স্টাফ রিপোর্টার : ভারত মহাসাগরের পূর্ব উপকূল থেকে ৮০০ কিলোমিটার দূরে মরিশাস দ্বীপটি অবস্থিত। এ দ্বীপটির আয়তন দুই হাজার চল্লিশ বর্গ কিলোমিটার। দ্বীপটিতে ডোডো নামক এক ধরনের পাখি ছিলো। পর্তুগিজ ভাষায় “ডোডো” শব্দের অর্থ হলো বোকা বা কম বুদ্ধিসম্পন্ন। ১৫০৭ সালে পর্তুগিজ নাবিকরা প্রথম মরিশাস দ্বীপে ডোডো নামক এক ধরনের এই বোকা পাখি দেখতে পায়। এই ডোডো পাখির নামকরণ করে পর্তুগিজরা। ডোডো পাখির আকার ছিলো বড় তার্কি পাখির (হাঁস জাতীয় বড় পাখির) মত। এদের ওজন উট পাখির কাছাকাছি। এসব পাখির ঠোঁট বড় এবং পা ও ডানা পাখির আকারের চেয়ে ছোট। ডানা ছোট হওয়ায় এবং ওজন বেশি থাকায় এসব পাখি উড়তে পারে না। পাখি বিজ্ঞানীরা বলেছেন একমাত্র মরিশাস দ্বীপেই এক সময় এই পাখি পাওয়া যেতো। ডোডো পাখি উড়তে না পারায় শত্রুরদের হাত থেকে নিজেদের রক্ষা করতে পারতো না। পর্তুগিজরা কুকুর বিড়াল নিয়ে এসব পাখি শিকার করতো। কুকুর বিড়াল এসব পাখির ডিম নস্ট করে ফেলতো। ফলে এ দ্বীপে ডোডো পাখি প্রায় বিলুপ্ত হয়ে যায়। ইংল্যান্ড ও যুক্তরাষ্ট্রের অনেক জাদুঘরে ডোডো পাখির হাড় ও কংকাল সংরক্ষিত রয়েছে। ডোডো পাখি মরিশাস দ্বীপ থেকে বিলুপ্ত হলে ও এ পাখি এখন বাংলাদেশের গ্রামীণ অর্থনৈতিক উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। গত কয়েক বছর ধরে বাংলাদেশের গ্রাম ও শহরে এ ডোডো পাখি ছড়িয়ে পড়ে। এখানে এই পাখি কে তুর্কি বা তার্কি মোরগ বলে ডাকা হয় । কেউ শখ করে পালন করছেন আবার কেউ কেউ বান্যিজিক ভাবে অনেক মোরগ ফার্ম করে পালন করছেন। তবে এ পাখির নাম ডোডো এবং আদিবাস মরিশাস দ্বীপে তা অধিকাংশ লোক জানেন না। বাংলাদেশে গ্রামীণ দেশীয় হাঁস মোরগ বিলুপ্ত হওয়ায় তার্কি মোরগ এখন স্থান দখন করে নিয়েছে। অনেকেই বছেলেন এ মোরগের মাংস খুবই মজার এবং কলেস্টেরল ও কম হয়। ছোটোখাটো অনুষ্টানে দুই একটি তার্কি মোরগ দিয়ে অনেক লোক খাওয়ানো যায়। ডিমে প্রচুর পুষ্টিকর গুণ রয়েছে। এধরণের পাখি খুবই শান্তশিষ্ট। গ্রামের অধিকাংশ বাড়িতে দলেদলে তার্কি মোরগ দেখা যায়। রাতে এদের ডাকে অনেকে ভয় পান এবং ঘুম ও ভেঙ্গে যায়। তার্কি মোরগ যখন ময়ূরের মত ডানা মেলে হাঁটে তখন শিশুরা ও ভয় পায়। মোরগটির মুখে ও নাকের উপরে মাংসের লম্বা থলি থাকায় খুব সুন্দর দেখায়। করোনা ভাইরাসের কারণে এসব মোরগ বেচা কেনা কমে গেছে। এ মোরগ থেকে যেকোনো ভাইরাস ছড়াতে পারে এমন সন্দেহ পোষণ করা হচ্ছে। এসব মোরগ প্রচুর ঘাস ও লতাপাতা খায় এবং বাজারের ফার্মের ফুড ও খায়। এতে খরচ পড়ে খুব বেশি