বিশ্বনাথে মাজারের বিরোধ নিয়ে আদালতে মামলাঃ সুনামদি নয়, শাহ সিকান্দর!

Uncategorized
শেয়ার করুন

নিজস্ব প্রতিবেদক: বিশ্বনাথ উপজেলার ৩নং অলংকারী ইউনিয়নের পিঠাকরা গ্রামে একটি মাজার ও মাজার সংশ্লিষ্ট ভূমি নিয়ে দুটি পক্ষের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে চরম বিরোধ চলে আসছে। মাজারের রেকড পত্রে এবং এসএ বিএস রেকডে শাহ সিকান্দরের মাজার নামে রেকড থাকলেও শাহ সুনামদি নামে একটি সাইনবোড ঝুলিয়ে মাজারটি দখলের চেষ্টা করা হচ্ছে। এ নিয়ে গ্রামের একটি প্রভাবশালী মহল মাজারের রেকডীয় মালিকের উত্তরাধিকারের উপর কয়েক দফা হামলা ও সাজানো মামলা দিয়ে হয়রানী করার অভিযোগ রয়েছে।
গত ১২ সেপ্টেম্বর সিলেটের মাননীয় যুগ্ম জেলা জজ ৩য় আদালতে একটি স্বত্ব মামলা দায়ের করেন পিঠাকরা গ্রামের মৃত সিকান্দর আলীর পুত্র ইলিয়াছ হুমাইদি।
মামলায় বিভাগীয় কমিশনার বাংলাদেশের ওয়াকফ প্রশাসক সহ ১৫জনকে বিবাদি করা হয়। বাদী তার আবেদনে উল্লেখ করেন যে, পিঠাকরা মৌজার জে,এল নং-৩৫, এসএ খতিয়ান-২৪৮ ও ২০, এস এ দাগ-৭০৯,৭১৬ ও ৭১৮, বিএস- ৪৬৪খতিয়ান এবং বিএস দাগ-৮১১ ও ১০০৭নং দাগে ৩.৩৬ একর ভূমি শাহ সিকন্দর রহঃ নামে রেকডভুক্ত রয়েছে। জমির মালিক শাহ আজিম, শাহ সিকান্দর মাজারের নামে বর্ণিত ভূমি মৌখিকভাবে ওয়াকফ করে দেন। যার তৌজি নং-২৪৯৬৪, হরলাল মুন্সী মহাল দশসনা, থাক নং-৪০১৬, মোঃ আজিম নামে প্রচার ও প্রকাশিত হয়। মোঃ আজিমের মৃত্যুর পর একমাত্র পুত্র শাহ হাছন আলী উত্তরাধিকারী হন। হাছন আলীর মৃত্যুর পর তার তিনপুত্র শাহ জহুর আলী, শাহ মিম্বর আলী, শাহ ইরফান আলী উত্তরাধিকারী হন। তিনজনের মধ্যে শাহ জহুর আলী শাহ সিকন্দার (রহঃ) মাজারের মোতাওয়াল্লী নিযুক্ত হন। এসএ জরিপে জহির আলী নামে নালিশা ভূমি রেকডভুক্ত হয়। কিন্তু এসব রেকড থাকা স্বর্তেও বাংলাদেশ ওয়াকফ প্রশাসক ১৫৪০৫নং ইসি মুলে প্রতিপক্ষের সুবিধার্থে শাহ সুনামদি কল্পিত নামে বর্ণিত ভূমি ওয়াকফ তালিকাভুক্ত করেন। কিন্তু মাজারের ইতিহাসে সুনামদি নামের কোন অস্থিত নেই। ওয়াকফ তালিকাভুক্ত হওয়ার পূর্বে মাজারের দেয়ালে সুনামদি নামে একটি সাইনবোড লাগিয়ে দেয়ায় ওয়াকফ প্রশাসক এই নামে একটি কমিটিও গঠন করে দেন। বাদী তার আবেদনে শাহ সিকন্দর নামে মাজারের স্বত্ত্ব ঘোষণা ও ওয়াকফ প্রশাসকের সুনামদি নাম কমিটি বাতিলের দাবীতে মামলাটি দায়ের করেন।


শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *