নিজস্ব প্রতিবেদক : লিবিয়ার রাজধানি ত্রিপলি মাতার জেলে জীবন মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে লড়াই করছে রবিউল নামের এক তরুণ। এখন সে বেঁেচ আছে কিনাকেউ বলতে পারছেনা। মাফিয়া চক্র রবিউলসহ ৬০বাংলাদেশিকে আটকে রেখে মুক্তিপনের জন্য চরম নির্যাতন করছে। রবিউলের বাড়ি সিলেটের বিশ^নাথ উপজেলার কারিকোনা গ্রামে। সে ২০২৩সালের ২৫জুলাই বিমান যোগে দুবাই যায়। সেখানে লিবিয়ার অধিবাসি জনৈক আব্দুর রহমানের সাথে পরিচয় হলে আব্দুর রহমান উন্নত চাকরির আশ^াস দিয়ে লিবিয়ায় নিয়ে যায়। লিবিয়ায় বাংলাদেশি আহসান খান নামের এক দালালের হাতে রবিউলকে তুলে দিলে আহসান রবিউলকে ৩লাখ টাকা দেয়ার দাবি করে। অন্যতায় তাকেহত্যা করা হবে। এ খবর দেশে আসলে ছেলেকে বাচাঁনোর জন্য রবিউলের মা নাছিমা বেগম প্রথমে ২লাখ টাকা প্রেরণ করেন। এ টাকা পেয়ে আহসান সন্তুষ্ট না হয়ে রবিউলকে মাফিয়া চক্রের হাতে তুলে দেয়। মাফিয়া চক্রের দালাল আব্দুর রহমান রবিউলসহ ৬০জন বাংলাদেশিকে জেলে ঢুকিয়ে তাদেরকে মুক্ত করার জন্য পূণরায় মুক্তিপনা দাবি করে।
গত ১২জুন লিবিয়ার বেলকাজি হতে ত্রিপলি জেলে তাদেরকে পাঠানো হয়। বর্তমানে সেখানে চরম নির্যাতনের শিকার রবিউলসহ ৬০বাঙালি রয়েছে। গত ৪জুলাই রবিউল +২৭৬২১৪০৩৬৬২নাম্বার থেকে একটি চিটি লিখে মায়ের কাছে বাড়িতে পাঠায়। ছেলের জীবন বাঁচাতে মা বাংলাদেশ জাতীয় সংসদের পররাষ্ট্রমন্ত্রনালয় সম্পর্কীত স্থায়ী কমিটির চেয়ারম্যান সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. আব্দুল মোমিনের নিকট তার ছেলে রবিউলকে লিবিয়ার জেল থেকে মুক্ত করতে আবেদন করেন। ড. মোমেন বিষয়টি বিবেচনার জন্য প্রবাসিকল্যাণ ও বৈদেশিক প্রতিমন্ত্রী শফিকুর রহমান চৌধুরীর বরাবরে প্রেরণ করেন।
চিরকুটে রবিউল লিখেছে জাতীয় সংসদের চুনারুঘাটের এমপি ব্যরিষ্টার সায়েদুল ইসলাম সুমনকে জানালে, তিনি আমিসহ ৬০বাংলাদেশিকে লিবিয়ার জেল থেকে উদ্ধার করতে পারবেন। আমাদেরকে তাড়াতাড়ি উদ্ধার করা না হলে মাফিয়া চক্র টাকার জন্য হত্যা করে ফেলবে।
এনিয়ে রবিউলের মা নাছিমা বেগম কান্না জড়িত কন্ঠে এ প্রতিনিধিকে জানান, আমার ছেলেকে লিবিয়ার জেল থেকে উদ্ধারে আমি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও এমপি ব্যারিষ্টার সুমন সাহেবের সহায়তা কামনা করছি। জেলে আটককৃতদের জরুরী ভিত্তিতে উদ্ধার না করলে তাদের করুণ পরিণতি ঘটতে পারে।