বিশ্বনাথ প্রতিনিধি : সিলেট অঞ্চলে শস্যের নিবিড়তা বৃদ্ধিকরণ প্রকল্পের আওতায় বিশ্বনাথে উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উদ্যোগে আয়োজিত ৩ দিনব্যাপী কৃষি প্রযুক্তি মেলার উদ্বোধন করা হয়েছে। (১৮ জুন) মঙ্গলবার সকালে প্রধান অতিথি হিসেবে মেলার উদ্বোধন করেন উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা মন্ডলীর সদস্য এস এম নুনু মিয়া।
মেলার উদ্বোধন উপলক্ষে উপজেলা পরিষদ প্রাঙ্গন থেকে বর্ণাঢ্য র্যালী বের হয়ে উপজেলার প্রধান প্রধান সড়কগুলো প্রদক্ষিণ করে আবার মেলাস্থলে এসে শেষ হয়। ফিতা কেটে মেলার আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করে মেলার স্টলগুলো পরিদর্শন করে দেখেন উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এস এম নুনু মিয়া। অনুষ্ঠানে উপজেলার ৪শত কৃষকের মধ্যে জনপ্রতি ১০টি করে (৬টি মাল্টা, ২টি কমলা ও ২টি লেবু) ফলদ বৃক্ষের চারা প্রদান করা হয়। পর্যায়ক্রমে আরোও ৫শত কৃষকের মধ্যে একই হারে ফলদ বৃক্ষের চারা বিতরণ করা হবে।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি বলেন, জাতির জনকের কন্যা বাংলার সফল প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা’র নেতৃত্বাধীন সরকার কৃষি বান্ধব সরকার। তাই প্রত্যেক বাজেটেই কৃষকদের উন্নয়নের জন্য বরাদ্ধ সকল ক্ষেত্রের চেয়ে বেশি থাকে। বঙ্গবন্ধু কন্যার যোগ্য নেতৃত্বে ফলেই দেশ আজ খাদ্যে স্বণংসম্পূর্ণ হয়েছে। উন্নয়নের ক্ষেত্রে বাংলাদেশের এগিয়ে যাওয়া দেখে বিশ্ব নেতারা আজ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা’র নেতৃত্বের প্রশংসা করছেন। আর বিশ্বের অনেক দেশের জনসাধারণ নিজেদের উন্নয়নের জন্য উদাহরণ সরুপ বাংলাদেশকে মডেল হিসেবে মানছেন।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) অমিতাভ পরাগ তালুকদারের সভাপতিত্বে ও উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা শাকিল খন্দকারের পরিচালনায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান হাবিবুর রহমান, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের দন্ত চিকিৎসক আরাফাত হোসেন নিলয়, উপজেলা বিআরডিবি চেয়ারম্যান মহব্বত আলী, উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক শাহ ফয়েজ আহমদ সেবুল, বিশ্বনাথ প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক প্রনঞ্জয় বৈদ্য অপু, সাংবাদিক আশিক আলী, কৃষক জাবের আহমদ।
অনুষ্ঠানের শুরুতে কোরআন তেরাওয়াত করেন উপজেলার সহকারী কৃষি কর্মকর্তা ফয়জুল হক ও গীতাপাঠ করে পল্লী চিকিৎসক বিভাংশু গুন বিভু এবং স্বাগত বক্তব্য রাখেন উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা রমজান আলী। এসময় অনুষ্ঠানে বিভিন্ন শ্রেণী-পেশার ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠান থেকে ফলের মধ্যে ফরমালিন না মেশানো এবং চাষাবাদের ক্ষেত্রে কিটনাশক ও হরমোন জাতিয় দ্রব্যের ব্যবহার না করার জন্য সর্বস্তরের কৃষক ও ব্যবসায়ীদের প্রতি আহবান করা হয়।