ডাক ডেস্ক : সোমবার রাতে নগরের টিবি গেইট এলাকায় নিজ দলের প্রতিপক্ষ গ্রুপের কর্মীদের হাতে খুন হয়েছেন ছাত্রলীগ কর্মী আরিফ হাসান।
ছাত্রলীগ কর্মী আরিফ হাসান নগরের টিভি গেইট এলাকার বাসিন্দা। আরিফ হাসানের বাবা ফটিক মিয়া ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা চালান। কয়েকদিন ধরে অসুস্থ থাকায় বাড়িতেই অবস্থান করছিলেন। আরিফ হাসানের মায়ের নাম আখি বেগম। তিনি রাজা মিয়ার কলোনি বালুচর এলাকায় অন্যের রান্নাবান্নার কাজ করে সংসার চালান। ফটিক মিয়া ও আখি বেগমের পরিবারে চার ছেলে। তাঁদের মধ্যে সবার বড় আরিফ আহমেদ। টিলাগড় এলাকার সরকারি কলেজের দ্বাদশ শ্রেণিতে পড়তেন।
অশ্রু ভেজা চোখে আরিফের মা আখি বেগম বলেন, ছেলেকে রাজনীতি করতে নিষেধ করেছিলাম। ছেলে এক বছর আগে কলেজে ভর্তির হবার পর থেকে ছাত্রলীগের রাজনীতি শুরু করছে। মা হিসাবে আমার যতটুকু দায়িত্ব আমি বলেছিলাম তাকেএসব রাজীনিতি (ছাত্রলীগ) না করতে।
মায়ের এই জবাবের উত্তরে ছেলে বলছিলো, কলেজে থাকতে হলে রাজনীতি (ছাত্রলীগ) করতে হয়। তা না হলে তাঁকে মেরে শেষ করে দেবে। এরপর তিনি জানিয়েছিলেন, এইচএসসি পাস করার পর তাঁকে আর কলেজে রাখবেন না। কিন্তু আর রাখা হলো না। তার আগেই নির্মমভাবে হত্যা করা হয় তার কলিজার টুকরা সন্তানকে।
এদিকে খুনের ঘটনায় মঙ্গলবার অভিযান চালিয়ে দুজনকে আটক করেছে পুলিশ। আটককৃতরা হলেন- বাচ্চু মিয়ার ছেলে আনহাজ আহমদ রনি ও কামাল মিয়ার ছেলে মামুন মজুমদার।