টিউমার অপারেশনের বদলে পায়খানার থলে কেটে দেয়ায় রোগীর মৃত্যু

Uncategorized
শেয়ার করুন

স্টাফ রিপোর্টার : মানুষ জীবন বাঁচাতে ডাক্তারের কাছে যায়। কিন্তু অনেক ডাক্তার মানুষের জীবনের কোন তোয়াক্কা করেননা। হাব-ভাব দেখলে বুঝা যায় তাদের মৃত্যু নেই, তারা অমর। শুধু টাকার দরকার। এমন মনোভাবের ডাক্তারের সংখ্যা দেশে বেশি। জরায়ুর মুখে টিউমার অপারেশন করতে গিয়ে পায়খানার থলি কেটে দিয়ে রোগীর মৃত্যু ঘটালেন এক ডাক্তার। তার চমৎকার সাফল্য! ডাক্তারের নাম কিশোয়ার পারভিন। তিনি বিশ্বনাথে চিকিৎসা করতেন। তাকে কমবেশ অনেকেই চিনেন। তার অর্থলোভের সীমা পরিসীমা নেই। হয়তো এ ঘটনায় তার লোভ একটু কমে যেতে পারে। এসআই সাইদ বিশ্বনাথে কর্মরত ছিলেন। তার বাড়ি সুনামগঞ্জের দিরাই উপজেলার শ্যামচর গ্রামে। বর্তমানে তিনি সিলেট এসএমপিতে কর্মরত আছেন।

আবু সাইদ স্ত্রীকে হারিয়ে অনেকটাই পাগল প্রায়। এ দম্পতির একটি মাত্র কন্যা সন্তান রয়েছে। সে তৃতীয় শ্রেণীতে পড়ে। মেয়েটি এখন আম্মা বলে ডাকার কেউ নেই। কিশোয়ার পারভীন তার মাকে চির বিদায় দিয়েছেন।

একটি সুত্র জানায়, এসআই আবু সাইদের স্ত্রী সুফিয়া বেগমের জরায়ুর মুখে ছোট একটি টিউমার ধরা পড়ে। ডাক্তার কিশোয়ার পারভীন সুফিয়াকে আশ্বস্থ করেন সামান্য অপারেশন করে টিউমারটি কেটে ফেলতে হবে। তাতে তারা রাজি হয়ে ডাক্তারের পরামর্শ্যে (২০জুন-১৯ইং) বুধবার সিলেটের দরগা গেইটে আনোয়ারা হসপিটালে স্ত্রী সুফিয়া বেগমকে ভর্তি করান। জরায়ুতে একটি অপারেশন করার কথা থাকলেও দুটি অপারেশন করেন ডাক্তার কিশোয়ার পারভীন। তাদের বুঝতে দেয়া হয়নি পায়খানার থলি কেটে ফেলা হয়েছে। কিন্তু কিছুক্ষণের মধ্যেই রোগীর অবস্থা আশংকাজনক হলে বুধবার বিকেলে ওসমানী হাসপাতালের আইসিইউতে ভর্তি করা হয় এবং বুধবার (২৬জুন) ভোর ৪টায় সুফিয়া বেগম মারা যান। ওসমানী হাসপাতালে গিয়ে আবু সাইদ জানতে পারেন তার স্ত্রী সুফিয়া বেগমের টিউমার ওপারেশনের বদলে পায়খানার থলে কেটে ফেলা হয়। তখন আবু সাইদের মাথায় যেন আসমান ভেঙ্গে যায়। স্ত্রীকে হারিয়ে তিনি এখন বাকরুদ্দ। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অপারেশনকারী ডাক্তারের বিরুদ্ধে প্রতিবাদের ঝড় বইছে। অনেকেই ডাক্তার নামের এমন কসাইদের বিরুদ্ধে ঘৃনা প্রকাশ করছেন। সুফিয়া বেগমের অকাল মৃত্যুতে পরিবার ও এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে। এ ধরনের ঘটনা ক্ষমার অযোগ্য বলে মনে করছেন সচেতন মহল।

এ ব্যাপারে ডাক্তার কিশোয়ার পারভীনের সাথে বিভিন্নভাবে যোগাযোগ করার চেষ্টা করেও তার বক্তব্য গ্রহন করা সম্ভব হয়নি।

এসআই আবু সাইদের সাথে যোগাযোগ করলে তিনি জানান, আত্নীয় স্বজনের সাথে পরামর্শ করে পরবর্তী পদক্ষেপ গ্রহন করবেন।



শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *