বিশ্বনাথে কিশোরীর মৃত্যু নিয়ে রহস‌্যের সৃষ্টি

Uncategorized
শেয়ার করুন

বিশ্বনাথ প্রতিনিধি: সিলেটের বিশ্বনাথে এক কিশোরীর মৃত্যু নিয়ে রহস‌্যের সৃষ্টি হয়েছে। কিশোরীর নাম আমিনা বেগম (১৪)। সে উপজেলার সাতপাড়া গ্রামের আব্দুর রাজ্জাকের কন‌্যা। হত্যা না আত্মহত্যা এ নিয়ে এলাকায় ধুম্রজালের সৃষ্টি হয়েছে। কিন্তু অভিযোগ উঠেছে প্রেমের কারণেই বিষপানে তার মৃতু‌্য হয়েছে। তবে, গ্রামের লোকজন প্রেম ও বিষপানের বিষয় জানালেও আমিনার পরিবারের লোকজন বিষপানের বিষয়টিও অস্বীকার করেছেন।

ঘটনা গত ৮জুন শনিবারের হলেও ওই কিশোরীর মৃত্যু নিয়ে সপ্তাহ ধরে এলাকায় নানা গুঞ্জনসহ ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃস্টি হয়েছে। এ ঘটনায় পরদিন রোববার রাতে আমিনার ভাই আব্দুস সালাম থানায় অপমৃত্যু মামলা দায়ের করেছেন (মামলা নং ১৩/১৯ইং)।

সরেজমিন গ্রামে গিয়ে জানাগেছে, একই গ্রামের সমছুদ্দিনের মেঝো ছেলে শফিক মিয়ার কাছে আমিনার বড়বোন সেলিনার বিয়ে দেওয়া হয়। আত্মীয়তার সুবাদে শফিকের ছোটভাই রশিক আলীর সঙ্গে আমিনার প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে। এনিয়ে দু’পরিবারেই অশান্তি বিরাজ করে। পারিবারিকভাবে বিষয়টি মেনে নিতে না পারায় আমিনার ওপর চরম নির্যাতন করা হয়।

অবশেষে গত ৭জুন শুক্রবার বিকেলে প্রেমিক তালতোভাই রশিক আলীর উপস্থিতিতে দুই পরিবারের লোকজন মিলে বৈঠক করা হয়। ওই বৈঠকেও বিষয়টি সমাধান না হওয়ায় পরদিন শনিবার রাতে রহস্যজনকভাবে অ্যাপেন্ডিসাইটিসের ব্যাথার কথা বলে আমিনাকে সিলেট ওসমনাী হাসপাতালে নিয়ে যান তার মা সুনারুন বেগম, ভাই আবুল হাসনাত ও দুলাভাই শফিক মিয়া। হাসপতালে নেওয়ার পর কর্তব্যরত চিকিৎসকের সন্দেহ হলে পরিবারের সদস্যদের জিজ্ঞাসাবাদ করতে ডাকা হয়। এসময লাশ রেখেই তারা হাসপাতাল থেকে পালিয়ে যান।

পরবর্তিতে স্থানীয় চেয়ারম্যান আমির আলীর মাধ্যমে থানায় খবর দিলে থানার এসআই মিজানুর রহমান হাসপাতালে গিয়ে লাশের সুরতহাল রিপোর্ট তৈরী করেন। পরে ময়না তদন্ত শেষে রোববার রাতে আমিনার লাশ দাফন সম্পন্ন করা হয়।
গ্রামের মুরব্বি জমির আলী, হাবিবুর রহমান, হারুনুর রশীদ, সেবুল মিয়াসহ অনেকেরই দাবি নির্যাতনের কারণেই বিষপান করেছে।

মা সুনারুন বেগম, ভাই আব্দুস সালাম, আবুল হাসনাত তাদের বাড়িতে বৈঠক, প্রেম ও বিষপানের বিষয়টি অস্বীকার করেছেন। তাদের দাবি ওসমানী হাসপাতালের ডাক্তার না বুঝে অঝতা হয়রানি করতে লাশের ময়না তদন্ত করিয়েছেন।


শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *