সিলেটের দক্ষিণ সুরমায় বালুবাহী ট্রাক ও শ্রমিক বহনকারী টাটা পিকআপের মুখোমুখি সংঘর্ষে দুই নারিসহ ১৪ নির্মাণ শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে। আহত হয়েছেন অন্তত ১০জন। বুধবার ভোর সাড়ে ৫ টার দিকে সিলেট-ঢাকা মহাসড়কের দক্ষিণ সুরমার রশিদপুর নাজির বাজারের কুতুবপুর নামক স্থানে এ দুর্ঘটনাটি ঘটে।
নিহতরা হলেন, সুনামগঞ্জের দিরাই উপজেলার ভাটিপাড়া গ্রামের মৃত সজিব আলীর ছেলে রশিদ মিয়া (৫০), শান্তিগঞ্জ উপজেলার মুরাদপুর গ্রামের মৃত হারুন মিয়ার ছেলে দুলাল মিয়া (২৫), একই উপজেলার বাবনগাঁ গ্রামের মৃত ওয়াহাব আলীর ছেলে শাহিন মিয়া (৪০), দিরাই উপজেলার আলীনগর গ্রামের মৃত শিশু মিয়ার ছেলে হারিছ মিয়া (৬৫), হবিগঞ্জের চুনারুঘাট উপজেলার হলদিউড়া গ্রামের আব্দুর রহিমের স্ত্রী আমিনা বেগম (৪৫), সুনামগঞ্জের দিরাই উপজেলার ভাটিপাড়া গ্রামের মৃত মফিজ মিয়ার ছেলে সায়েদ নূর (৫০), শান্তিগঞ্জ উপজেলার তলেরতন গ্রামের মৃত আওলাদ উল্লার ছেলে আওলাদ হোসেন (৬০), দিরাই উপজেলার পাথারিয়া গ্রামের মৃত ছলিম উদ্দিনের ছেলে একলিম মিয়া (৫৫), গচিয়া গ্রামের বারিক উল্লাহ ছেলে সিজিল মিয়া (৫৫), ভাটিপাড়া গ্রামের সিরাজ মিয়ার ছেলে সৌরভ মিয়া (২৭), নেত্রকোনার ভারহাট্টা উপজেলার দশদার গ্রামের ইসলাম উদ্দিনের ছেলে আওলাদ মিয়া (৩০), সুনামগঞ্জের দিরাই উপজেলার ভাটিপাড়া গ্রামের শমসের নুরের মেয়ে মেহেরুন (২৪), দিরাই উপজেলার মধুপুর গ্রামের সোনা মিয়ার ছেলে দুদু মিয়া (৪০), একই গ্রামের শাহজাহানের ছেলে বাদশা (২২)।
পুলিশ, ফায়ার সার্ভিস ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা গেছে, সিলেট নগর থেকে পিকআপে (সিলেট-ন ১১-১৬৪৭) করে প্রায় ৩০ জন নারী-পুরুষ নির্মাণ শ্রমিক জেলার ওসমানীনগর উপজেলার গোয়ালা বাজারে যাচ্ছিলেন। সকাল সাড়ে ৫টার দিকে পিকআপ দক্ষিণ সুরমার নাজির বাজার এলাকার কুতুবপুর নামক স্থানে মুনশীগঞ্জ থেকে ছেড়ে আসা সিলেটগামী বালুবহনকারী ট্রাকের (ঢাকা মেট্রো-ট ১৩-০৭৮০) সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে ঘটনাস্থলেই ১১ জন নিহত হন। খবর পেয়ে দক্ষিণ সুরমা থানা পুলিশ এবং সিলেট ও ওসমানীনগরের ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের একাধিক ইউনিট ঘটনাস্থলে এসে স্থানীয়দের সহযোগিতায় হতাহতদের উদ্ধার করে ওসমানী হাসপাতালে প্রেরণ করে।
দুর্ঘটনার পর সিলেট-ঢাকা মহাসড়কে কয়েক কিলোমিটার দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হয়। পরে পুলিশের তৎপরতায় ৩ ঘণ্টা পর সাড়ে ৮টার দিকে সিলেট-ঢাকা মহাসড়কে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়। সিলেট মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত উপ কমিশনার (গণমাধ্যম) সুদীপ দাশ বলেছেন, ‘সড়ক দুর্ঘটনায় এখন পর্যন্ত ১৪ জনের মৃত্যুর খবর জেনেছেন।
দূর্ঘটনায় নিহত, আহতদের দেখতে ওসমানী হাসপাতালে যান নৌ-পরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালেদ মাহমুদ চৌধুরী। এদিকে, সিলেট জেলা প্রশাসক মো. মজিবর রহমান বলেন, নিহত ব্যত্কিদের পরিবারকে ২০ হাজার টাকা ও আহত ব্যক্তিদের ১০ হাজার টাকা দেয়া হয়েছে।