রাহ.)। যারা যুগশ্রেষ্ট ও সমাদৃত মুহাদ্দিস ছিলেন। ফুলতলী ছাহেব কিবলাহ (রাহ.) অসংখ্য মূল্যবান কিতাব রচনা করেছেন। বাংলাদেশসহ বর্হিবিশ্বে অগণিত মসজিদ-মাদরাসা প্রতিষ্ঠা করেন। তিনি বদরপুর আলিয়া মাদরাসা, গাছবাড়ী কামিল মাদরাসা, সৎপুর কামিল মাদরাসা, ইছামতি কামিল মাদরাসা ও ফুলতলী কামিল মাদরাসায় সুনামের সাথে হদিস শরীফের দরস দিয়ে গেছেন।
ওদের কেউ যদি সেদিনের লেখা আজ বের করে পড়ে তাহলে সে নিজেকে মিথ্যাবাদী ও পাপী বলে ধিক্কার দেয়া ছাড়া আর কোন পথ খোঁজে পাবে না।
আমরা মনে করছি, যারা এসব মিথ্যাচার করেছে ওরা ফুলতলী ছাহেবের লিখিত কিতাব পড়ার যোগ্যতা রাখে না। ফুলতলী ছাহেব যে সব কামিল মাদরাসায় অধ্যাপনা করেছেন, ওরা ঐসব মাদরাসার ছাত্র হওয়ার যোগ্যতাও নেই। এসব মিথ্যাচার তো ওদেরই মূখে শোভা পায় যারা মাদরাসা (বিদ্যালয়) কে জামেয়া (বিশ্ববিদ্যালয়ের) বলে।
ফুলতলী কামিল মাদরাসার শিক্ষার্থী তারাই সুভাগ্যবান। এ মাদরাসার ছাত্ররা দেখতে পাচ্ছে দেশ বিখ্যাত আলেম উলামা রাজনীতিবিদ ও বিশ্ব বরেন্য জ্ঞানী গুনিদের। যা অন্য মাদরাসার বেলায় সম্ভব নয়। ছাহেব কিবলাহর কাছ থেকে আধ্যাতিকতার সবক নিতে আমরা দেখেছি। দুর্ভাগ্য সে ক্লাসের শিক্ষার্থী হতে পারলাম না! জ্ঞানের রাজ্যে গিয়েছিলাম, দেখলাম আলেম আর ইলিম। কিন্তু বহন করে নিয়ে আসার বাহনটা সুবিধাজনক না হওয়ায় কিছু নিয়ে আসতাম পারলাম না।
বাংলাদেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে জ্ঞান পিপাসু বন্ধুরা জমায়েত হয়েছিলন জ্ঞানের বাতিঘর বাদেদেওরাইল ফুলতলী কামিল মাদরাসায়। প্রকৃতির নিয়মানুযায়ি সহপাঠীদের মাঝে বিদায়ের করুন সুর বাজতে লাগলো। একে একে যার যার গন্তব্যস্থলে চলে গেলাম। কে কোথায় আছেন সবার খবর জানি না। আজও মনে পড়ে ১৬ বছরের পূর্বের কথা প্রিয় মাদরাসার সম্মানীত উস্তাদদের তালিম ও বন্ধুদের একসাথে উঠাবসা আর গল্পের কথা। আর কোন দিন এক সাথে পাবো না প্রিয় বিদ্যাপীঠের মুখরিত বন্ধুদের। আল্লাহ পাক সকলকে যেন দেশ ও ধর্মের জন্য নিবেদিত হওয়ার তৌফিক দেন। আমিন।
লেখক:
গ্রাম: হস্তিদুর, ডাক-তাজপুর, উপজেলা-ওসমানীনগর,সিলেট।
সাবেক ছাত্র, কামিল (হাদিস)-২০০৫ ইংরেজি, সাংবাদিক ও শিক্ষক, সহ সাধারণ সম্পাদক, ওসমানীনগর সিলেট।


শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *