স্টাফ রিপোর্টার : বিশ্বনাথ উপজেলার মুফতির গাঁও গ্রামে বসবাসকারি শাহজাহান মিয়ার নাবালিকা মেয়ে রেহানা বেগম আদালতে জবানবন্দি দিয়েছে। গত (৪ অক্টোবর) প্রথম শ্রেনীর জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রাট নওরীন করিমের আদালতে জবানবন্দি গ্রহণ করা হয়। নাবালিকা রেহানা তার জবানবন্দিতে আদালতে জানায়, গত ২/৩ মাস যাবৎ ধরে আসামি ওমর হোসেনের সাথে তার প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে। গত ২৮ সেপ্টেম্বর ওমর তাকে বাড়ি থেকে পালিয়ে নিয়ে যাওয়ার প্রস্তাব দেয়। কিন্তু মেয়েটি রাজি হয়নি। পরে মের তার সাধে না গেলে সুইসাইড করবে বলে হুমকি দেয়। এতে ওমরের ভয়ে পালিয়ে সিলেট শহরের একটি হোটেলে রাত্রিযাপন করে এবং তাকে বিয়ের প্রলোভন দিয়ে ধর্ষন করে। পরের দির তারা ঢাকার উদ্দেশ্যে রয়ানা দেয়। বাড়ির লোকেরা আমার সাথে ওমরের বিয়ে দেয়ার কথা বলে ফোন করলে আমাকে নিয়ে ওমর বাড়িতে চলে আসে। কিন্তু বাড়িতে আসার পর বিয়েতে কেউ রাজি হয়নি এবং ওমরও বিয়ে করবেনা বলে জানিয়ে দেয়। জবানবন্দিতে রেহানা আরো জানায় তারা দুজন পালিয়ে যেতে ওমরের ভাই ইমন সহায়তা করে।
এদিকে এই ঘটনার পর ওমরের স্বজনরা এই গ্রামের একজন মুরব্বিকে ফেসবুকে বিভিন্ন ভাষায় খারাপ মন্তব্য করে সমাজে হেয় প্রতিপন্ন করার চেষ্টা করছে। অথচ এ ব্যাপারে তিনি কিছুই জানেন নি। উল্লেখ্য যে, নাবালিকা এই মেয়েটিকে ধর্ষনের অভিযোগে গত ৩০ সেপ্টেম্বর বিশ্বনাথ থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে একটি মামলা দায়ের করা হয়, (মামলা নং-২৬/২০২০ইং)।মামলা দায়েরের পর থেকে আসামি ওমর হোসেন জেল হাজতে রয়েছে। ওমরের পিতা আজিজুর রহমান আমেরিকা প্রবাসি হওয়ায় এবং পরিবারের আশকারা পেয়ে নাবালিকা এই মেয়েটিকে নির্যাতন করে আসামি ওমর। রেহানা বেগমের পিতা শাহজাহান মিয়া জানান, আমি গরিব লোক আমার নাবালিকা মেয়েকে নির্যাতনের উপযুক্ত বিচার চাই। আমি বর্তমানে দারুণ নিরাপত্তাহিনতায় ভোগছি। শাহজাহানের বাড়ি হবিগঞ্জের মাধবপুর উপজেলায়।