ডাক ডেক্স : বিশ্বনাথ উপজেলার ৩নং অলংকারি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নাজমুল ইসলাম রুহেলের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজি প্রতারনা, অর্থ আত্নসাৎ, নাশকতা সহ বিভিন্ন ধরনের অভিযোগ রয়েছে। গত ৬ আগষ্ট বটতলা গ্রামের রুকন মিয়াজির দায়েরী চাঁদাবাজির মামলায় মহামান্য হাইকোর্ট থেকে জামিন গ্রহন করেছেন মর্মে প্রচার করলেও এ পর্যন্ত তিনি নিম্ন আদালতে হাজির বা বেইলবন্ড দাখিল করেননি। হাই কোর্টের ৬ আগষ্টের তালিকায় টেন্ডার নং ৫৫১৩৭ মামলাটি চেয়ারম্যান নাজমুল ইসলাম রুহেলের নাম উল্লেখ থাকলেও জামিন হয়েছে কিনা তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি। তবে একজন আইনজীবির প্যাডে একটি প্রত্যয়ন পত্রে ৬ মাসের জামিন পেয়েছেন মর্মে উল্লেখ করা হয়েছে। ইতিমধ্যে পনাউল্লা বাজারে জাল দলিলের মাধ্যমে যুক্তরাজ্য প্রবাসি হারুন মিয়ার দোকান ঘরটি হারুনের ভাই তুরন মিয়ার নিকট বিক্রি করে দিয়েছেন বলে অভিযোগ রয়েছে।
চেয়ারম্যান রুহেল নিজেকে পনাউল্লা বাজারের সেক্রেটারি ও দোকান ঘরের মালিক দাবি করে নিজেই দলিল সম্পাদন করেন। কিন্তু সরকারি বিধি বিধান মতে কোন চেয়ারম্যান বাজার কমিটির সেক্রেটারি হওয়ার কোন সুযোগ নেই। তার বিরুদ্ধে উপজেলা পরিষদে অগ্নিসংযোগসহ নাশকতার অভিযোগ রয়েছে। বিশ্বনাথ (মামলা নং-৪ তারিখ ০২/০৮/২০১৯ইং, বিশ্বনাথ থানা মামরা নং-১৭, তারিখ ২৫/০৪/২০১২ইং, বিশ্বনাথ থানা মামলা নং-০১, তারিখ ০১/০৯/২০১৪ইং, বিশ্বনাথ থানা মামলা নং-১৬ তারিখ ২৩/০৪/২০১২ইং, বিশ্বনাথ থানা মামলা নং-৫, তারিখ ১৪/০১/২০০৯ইং সহ আরো অনেক মামলা রয়েছে। তবে ইতিমধ্যে অনেক মামলায় স্বাক্ষী প্রমানের অভাবে তিনি খালাসও পেয়েছেন। ইউনিয়নের একজন গ্রাম পুলিশের বিরুদ্ধে টাকা চুরির মামলাও করেছিলেন।
সুলতানা বেগম নামের একজন মহিলার কাবিনের টাকা আতœসাতের দায়ে চেয়ারম্যান রুহেল সহ ৫ জনের বিরুদ্ধে আদালতে একটি মামলাও দায়ের হয়েছে (সিআর মামলা নং-২৯৫/২০১৭)। চেয়ারম্যান রুহেল এখন তার ইউনিয়নে একজন জনসেবকের পরিবর্তে ত্রাস হিসেবে পরিচিতি লাভ করেছেন। স্থানীয় জন সাধারণের অভিযোগ বিভিন্ন কাজে তার বাড়ি ও ইউনিয়ন কার্যালয়ে গেলে তাকে খোজে পাওয়া যায়না।