করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে মাঠ কর্মচারিদের প্রশিক্ষণ জরুরী

Uncategorized
শেয়ার করুন

স্টাফ রিপোর্টার : সিলেটের বালাগঞ্জ ও ওসমানীনগর এর দুটি উপজেলায় সারা দেশের ন্যায় মরণব্যাধী করোনা ভাইরাসের প্রভাবে জীবনযাত্রা অচল হয়ে পড়েছে। শ্রমজীবি মানুষের কষ্ট চরমে, অভাবী মানুষ ঘর থেকে বের হতে না পারায় অভাব অনটন বেড়েছে। হাট বাজারে মানুষের সংখ্যা কমে যাওয়ায় জমিতে তরিতরকারী শাকসবজি নষ্ট হচ্ছে। হাঁস মুরগী ও মৎস খামারীরা লাখ টাকার ক্ষতি গ্রস্থ হচ্ছেন। সরকারী বেসরকারী ভাবে যৎসামান্য খাদ্যসামগ্রী বিতরণ করা হলে চাহিদার তুলনায় অনেক কম। লক ডাউনে থাকা অনেক গরিব এখন ও তেমন সহায়তা পাননি। সরকারের নির্দেশনা বাস্তবায়নে উপজেলা ইউনিয়ন ওয়ার্ড পর্যায়ের জনপ্রতিনিধি উপজেলা প্রসাশন আইন শৃঙ্খলা বাহিনী, স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা, প্রাথমিক শিক্ষক, কৃষি, এনজিও, স্থানীয় মসজিদের ইমাম সহ গঠিত কমিটি সরকারের নির্দেশনা মোতাবেক মানুষকে করোনা ভাইরাসের হাত থেকে রক্ষায় সচেতন ও সতর্ক করে দিচ্ছেন। বিশেষ করে বিদেশ ফেরত ব্যাক্তিদের বাড়িতে থাকার কঠোর নজরদারি করছেন। এ পর্যন্ত বালাগঞ্জ ওসমানীনগরে কোনো করোনা রোগী শণাক্ত না হলেও এ রোগের আতঙ্ক ঘরে ঘরে রয়েছে। প্রত্যন্ত অঞ্চলের কিছু কিছু গ্রামে মসজিদে বড় আকারে জামাত হচ্ছে। সামাজিক দূরত্ব বজায় না থাকলে এ রোগ সংক্রমণ হওয়ার সম্ভাবনা বেশি। সাধারণ সর্দি, কাশি, জ্বরের রোগীরা ও ডাক্তারের কাছে গিয়ে চিকিৎসা পাচ্ছে না। সরকারী সাধারণ ছুটি থাকলেও এ দুই উপজেলায় ১৪টি স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্র ৩৭টি কমিউনিটি ক্লিনিক সহ স্যাটেলাইট ও ইপিআই কার্যক্রম এর মাধ্যমে সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে করোনা ভাইরাস থেকে রক্ষায় সাধারণ মানুষকে পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। গত দুই তিন দিন ধরে সেবা কেন্দ্রগুলোতে সেবা গ্রহীতাদের সংখ্যা অনেক কমে গেছে বলে কর্মচারিরা জানান।

দেওয়ান বাজার ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নাজমুল আলম বলেছেন, করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে স্বাস্হ্য ও পরিবার পরিকল্পনা বিভাগের মাট কর্মচারিদের প্রশিক্ষন ও প্রয়োজনীয় প্রতিরোধ ব্যবস্হা প্রদান জরুরী। কারন তারা খোলা অবস্হায় করোনা ভাইরাস থেকে রক্ষায় পরামর্শ দিচ্ছেন। এতে ভাইরাসে সংক্রমন হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

পরিবার পরিকল্পনা পরিদর্শিকা বীনা পানি নাথ বলেন, করোনা ভাইরাসের কারনে লোকজন খুব কমই আসছেন, যারা আসছেন তাদেরকে আমরা করোনা ভাইরাস প্রতিরোধের ব্যাপারে ব্যবস্থা জানিয়ে দিচ্ছি। প্রবাসি যারা তাদেরকে কমপক্ষে ১৪ দিন আলাদা থাকার পরামর্শ দিচ্ছি।

শুধু গণমাধ্যমে সরকারের নির্দেশনা পেয়ে জনগনকে সচেতন করার চেষ্টা করছি। আমাদের প্রশিক্ষণ ও প্রতিরোধ মুলক সরঞ্জামাদি প্রদান করা হলে আমরা আরো বেশি করে কাজ করতে পারব। 

দেওয়ান বাজার ইউনিয়নের পরিবার পরিকল্পনা পরিদর্শক সন্তুষ দাস বলেন, আমরা সব সময় জনগনকে সচেতন করার কাজ করি। পরিবার কল্যাণ সহকারি সুলতানা বেগম বলেন, সকলের সাধারন ছুটি থাকলে ও আমরা জীবনের ঝুকি নিয়ে কাজ করছি। আমরা নিজেরাই এ মরণব্যাধি ভাইরাস সম্পর্কে কিছুই জানিনা। যদি আমাদেরকে প্রশিক্ষণসহ প্রতিরোধ ব্যবস্হা করে দেওয়া হতো তাহলে আমরা মানুষের জন্য কাজ করতে পারতাম।

পরিবার কল্যাণ সহকারি নূরজাহান বেগম বলেন, এই বিপদকালীন সময়ে মানুষের পাশে থাকা উচিত। আমাদেকে প্রশিক্ষণ দিয়ে পিপিই দেয়ার জন্য প্রধানমন্রী শেখ হাসিনার কাছে দাবি জানাচ্ছি।


শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *