নিজস্ব প্রতিবেদক : সিলেটে শুক্র ও শবিবারে প্রচন্ড তাপদাহে জনজীবন বিপর্যস্থ হয়ে পড়েছে। মানুষের চেয়ে বনের পশু-পাখি ও গ্রহ পালিত পশু-পাখিরা অস্তির। ফার্মের হাঁস-মোরগ বাচিয়ে রাখতে বার বার পানি ছিটানো হচ্ছে। বনের পশু পাখিরা পানির সন্ধানে এখান থেকে ওখানে যাচ্ছে। জলজ প্রাণীরা কোন মতেই হাওরে টিকতে পারছেনা। বন-জঙ্গল উজাড় হওয়ায় মানুষের চেয়ে পশু পালিখ বাসস্থান খাদ্য সংগ্রহে দারুণ অভাব দেখা দিয়েছে।
মহাসড়ক আঞ্চলিক সড়ক ও স্থানীয় পাকা সড়কে পচন্ড রোধে বিটুমিন (গালা) গলে তেলের মত থেতলে গেছে। ছোট ছোট গাড়ির চাকা থেতলে যাওয়া স্থানে পিচ্ছিল হলে আটকে যাচ্ছে। রাস্তার এমন অবস্থা দেখে যান বাহনের চালকরা ধীরস্থিতে গাড়ি চালাচ্চেন। বিশ্বনাথ রশিদপুর সড়কের প্রায় ২০টি স্থানে বিটুমিন গলে ধোয়ার মত দেখা যাচ্ছে। এমন অবস্থা ঢাকা-সিলেট মহাসড়কেও।
গ্রামাঞ্চলে থাকা কিছু কিছু মাটির ঘরের বাসিন্দারা একটু স্বস্থিতে আছেন। টিরে ঘর ও পাকা দালানের বাসিন্দারা অনেক কষ্টে রয়েছেন। উচ্চ রক্তচাপ, শ্বাসকষ্ট-ডায়াবেটিস, ক্যানসার আক্রান্ত রোগী ও বয়স্করা বার বার পানি খাচ্ছেন। ছোট ছোট শিশুরা ডায়েরিয়া রোগেও আক্রান্ত হচ্ছেন। হাসপাতাল, ক্লিনিকে ও ডাক্তারের প্রাইভেট চেম্বারে রাত পর্যন্ত রোগীদের দেখা গেছে।
উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা দেলোয়ার হোসেন জানান, গরমে হিষ্টোকে এ পর্যন্ত এ উপজেলায় কেউ মারা যায়নি। তবে, কিছু কিছু ডায়েরীয়া আক্রান্ত রোগী ভর্তি হচ্ছেন। আমরা যে কোন পরিস্থিতিতে প্রস্তুত আছি।