নিজস্ব প্রতিবেদক:: সিলেটের বিশ্বনাথ উপজেলা খাজাঞ্চী ইউনিয়নের খাজাঞ্চী খেলার মাঠে গুমরাগুল ও তবলপুর গ্রামের মধ্যে ক্রিকেট খেলাকে কেন্দ্র করে সংর্ঘষে উভয় গ্রামের ২০জন আহত হয়েছেন। আহতদের অনেকেই চিকিৎসার জন্য সিলেটের হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। পুলিশ তাৎক্ষণিক ঘটনাস্থলে এসে পরিস্তিতি নিয়ন্ত্রন করে। এখনও ঘটনাস্থলে পুলিশ অবস্থান করছে।
প্রত্যেক্ষদর্শীরা জানান, ২৩ মার্চ মঙ্গলবার বিকাল ৪টায় খাজাঞ্চী ইউনিয়নের গুমরাগুল ও তবলপুর গ্রামের মধ্যে ক্রিকেটের পূর্বঘোষিত ফাইনাল খেলা অনুষ্ঠিত হয়। খেলার এক পর্যায়ে দু’পক্ষে দু’খেলোয়ারের মধ্যে কথাকাঠির জের ধরে দুই গ্রামের সমর্থকরা মাঠের ভেতর ঢুকে সংর্ঘষে জড়িয়ে পড়ে। প্রায় ঘন্টা ব্যাপী এই এলোপাতাড়ি এই সংঘর্ষে উভয় গ্রামের প্রায় ২০জন আহত হয়েছেন। স্থানীয় চেয়ারম্যান, মেম্বার ও আয়োজক কমিটির নেতৃবৃন্দ সংর্ঘষকালিন সময়ে দ্রুত ঘটনারস্থল ত্যাগ করেন। এতে সমগ্র হাওর জোড়ে ব্যাপক সংর্ঘষ শুরু হয়। ইট, পাটকেল, বাশ, রডসহ দেশিয় অস্ত্র-সস্ত্র নিয়ে একে অপরের উপর ঝাপিয়ে পড়ে।
ঘটনার খবর পেয়ে বিশ্বনাথ থেকে বিপুল সংখ্যক পুলিশ এসে পরিস্তিতি নিয়ন্ত্রন করে।
পুলিশ উপস্থিত না হলে প্রাণঘাতি সংঘর্ষের আশংকা ছিল। তবলপুর গ্রামের আহতরা হচ্ছেন, দিলাল মিয়া (৩৫), ইসলাম (৩৩), আমীন (৩০), আমীর (৪০), বটুল মিয়া (৩৫), বাদশা মিয়া (৩৬), মুহিব (২৪), ইমরান (১৮) এবং গুমরাগুল গ্রামের আহতরা হচেছন, আব্দুল কাদির(৪৫), বাশির মিয়া (৩২), জামাল (৫০), গুরুত্বর জখমী বাশির ও আব্দুল কাদিরকে সিলেট ওসমানী হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে বলে একজন প্রত্যেকদর্শী জানিয়েছেন।
বিশ্বনাথ থানার এসআই দেবাশীষ জানান, খেলার মাঠে দুজন খেলোয়ারের মধ্যে কথা কাটাকাটি শুরু হলে দুই গ্রামের উত্তেজিত দর্শক মাঠের ভেতর ঢুকে সংর্ঘষে জড়িয়ে পড়ে। ঘটনার খবর পেয়ে পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনে এবং এখনও ঘটনাস্থলে পুলিশ অবস্থান করছে ।
এ রির্পোট লেখা পর্যন্ত কাউকে গ্রেফতার বা মামলা দায়ের খবর পাওয়া যায়নি। স্থানীয় মুরববীরা ঘটনাটির আপোষনিষ্পত্তির চেষ্টা করছেন বলে জানাগেছে।