নিজস্ব প্রতিবেদকঃ দেশের বহুল আলোচিত মাদক ব্যবসায়ী তবারক আলীকে একটি হত্যা মামলায় ৫ দিনের রিমান্ড শেষে বুধবার জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে। গত ১৩ আগষ্ট শুক্রবার তাকে জেল হাজত থেকে বিশ্বনাথ থানায় নিয়ে এসে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। তবারককে গ্রেফতারের পর বিশ্বনাথ থানার পুলিশ দশ দিনের রিমান্ডের আবেদন করলে মাননীয় আদালত পাচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছিলেন। বিশ্বনাথ থানার ওসি গাজী আতাউর রহমান জানান, হত্যাকান্ডের ব্যাপারে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য দিয়েছে তবারক। তদন্তের স্বার্থে প্রকাশ করা যাচ্ছে না। তার কথাগুলো খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
উল্লেখ্য, ২০১৭ সালের ২২ এপ্রিল রামপাশা ইউনিয়নের রামচন্দ্রপুর গ্রামের পাশের রাস্তায় তানজিনা আক্তার সাথি নামের এক মহিলার লাশ উদ্ধার করেছিল পুলিশ।তৎকালিন বিশ্বনাথ থানার এস আই রফিকুল ইসলাম বাদী হয়ে বিশ্বনাথ থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। গত ২৫ জুলাই বিশ্বনাথ থানা পুলিশ ইয়াবা সম্রাট তবারক খুনের মামলায় জড়িত থাকার অভিযোগে তাকে গ্রেফতার করে। এ মামলায় সফিকুল ইসলাম নামের এক আসামী হত্যাকান্ডের দায় স্বীকার করে আদালতে জবানবন্দিতে তবারকসহ কয়েকজনের নাম উল্লেখ করেছেন। তবারকের রিমান্ড মঞ্জুরের পর তার স্বজন ও ইয়াবা ব্যবসায় জড়িতরা খুবই আতংকে ছিলেন। কিন্তু স্থানীয় সূত্র মতে তারা এখন খুবই খুশি। তবারকের ঘনিষ্টজনদের দাবী এই হত্যাকান্ডের সাথে কোনমতেই তাকে জড়ানো যাবে না এবং শীঘ্রই সে মুক্তি পাওয়ার সব ব্যবস্থা করা হয়েছে। তবারকের বিরুদ্ধে যে বা যারা গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশ করেছেন তাদেরকে দেখে নেয়ার হুমকি দিচ্ছে ইয়াবা সিন্ডিকেটে জড়িতরা। বেশি কিছুদিন পূর্বে ঢাকার জাতীয় একটি দৈনিকে তবারকের মাদক ব্যবসার বিস্তারিত একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়েছিল। এই প্রতিবেদন প্রকাশের পর ইয়াবা সিন্ডিকেটের লোকজন ঢাকায় পত্রিকা কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করে তাকে বিশ্বনাথ প্রতিনিধি থেকে বাদ দেওয়ার তদবিরও করেছিল। ফলে পত্রিকা কর্তৃপক্ষ এ ধরনের সংবাদ না পাঠাতে তার প্রতিনিধিকেও সর্তক করেছেন বলে জানা যায়। এতে বুঝা যায়, ইয়াবা সম্রাট তবারকের হাত কতো শক্তিশালী !