আন্দোলনে যাচ্ছেন পরিবার পরিকল্পনা বিভাগের কর্মচারিরা

Uncategorized
শেয়ার করুন

ডাক ডেক্স : বাংলাদেশ পরিবার পরিকল্পনা মাঠ কর্মচারি সমিটি সিলেট জেলা শাখার এক কর্মী সভায় বক্তারা বলেছেন, স্বাধীনতার ৪৯ বছর পেরিয়ে গেলেও পরিবার পরিকল্পনা বিভাগের মাঠ কর্মচারিদের নিয়োগবিধি বাস্তবায়ন করা হয়নি। ফলে কর্মচারিদের প্রমোশন, বেতন বৈষম্যের ফাঁদে আটকা পড়ে আছেন, প্রায় সাড়ে ২৯ হাজার কর্মচারি। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কর্মচারিদের নিয়োগবিধি দ্রুত কার্যকরের নির্দেশ দিলেও তা বাস্তবায়িত হচ্ছেনা। বরং অধিদপ্তর থেকে জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রনের মূল কারিগর পরিবার কল্যাণ সহকারিদের তৃতীয় শ্রেণী থেকে ১৭তম গ্রেড (চতুর্থ শ্রেণী) করে পরিপত্র জারি করায় সারা দেশে উত্তেজনা ক্ষোভ ছড়িয়ে পড়েছে। বক্তারা অভিযোগ করে বলেন, কতিপয় অসৎ ব্যক্তি, স্বার্থ হাসিল করতে গ্রেড পরিবর্তন ও নিয়োগবিধি বাস্তবায়নে বাঁধার সৃষ্টি করছেন। কর্মচারিদের পিঠ দেয়ালে ঠেকে যাওয়ার ফলে তারা সারা দেশ ব্যাপি আন্দোলনের প্রস্তুতি গ্রহন করছেন। বক্তারা বলেন, সরকার প্রধান সফল রাষ্ট্রনায়ক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে কর্মচারিদের বিশাল সাফল্যজনক কর্মযজ্ঞের কথা জানানো হচ্ছেনা। তাই তারা প্রধানমন্ত্রীর সাথে স্বাক্ষতের আগ্রহ প্রকাশ করেছেন। অধিকাংশ বক্তা ক্ষোভের সাথে বলেন, স্থাস্থ্যসহ অন্যান্য বিভাগের তৃতীয় শ্রেণী কর্মচারিদের গ্রেড পরিবর্তন ও প্রমোশন হলেও শুধুমাত্র পরিবার পরিকল্পনা পরিদর্শক ও পরিবার কল্যাণ সহকারিদের বঞ্চিত করে রাখা হয়েছে। এক দেশে দুই আইন সংবিধান ও মানবাধিকারের পরিপন্থি। তারা অভিলম্ভে নিয়োগবিধি বাস্তাবায়ন, পরিবার পরিকল্পনা পরিদর্শকদের ১১তম গ্রেড ও পরিবার কল্যাণ সহকারিদের ১২তম গ্রেড প্রদানের দাবি জানান।
বক্তারা বলেন, ১৯৭৫ সালের ২৬ মার্চ জাতির পিতা জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রন প্রসঙ্গে ভাষন শুনে মুক্তিযোদ্ধা, মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সন্তান ও স্বাধীন বাংলাদেশের চেতনায় বিশ্বাসি ছেলে মেয়েরা এ বিভাগে চাকুরিতে যোগদান করেন। তারা পরিবার পরিকল্পনা এ কথাটি সমাজ ¯্রােতের বিপরিতে থাকা সত্বেও অনেক লাঞ্চনা-বঞ্চনা অপমানের শিকার হয়ে মাথার ঘাম পায়ে ফেলে কাজ করেছেন। এ কাজের সাফল্য আজ বাংলাদেশ উন্নয়নের রোল মডেল। বক্তারা বলেন, চীন, জাপান সহ পৃথীবির সকল উন্নত রাষ্ট্র জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রনের মাধ্যমে অর্থনৈতিক ভাবে সাফল্য অর্জন করেছে। সভায় একজন বক্তা বলেন, ১৯৭৫ সালে জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার ছিল ৬.৩৪ শতাংশ, ২০১১ সালে বৃদ্ধির হার ছিল ১.৩৪ শতাংশ, ২০২০ সালে ১,৭ শতাংশে কমিয়ে আনার কথা রয়েছে। ২০১৬ সালে প্রতি মহিলার গড় সন্তান (টিএফআর) ২ জনে কমিয়ে আনার সরকারি লক্ষমাত্রা থাকলেও বর্তমানে অর্জিত হয়েছে ২.৩ জন। এছাড়া মাতৃ মৃত্যু, শিশু মৃত্যু, বাল্য বিবাহ রোধ, টিকাদান প্রদান শতভাগ স্যানিটেশনে ভারত ও পাকিস্তানের চেয়ে এগিছে রয়েছে বাংলাদেশ। এই সাফল্যের দাবিদার মাঠ কর্মচারিগণ।
গতকাল শুক্রবার বাদ জুম্মা সিলেট জেলা আইজীবি সমিটির ২নং বার হলরুমে এ সভা অনুষ্টিত হয়। সভায় জেলা শাখার সভাপতি রাশেদা খানম রিনার সভাপতিত্বে ও ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক কয়েছ রশিদ দেলোয়ারের পরিচালনায় কর্মী সমাবেশে বক্তব্য রাখেন, সিনিয়র পরিবার পরিকল্পনা পরিদর্শক মো: হাফিজুর রহমান, মো: ফিরোজ আলী, মো: আব্দুল বারি, হোসেন আলী, আবিদুর রহমান, শাহজাহান সিদ্দিকি, হোসেন আহমদ, তানভীর আহমদ, আব্দুর রব, রবিন্দ্র কুমার দাস, মোহন বর্ধন, পল্লব কান্ত দাস, সুহেল আহমদ, পরিবার কল্যাণ সহকারি শিরিয়া বেগম, শিল্পি বেগম, নুরজাহান আক্তার, স্বপ্না রাণী পাল, নুরজাহান বেগম, সুলতানা বেগম, শেফালি রানী দাস, সালমা বেগম, আয়শা আক্তার রুবি, পুষ্পু রানী প্রমুখ।


শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *