সুচনীয় পরাজয়ে এমপি মোকাব্বির খান : বিশ্বনাথের ১৫ কেন্দ্রে ১টি ভোটও পাননি

বিশ্বনাথ রাজনীতি সারাদেশ
শেয়ার করুন

নিজস্ব প্রতিবেদক : মোকাব্বির খান, তিনি ছিলেন একজন যুক্তরাজ্য প্রবাসি। বাড়ি বালাগঞ্জ উপজেলায় হলেও নির্বাচনে দাঁড়ানোর জন্য ওসমানীনগরে ভোটার হয়েছিলেন। তাঁকে এলাকার মানুষ কোন দিন দেখেনি। তাঁর কোন রাজনৈতিক ও সামাজিক পরিচয় ছিলনা। তাঁর পরিবারেরও কোন সুখ্যাতি নেই। কিন্তু মনে বড় খায়েশ জেগেছিল তিনি এমপি হবেন। বলা যায়, অলৌকিকভাবে মনের আশা পূরণ হয়েছিল।

২০১৮সালে জাতীয় সংসদ নির্বাচনে যুক্তরাজ্য থেকে এসে গণফোরামের ড. কামাল হোসেনের একমাত্র প্রার্থী মোকাব্বির খান তাঁর মনোনয়নপত্র দাখিল করে যুক্তরাজ্যে চলে যান। তাঁর প্রর্তীক ছিল উদীয়মান সূর্য। তিনি কোন প্রচার অভিযানে অংশ গ্রহণ করেননি। তাঁর কোন নেতাকর্মী ও নির্বাচনী অফিসও ছিলনা। তাঁর নির্বাচনী কার্যক্রম হয়েছে হুজুগে। এই সিলেট-২আসনে হুজুগে বাঙ্গালির পরিচয় মিলেছে। বিএনপি এ নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেনি। বিএনপি ও আওয়ামীলীগ বিরুধীরা এক জোট হয়ে মোবাইলে প্রচার করে মোকাব্বির খানকে সূর্য মার্কায় ভোট দিলে নিখোঁজ ইলিয়াস আলীকে ফিরে পাওয়া যাবে। এমন হুজুগে কথা মুহুর্তের মধ্যে বিশ্বনাথ ওসমানীনগরে ছড়িয়ে পড়ে। ৩দিনে মোবাইল প্রচারনায় এমপি হয়ে যান মোকাব্বির খান। তিনি নিজেই অবাক হয়ে যান নির্বাচনের ফলাফল দেখে। নির্বাচনের পর বঙ্গবন্ধুর নাম মুখে নিয়ে আওয়ামীলীগের নেতাকর্মীদের পক্ষে আনার চেষ্টা করেন। তিনি নির্বাচনের পর প্রথম দিকে বিভিন্ন বৈঠকে এমনও বক্তব্য রেখেছেন যে, প্রধানমন্ত্রী তাঁকে মন্ত্রী বানানোর প্রস্তাবও দিয়েছেন। তাঁর এমন ভেল্কিভাজির কথায় আওয়ামীলীগ মুগ্ধও হয়েছিল।

ওসমানীনগর ও বিশ্বনাথের রাস্তাঘাটের সংস্কারে সরকার তাঁকে ২০কোটি টাকা দেয়া হলে কোথাও কোন মেরামত কাজ হয়নি। তাঁর কথিত পিএস পলিওমাইটিসে আক্রান্ত ওসিত রঞ্জন দেব বিপুল সম্পদের মালিক হয়ে এখন স্বপরিবারে কানাডায় অবস্থান করছেন। ওসিত নাকি মোকাব্বির খানের কানাডার সম্পদ দেখাশুনা করছেন।
অপর দুই পিএস কয়েছ ও আদনান সরকারের বরাদ্ধের সব কিছু গিলে খেয়ে এখন নিখোঁজ রয়েছেন। উন্নয়নের গুণগান গেয়ে সিলেট-২ আসনে দীর্ঘ ৫বছরে কোন কাজ করেননি মোকাব্বির খান।

তিনি গত ৭জানুয়ারীর নির্বাচনে পূনরায় উদীয়মান সূর্য নিয়ে প্রার্থী হলে সুচনীয়ভাবে তাঁর পরাজয় ঘটে। এ আসনে ১২৮টি কেন্দ্রে মোট ১৯২২টি ভোট পেলেও ১৫টি কেন্দ্রে একটি ভোটও পাননি। মোকাব্বির খান ৫বছর এমপি হয়ে জনসেবার নামে নিজের ও পিএসদের সেবায় ব্যস্ত থাকার বিষয়টি বুঝতে পেরে ভোটাররা উপযুক্ত জবারের মাধ্যমে ডিগবাজির জবাব দিলেন। এ নিয়ে নির্বাচনী এলাকায় মোকাব্বির খানকে নিয়ে সাধারণ লোকজন খুবই হাঁসি তামাশা করছেন।


শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *