নিজস্ব প্রতিবেদক: সিলেটের বিশ্বনাথ উপজেলার চাউলধনী হাওরের আন্দোলনরত কৃষকদের উপর একটি সাজানো মামলা দায়ের করা হয়েছে। এ নিয়ে এলাকার কৃষকদের মধ্যে চরম ক্ষোভ ও উত্তেজনা বিরাজ করছে। মামলাটি দায়ের করেছেন দশঘর নোয়াগাঁও (ঘাগুটিয়া) গ্রামের মৃত আব্দুল জব্বারে পুত্র আব্দুল জলিল। মামলার অভিযোগে তিনি উল্লেখ করেন, দশঘর মৎস্যজীবি সমবায় সমিতির একজন সদস্য বটে। গত ২৪ ডিসেম্বর আসামী আবুল কালাম, বাবুল মিয়া ও আব্দুল মজিদ মেম্বারের নেতৃত্বে ৫০/৬০জন লোক মৌখালী বিলে পানি সেচ দিয়ে প্রায় ৫লক্ষ টাকার মাছ লুট করে নিয়েছেন। টস লাইটের আলোতে তিনি আসামীদেরকে চিনতে পেরেছেন। এমন অভিযোগ এনে বাংলাদেশ দন্ডবিধি আইনের ১৪৩/৪৪৭/৩৭৯/৫০৬ ধারা মতে ৬জনকে অভিযুক্ত করে এবং ৫০/৬০জনকে অজ্ঞাতনামা আসামী করে মামলাটি দায়ের করেন। তিনি দশঘর গ্রামের বাসিন্দা হলেও ঘটনাস্থল মৌখালী বিল প্রায় হাওরের ৪ কিলোমিটার উত্তরে চানপুর গ্রাম এলাকায় ঘটনাস্থল দেখিয়েছেন। মূলত লিজ বাতিলের দাবীতে আন্দোলনরত কৃষকদের হয়রানী এবং আন্দোলন থেকে বিরত রাখার জন্য এই ধরণের একটি সাজানো মিথ্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন স্থানীয়রা।
স্থানীয় জন সাধারণের অভিযোগ দশঘর মৎস্যজীবি সমিতির নামে জনৈক যুক্তরাজ্য প্রবাসী চাউলধনী হাওরের ১৭৮ একর জলাশয় ভাসমান মাছ ধরার লিজ এনে সাব লিজ দিয়ে কয়েক হাজার একর ভূমি দখলের চেষ্টায় লিপ্ত রয়েছেন এবং চলতি বছর হাওরের পানি সেচ দিয়ে সমস্ত জলাশয় শুকিয়ে দেওয়ায় ইরি ব্যুরো জমি ফেটে চৌচির হয়েছে।
কৃষকদের মতে প্রায় ৬ হাজার একর ভূমিতে চলতি বছর ফসল উৎপাদন করা যাচ্ছে না এতে প্রায় কয়েক কোটি টাকার ফসল উৎপাদন ব্যাহত হচ্ছে। কৃষকদের পক্ষে সরকারী খাস খতিয়ানের ভূমির সীমা চিহ্নিত করার জন্য প্রশাসনে আবেদন করা হয়েছে। লিজ ও সাবলিজ গ্রহীতারা জোরপূর্বক কৃষকের খাল বিল পুকুর থেকে মাছ ধরার পরও সাজানো মামলা দায়ের করায় উত্তেজনা বিরাজ করছে।
বিশ্বনাথ উপজেলা আওয়ামী লীগের কার্যকরীকরি কমিটির অন্যতম সদস্য আবুল কালাম, দৌলতপুর ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি আরিফুল্লাহ সিতাব, সাধারণ সম্পাদক আজিজুর রহমান আব্দুল জলিলের দায়েরি সাজানো মিথ্যা মামলার তীব্র নিন্দাও প্রতিবাদ জানিয়ে অভিলম্বে মামলা প্রত্যাহার এবং কৃষকদের হয়রানি থেকে রক্ষার জন্য প্রশাসনের প্রতি জোর দাবী জানিয়েছে।