বিশেষ সম্পাদর্কীয়

Uncategorized
শেয়ার করুন

১৯২০ সাল থেকে ২০২০ সাল। হাজার বছরের শ্রেষ্ট বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মের শতবর্ষে পদার্পন করেছি আমরা। আজ ২০২০ সালের পহেলা জানুয়ারি। বঙ্গবন্ধুর জন্মের শতবর্ষের প্রথম দিন। শুভ এ দিনে শুভক্ষনে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব, তাঁর পরিবারের অন্যান্য সকল সদস্য ও শিশু পুত্র শেখ রাসেল , জাতীয় চার নেতা ৩০ লাখ শহীদ ও ৩ লাখ ইজ্জত হারানো মা-বোনদের জানাই বিন¤্র শ্রদ্ধা ও ভালভাসা। যে সকল মুক্তিযোদ্ধা ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসি বেঁচে থাকা জাতির শ্রেষ্ট সন্তানদের ‘বিশ্বনাথের ডাক ২৪ ডটকম’ পরিবারের পক্ষ থেকে লাল গোলাপ শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন, শুভ নববর্ষ।
আমাদের স্বাধীনতা, বঙ্গবন্ধু, মুক্তিযুদ্ধ ও বাংলাদেশ এ শব্দগুলো একই সূত্রে গাঁথা। মুক্তিযুদ্ধ ও বাংলাদেশের ইতিহাস বঙ্গবন্ধুকে বাদ দিয়ে লেখার কোন সুযোগ নেই। ইতিহাস বঙ্গবন্ধুকে সৃষ্টি করেনি। বঙ্গবন্ধু নিজেই ইতিহাস সৃষ্টি করেছেন। গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ার শেখ লুৎফুর রহমান ও শাহারা খাতুনের পুত্র ছোট খোকা ১৯২০ সালের ১৭ মার্চ টুঙ্গিপাড়ায় জন্ম গ্রহন করেন। তিনি তাঁর আপন মহিমায় তিলে তিলে হয়ে গেলেন বাঙালি জাতির পিতা ও বাংলাদেশের প্রতিষ্টাতা। তিনি হলেন স্বাধীন বাংলাদেশের স্থপতি। পৃথিবীর শ্রেষ্ট গণমাধ্যম বিবিসির জরিপে বঙ্গবন্ধুকে হাজার বছরের শ্রেষ্ট বাঙালি হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে। কিউবার প্রেসিডেন্ট ফিদেল কাস্ত্রো বঙ্গবন্ধুকে হিমালয়ের সাথে তুলনা করে বিশ্বে আলোড়ন সৃষ্টি করেছিলেন। পাকিস্তানিরা বঙ্গবন্ধুর সামনে কোন দিন দাঁড়াতে বা সাহস করে কথা বলতে পারেনি। তিনি ছিলেন পাকিস্তানের আতঙ্ক। তাঁর তর্জনি সাতকোটি বাঙালিকে যুদ্ধের জন্য প্রস্তুতি করে ছিলো। বঙ্গবন্ধুর বজ্রকন্ঠ আজো পৃথিবীর আকাশে বাঁতাসে ঢেউ তুলে দিচ্ছে। কিন্তু কতিপয় নিমক হারাম বাঙালি ১৯৭৫ সালের ১৫ আগষ্ট জাতির পিতাকে স্বপরিবারে হত্যার করল। শুধু তাই নয় তাঁরা ছেয়েছিল বাঙালি জাতিকে নিমূল করতে। জেলের অভ্যন্তরে জাতীয় চার নেতাকে হত্যা করে বাঙালিকে আরো কলঙ্কিত করেছে। দেশি বিদেশি ষড়যন্ত্রকারিদের কারনে স্বাধীন বাংলাদেশ বঙ্গবন্ধুর মৃত্যুর পর অনেক পিছিয়ে যায়। স্বৈরশাসকরা স্বাধীন বাংলাদেশের ইতিহাস থেকে বঙ্গবন্ধুকে মুছে ফেলার বার বার চেষ্টা করেছে। কিন্তু ইতিহাস তার আপন গতিতে টিকে আছে।
বঙ্গবন্ধুর রক্তের উত্তরাধীকার জননেত্রী শেখ হাসিনা ১৯৮১ সালের ১৭ মে বিদেশ থেকে ফিরে এসে বাঙালি জাতির মুক্তির জন্য হাল ধরেন। তাঁকেও ২১ বার হত্যা করার চেষ্টা করা হয়েছে । ১৯৯৬ সালের ১২ ই জুনের নির্বাচনে বিজয়ী হয়ে শেখ হাসিনা ২৩ জুন সরকার গঠন করে বাংলাদেশের রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক, সামাজিক উন্নয়নের যাত্রা শুরু করেন। জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও জাতীয় চার নেতা হত্যার বিচার, ভারতের সাথে স্থল সীমানা চুক্তি, পারবত্য চট্টগ্রামে শান্তিচুক্তি, মিয়ান মারের সাথে সমুদ্র সীমানা প্রাপ্তি, জঙ্গীবাদ, সন্ত্রাসবাদ দমন, জলবায়ু পরিবর্তনের ঝুকি মোকাবেলায় অগ্রগতি, মাতৃ মৃত্যু, শিশু মৃত্যু রোধ, মানুষের গড় আয়ু বৃদ্ধি সহ অর্থনৈতিক উন্নয়ন তথা সমৃদ্ধির পথে বাংলাদেশকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন। শেখ হাসিনার দক্ষ নেতৃত্বে বিশ্বে বাংলাদেশ এখন উন্নয়নের রোল মডেল।
২০১৯ সালে সরকার প্রধান হিসেবে শেখ হাসিনা জাতির জনকের শতবর্ষ পূর্তী পালনের ঘোষনা দেন। এ ঘোষনায় মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসি দেশপ্রেমিক জনতা বঙ্গবন্ধুর শত জন্ম বাষির্কী পালনের পূর্ব প্রস্তুতি গ্রহণ করেছেন। আমরা জাতির জনকের শত জন্ম বাষির্কী বিপুল উৎসাহ উদ্দিপনা এবং ঝাঁকজমকপূর্ণভাবে পালন করতে চাই। বঙ্গবন্ধু তাঁর সারা জীবন বাঙালি জাতির রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক মুক্তির জন্য ফাঁসির মঞ্চ পর্যন্ত গিয়েছেন। কিন্তু তাঁর বাঙালির মুক্তির অবস্থান থেকে এক চুলও নড়েননি। আমরা আশা করছি ২০২০ সাল যেমন বাংলাদেশ বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলায় পরিণত হওয়ার পথে এগিয়ে যাবে, ঠিক তেমনিভাবে বঙ্গবন্ধুর শতবর্ষ পূর্তী পালন করে এদেশের নতুন প্রজন্ম বঙ্গবন্ধুকে জানবে, চিনবে, মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসি হবে এবং অসম্প্রদায়িক বাংলাদেশ গড়ার প্রত্যয় বুকে ধারণ করে উন্নত সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গঠনে নিজেকে আতœনিয়োগ করবে। এ প্রত্যাশায় নতুন প্রজন্মের কাছে লেখাটি উৎর্গ করে দেয়া হলো। এগিয়ে যাক বাংলাদেশ, সু প্রভাত বাংলাদেশ, স্যালোট বাংলাদেশ, চিরজীবি হউক বাংলাদেশ।


শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *