ডেক্স রিপোার্ট : সিলেটের বিশ্বনাথে সাংবাদিক আবু সুফিয়ানের চুরি হওয়া অটোরিক্সা সিএনজি ওসমানীনগর থেকে উদ্ধার করেছে থানা পুলিশ। চুরির এঘটনায় সাথে জড়িত ৫ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। শুক্রবার তাদেরকে বিভিন্ন জেলা উপজেলা থেকে গ্রেফতার করা হয়।
আটককৃতরা হচ্ছে,ওসমানীনগর উপজেলার পারকুল গ্রামের মৃত মজিদ আলীর পুত্র গয়াস আলী, গয়াছ আলীর কলোনি থেকে, বিশ্বনাথ উপজেলার নওধার গ্রামের হাছন আলী (৬৫), দাসপাড়া কলোনি থেকে হাছন আলীর পুত্র আরশ আলী পারভেজ (৩০), জগন্নাথপুর উপজেলার পীরের গাঁও গ্রামের মৃত আছির উল্লার পুত্র লেবু মিয়া, এয়ারপোর্ট থানাধীন বনগাওস্থ মাখন মিয়ার কলোনি থেকে, সুনামগঞ্জের বিশ্বম্বরপুর থানার সালবন গ্রামের মৃত মর্তুজ আলীর পুত্র দুলাল মিয়াকে (৩৫)
শনিবার আটককৃতদের আদালতে মাধ্যমে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়।
বাকি আসামিদের গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে বলে জানিয়েছেন থানার এস আই স্বাধিন তালুকদার।
পুলিশ সুত্রে জানাগেছে, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে পুলিশ জানতে পারে উপজেলার দয়ামীর ইউনিয়নের পারকুল গ্রামের গয়াছ আলীর বাড়ির উঠানে একটি নম্বর বিহীন চোরাই সিএনজি চালিত অটোরিকশা রয়েছে। সংবাদের ভিত্তিতে (১৯ জানুয়ারি) শনিবার সন্ধা সাড়ে ৭টার দিকে ঘটনাস্থলে গিয়ে এক চোরসহ অটোরিকশা সিএনজিটি আটক করে পুলিশ। এসময় চুরির সাথে জড়িত দুইজন পালিয়ে যায়। পুলিশের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আটক লেবুর কাছ থেকে বেরিয়ে আসে অটোরিক্সা চুর সিন্ডকেট দলের। লেবুর স্বীকারোক্তিতে গ্রেফতার করা হয় হাসন আলীকে ও তার পুত্র আরশ আলীকে। তার তথ্য মতে গেল ২৪ জানুয়ারি শনিবার রাত আড়াইটার দিকে সুনামগঞ্জের বিশ্বম্বরপুর থানার চিনাকান্দি গ্রাম থেকে গয়াছকে গ্রেফতার করে পুলিশ। গয়াছের তথ্য মতে গ্রেফতার করা হয় তাদের আরেক সহযোগী দুলালকে।
আসামি হাসন জানায়, গাড়ি চুরির আগের দিন অর্থাৎ (২৬ নভেম্বর ১৯ইং) তার চাচা ইন্তেকাল করেন। তার চাচার ইন্তেকালের খবর শুনে সংঘবদ্ধ চুরেরা জড়ো হয় হাসন আলীর বাড়িতে। দাফন শেষে চুরেরা হাসন আলীকে বলে খালি হাতে তো বাড়ি ফেরা যায়না কিছু নিয়ে যাই। তাই হাসন আলী তাদেরকে নিয়ে গেলেন সোনালি বাংলা বাজারে। সেখানে একটি গ্যারেজে বেশ কয়েকটি গাড়ি থাকলেও দুটি নিয়ে পালিয়ে যায় তারা। বিশ্বনাথের দশপাইকা গ্রামে পৌছামাত্র একটি গাড়ি নষ্ট হয়ে যায়। অপর গাড়িটি নিয়ে তারা ওসমানীনগরের পারকুল গ্রামে চলে যায়। ওই গাড়ি দিয়ে তারা আরো বেশ কয়েকটি চুরি ডাকাতি করেছে। অবশেষে ওই এলাকায় ছাগল চুরি করতে গিয়ে জনতার ইট পাটকেলের আঘাতে গাড়ির গ্লাসও ভেঙ্গে যায়। আর এই ছাগল চুরির সুত্র ধরে খবর চলে যায় পুলিশের কাছে। কথায় আছে চোরের ১০ দিন সাউদর একদিন।
লক্ষণীয় একটি বিষয় হচ্ছে, যে গ্যারেজে গাড়ি থাকত ওই গ্যারেজের মালিক রাতে পাহারা দিত। কিন্তু ওইদিন রাতে সে কেন পাহারা দেয়নি বিষয়টি রহস্যজনক বলে ধারনা এলাকাবাসীর। এদিকে গাড়ির ড্রাইভার জানে আলম গাড়ি চুরির ব্যাপারে তেমন কোন মাথা ব্যাথা নেই। এমন কি ওই ড্রাইভারকে দিয়ে থানায় একটি সাধারণ ডায়েরীও করানো যায়নি বলে জানা গেছে।
এ ব্যাপারে ওসমানীনগর থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। মামলা নং ০৭।
ওসমানীনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রাশেদ মোবারক আটকের সত্যতা স্বীকার করে বলেন, এ ঘটনায় ৫ চোরকে আটক করা হয়েছে। এদেরকে গতকাল আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।