বিশ্বনাথে সিএনজি অটোরিক্সা চালকের করোনা সনাক্ত

Uncategorized
শেয়ার করুন

স্টাফ রিপোর্টার : বিশ্বনাথে টিপু দাস (২৬) নামের এক সিএনজি অটোরিক্সা চালকের করোনা পজেটিভ পাওয়া গেছে। তিনি উপজেলার সদর ইউনয়নের ইলিমপুর গ্রামের মৃত ভানু লাল দাসের ছেলে। বুধবার সকালে সিলেট ওসমানী হাসপাতাল থেকে টিপু’র করোনা পজেটিভ রিপোর্ট আসে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. আবদুর রহমান। এনিয়ে বিশ্বনাথ উপজেলায় করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ৪৭ জন।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, টিপু দীর্ঘদিন যাবৎ বিশ্বনাথ-রশিদপুর (থানার সামন থেকে) সড়কে সিএনজি অটো-রিক্সা চালায়। করোনাকালেও সে সিএনজি চালিয়ে আসছিল। নভেল করোনার উপসর্গ নিয়ে গত ২ জুন পরীক্ষার জন্য নমুনা দিলে সপ্তাহদিন পরে রিপোর্ট আসে তার করোনা পজিটিভ।
সচেতন সমাজের ব্যক্তিরা বলছেন, এই সিএনজি দ্বারা উপজেলার বিভিন্ন এলাকার মানুষ গাদাগাদি করে যাতায়াত করেছেন। এমতাবস্থায় অনেকের মধ্যে করোনা ছড়াতে পারে। এমনকি তার সংস্পর্শে থাকা অন্যান্য সিএনজি চালকের করোনা হওয়া স্বাভাবিক। এতে এলাকার জনসাধারণ উদ্দিগ্ন রয়েছেন। এই মুহুর্তে বিশ্বনাথ-রশিদপুর সড়কের সকল সিএনজি চালকেদের নমুনা পরীক্ষা করা উচিত বলে মনে করেন।
টিপু করোনা আক্রান্ত হওয়ার সত্যতা জানিয়ে বিশ্বনাথ উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. আবদুর রহমান বলেন, এনিয়ে উপজেলায় মোট করোনা আক্রান্ত সংখ্যা দাঁড়ালো ৪৭ জনে। অপ্রয়োজনে ঘর থেকে বের হবেন না। ঘরে থাকুন নিরাপদ থাকুন। স্বাস্থ্যবিধি মেনে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখলে দ্রুত করোনা সংক্রমণ প্রতিরোধ করা সম্ভব হবে।
উল্লেখ্য, বিশ্বনাথে গত ৩ মে উপজেলার ঘুড়াইল গ্রামের অন্তসত্তা এক নারী প্রথম করোনা রোগী শনাক্ত হন। এর পরে এক ডাক্তার, দুই শিশু, আটত্রিশ পুলিশ সদস্য, এক জনস্বাস্থ্য প্রকৌশলী ও নয় জন সাধারণসহ মোট ৪৭জন কোভিট-১৯ শনাক্ত করা হয়েছে। এদের মধ্যে সুস্থ্য হয়েছেন ১৬জন। বুধবার শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত উপজেলায় ৩৬৯ জনের নমুনা সংগ্রহ করে ৩৩৩ জনের ফলাফল পাওয়া গেছে।


শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *