বিশ্বনাথে হামলার পর সাজানো মামলা : বিপাকে অসহায় পরিবার

অপরাধ বিশ্বনাথ
শেয়ার করুন

নিজস্ব প্রতিবেদক :: সিলেটের বিশ্বনাথে পূর্ব বিরুধের জের ধরে প্রতিপক্ষের হামলায় বৃদ্ধা নারীসহ একটি অসহায় পরিবারের ৪জন গুরুত্বর জখম হয়েছেন। এ ঘটনায় আহত রুবেল মিয়া বাদী হয়ে হামলাকারি ৫জনকে আসামি করে বিশ্বনাথ থানায় মামলা দায়ের করেন। (বিশ্বনাথ থানার মামলা নং-২১)। রুবেল মিয়া উপজেলার দৌলতপুর ইউনিয়নের সিংরাওলী গ্রামের খুর্শেদ আলীর ছেলে। মামলা দায়েরের পর বাদিপক্ষকে ঘায়েল করতে আসামিপক্ষ বিশ্বনাথ থানায় একটি কাউন্টার মামলা দায়ের করেন। এ নিয়ে এলাকায় নানা আলোচনা সমালোচনার সৃষ্টি হয়।

রুবেলের দায়েরী মামলার আসামিরা হলেন, সিংরাওলী গ্রামের মজম্মিল আলী পুত্র জামাল উদ্দিন, মৃত মর্তুজ আলীর পুত্র শাকির হোসেন, জামাল উদ্দিনের পুত্র মিজান মিয়া, মর্তুজ আলীর স্ত্রী রাবেয়া বেগম, জামাল উদ্দিনের স্ত্রী জাহানারা বেগম।

মামলার এজাহারে রুবেল মিয়া উল্লেখ করেছেন, বিবাদীগনের সাথে বাদী পক্ষের লোকজনের দীর্ঘদিন যাবৎ জমি-জমা সংক্রান্ত বিরোধ চলে আসছে। এরই জের ধরে ঘটনার দিন বিকেলে আসামিরা পূর্বপরিকল্পিতভাবে গালি গালাজ ও এক পর্যায়ে দেশীয় অস্ত্র সস্ত্রে সজ্জিত হয়ে বাদী পক্ষের উপর অতর্কিত হামলা চালায়। এতে বাদীসহ ৫জন গুরুত্বর জখম হয়। স্থানীয়দের সহায়তায় আহতদের দ্রুত সিলেট ওসমানী হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

বাদী রুবেল মিয়ার অভিযোগ, আমাদের উপর হামলার ঘটনার পর মামলা দায়েরের পর আসামিরা এলাকার প্রভাবশালি মহলের মাধ্যমে দায়েরকৃত মামলা তুলে নিতে প্রস্তাব দেয়। এতে রাজি না হওয়ায় হুমকি দিয়ে বলে, মামলা তুলে না নিলে, মামলা দেয়ার স্বাদ মিটিয়ে দিবে। এক পর্যায়ে আসামি পক্ষের লোকজন গত ২৯মার্চ আমাদের পরিবারের ৭জনকে আসামি করে বিশ্বনাথ থানায় মিথ্যা সাজানো একটি মামলা দায়ের করেন। (বিশ্বনাথ থানার মামলা নং-২৫)।

তিনি আরো বলেন, আমাদেরকে আসামি করে যে সাজানো মামলা দায়ের করা হয়েছে, এ মামলার বাদী রাহেলা বেগম ঘটনার তারিখ ও সময়ে ঘটনাস্থলে ছিলেন না। পুলিশ সঠিক তদন্ত করলে বা রাহেলা বেগমের ওই দিনের মোবাইলের কললিষ্ট চেক করলে আসল ঘটনা উদঘাটন হবে। পুলিশকে মিথ্যা তথ্য দিয়ে আমাদের বিরুদ্ধে আসামিপক্ষের লোকজন মিথ্যা এবং সাজানো মামলা দায়ের করেন।

সাংবাদিক পরিচয় দিয়ে রুবেল মিয়ার অভিযোগের সত্যাতার ব্যাপারে জানতে চাইলে বক্তব্য দিতে অপারগতা প্রকাশ করেন পাল্টা মামলার বাদী রাহেলা বেগম।

স্থানীয় ইউপি মেম্বার কামাল মিয়া বলেন, ঘটনার খবর পেয়ে এলাকার কয়েক জন মুরব্বীকে সাথে নিয়ে আমি ঘটনাস্থলে চাই এবং আমরা বিষয়টি আপোষ-মিমাংশায় সমাধান করার চেষ্টা করি, কিন্তু একটি পক্ষ আপোষ মিমাংশার প্রস্তাবে রাজি হয়নি। এরপর বিষয়টি নিয়ে পাল্টাপাল্টি মামলা দায়ের হয়েছে বলে শুনেছি।

এব্যাপারে বিশ্বনাথ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) এনামুল হক চৌধুরী বলেন, এঘটনায় উভয় পক্ষে মামলা দায়ের করা হয়েছে। তদন্ত সাপেক্ষে এব্যাপারে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে। তবে অযথা কাউকে হয়রাণী করা হবে না।


শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *