বিশ্বনাথে হাতি দিয়ে চাঁদাবাজি : অতিষ্ট ব্যবসায়ী-পথচারি

Uncategorized
শেয়ার করুন

আব্দুস সালাম : সিলেটের বিশ্বনাথ উপজেলা সদরে প্রায়ই চলে হাতি দিয়ে চাঁদাবাজি। এমন চাঁদাবাজির কারণে অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে গাড়ি চালক পথচারী ও সাধারণ ব্যবসায়ীসহ এলাকার জনসাধারণ। হাটবাজার রাস্তা-ঘাটে খোঁজ নিয়ে ব্যবসায়ী ও সংশ্লিষ্টদের কাছে হাতির চাঁদাবাজির কথা জানা যায়। শুধু হাট বাজার নয় বিশ্বনাথ সিলেট রশিদপুর মহা-সড়ক সহ যত্রতত্র যানবাহন থামিয়ে দাঁড় করিয়ে টাকা আদায়ের কারণে বিড়ম্বনায় পড়েছেন পথচারিরা। হাতি শুঁড় দিয়ে মানুষ ও যানবাহন থামানোর কারণে ভুক্তভোগীরা ভয়ে ও ইচ্ছার বিরুদ্ধে টাকা দিতে বাধ্য হচ্ছেন।
(৩ডিসেম্বর) মঙ্গলবার, বিশ্বনাথ নতুন বাজার, পুরাতন বাজার ও বিশ্বনাথ রশিদপুর সিলেট মহাসড়কে হাতি দিয়ে চাঁদাবজির এমন দৃশ্য সবার নজরে পড়ে।
সরেজমিনে দেখা যায়, সকাল ১০ টার দিকে বিশ্বনাথ সদরস্থ রামপাশা রোডে বড় আকৃতির একটি হাতি। পিঠে বসে আছে ৩০ থেকে ৩২ বছর বয়সের এক যুবক। যিনি হাতির মালিক দাবিদার। পিচ ঢালা রাস্তায় চলাচলকারী বিভিন্ন যানবাহনের পাশাপাশি মালিককে পিঠে নিয়ে হেলে দুলে রাস্তার মধ্যখান দিয়ে চলছে হাতি। রাস্তার পাশে ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের মালিককে সুঁড় উঁচু করে জানাচ্ছে সালাম। এছাড়া হাতি রাস্তায় যানবাহন থামিয়ে দেওয়ায় দুর্ভোগের শিকার হন সাধারণ মানুষ।
আব্দুর রহিম কামালি নামের এক পথচারি জানান, হাতিকে কমপক্ষে ১০ টাকা করে দিতে হয়, কারণ ১০ টাকা না দিলে হাতি শুঁড় দিয়ে চেপে ধরে। ১০ টাকার কম দিলে তা গ্রহণ করে না। নূন্যতম ১০ টাকা দিলে হাতিটি পিঠে বসে থাকা মালিককে শুঁড় উঁচিয়ে টাকা দিয়ে রেহাই নিতে হয়।
বিশ্বনাথ নতুন বাজার ব্যবসায়ী মাওলানা আহমদ আলী হেলালি জানান, হাতি দোকানের সামনে এসে দাঁড়ালে ক্রেতারা ভয়ে দোকানে ঢুকতে সাহস পায় না। বিড়ম্বনা এড়াতে দোকান মালিকরা বাধ্য হয়ে টাকা দিতে হয়। যাতে হাতি তাড়াতাড়ি দোকানের সামনে থেকে চলে যায়। অপরদিকে সড়কে চলাচলকারী যানবাহন থামিয়েও টাকা আদায় করছে হাতি। সবারই অভিযোগ ১০ টাকার কম দিলে ওই টাকা না নিয়ে দাঁড়িয়ে থাকে হাতি।
এভাবে প্রতিদিন বিভিন্ন হাট বাজার বা রাস্তা ঘাটে একটি হাতি প্রায় ২/৩ হাজার টাকা আয় করে থাকে। এটা একটা ঠান্ডা মাথার চাঁদাবাজি বলে মনে করছে জনসাধারণ।
হাতি পরিচালনাকারীর সাথে কথা হলে সে জানায়, বিভিন্ন এলাকা থেকে হাতির খাবারের জন্য কিছু টাকা তোলা হয়। তবে কাউকে জোর করে টাকা আদায় করা হয় না। লোকজন স্বেচ্ছায় যা দেয়, তা’ই নেওয়া হয়।


শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *