ডাক ডেক্স : শেষ রক্ষা হয়নি মাদক সম্রাট ইন্তাজ আলীর। তার চ্যালেঞ্জ ছিল টাকার ভাগ বাটোয়ারা যখন দিচ্ছি তখন কে ধরবে আমাকে? তাই সে প্রকাশ্যে ইয়াবা-গাঁজার ব্যাগ নিয়ে চলাফেরা করত। বিশ্বাস ছিল কেউ তাকে ধরবেনা। কিন্তু তার মন্দ কপাল। অবশেষে র্যাবের জালে আটকা পড়লেন সেই সম্রাট। ইন্তাজ আলী নাকি একটি মসজিদের মোতাওয়াল্লি বটে। তার দাড়ি দেখলে কেউ বিশ্বাস করবেনা যে, সে একজন মাদক ব্যবসায়ি? একে একে এই এলাকার মাদক সশ্রাটদের গ্রেফতার করলে বিশ্বনাথবাসি র্যাব সহ আইন শৃংখলা বাহিনীকে স্যালুট জানাবে। ইন্তাজ আলী উপজেলার রামপাশা ইউনিয়নের চকরামপ্রসাদ গ্রামের মৃত ইছাক আলী ছেলে। রবিবার বিকেলে র্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয় র্যাব-৯ এর একটি দল ইন্তাজ আলীর বাড়িতে অভিযান চালিয়ে দেড় কেজি গাজাসহ তাকে গ্রেফতার করে। ধৃত ইন্তাজ আলী র্যাবের উপস্থিতি টের পেয়ে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করলে র্যাব তাকে দৌড়াইয়ে হাতে নাতে গাঁজা সহ গ্রেফতার করে। তার বিরুদ্ধে ২০১৮ সালের মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইন ৩৬ (১) এর ১৯ (ক) ধারা মতে থানা পুলিশ বাদি হয়ে একটি মামলা দায়ের করে, (মামলা নং-২০) তারিখ ২৪/১১/২০১৯ইং।
গতকাল থানা পুলিশ তাকে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাটিয়েছে। র্যাব ইন্তাজ আলীকে থানায় হস্থান্তর করার পর এসআই গোপেশ চন্দ্র দাস বাদি হয়ে এ মামলা দায়ের করেন। ইন্তাজ আলী একজন পেশাদার মাদক ব্যবসায়ী। আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারি বাহিনীর হাতে ১০ থেকে ১২ বার প্রেফতার হয়েছে। রাজনৈতিক দু’একজন পাতিনেতার সহযোগীতায় সে বড় বড় ইয়াবা ও গাঁজার চালান এনে বিভিন্ন উপজেলার পাইকারি বিক্রি করে বলে স্থানীয় জনসাধারণের অভিযোগ। গত ১১ আগষ্ট বিশ্বনাথের ডাক ২৪কম অনলাইন পোর্টালে ‘বিশ্বনাথে মাদকের অলিখিত অনুমতি চা’য়ের আড়ালে ইয়াবা বিক্রি’ শিরোনামে একটি সংবাদ প্রকাশিত হয়। সংবাদে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সহ আশপাশ গ্রামে মাদক ব্যবসার বিষয়ে উল্লেখ করা হয়েছিল। এতে অনেকেই এমন সংবাদে ক্ষীপ্ত হয়েছিলেন। কিন্তু মাত্র কয়েক দিনে সংবাদের সত্যতা প্রমান করলেন র্যাব কর্মকর্তারা।