স্টাফ রিপোর্টার : সিলেটের বিশ্বনাথ উপজেলার ৩নং অংলকারি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নাজমুল ইসলাম রুহেলের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অভিযোগের তদন্ত ৭দিনের মধ্যে রিপোর্ট দেয়ার কথা থাকলেও ১৩ দিন পেরিয়ে গেলেও তদন্ত শুরু হয়নি। বিএনপি নেতা রুহেলের পক্ষে একটি মহল অর্থের বিনিময়ে তাকে রক্ষার জন্য বিভিন্ন স্থানে চেষ্টা তদবির করছেন। যে কারনে তার বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা গ্রহনে বিলম্ব হচ্ছে। আর এই বিলম্বের সুযোগে রুহেল চেয়ারম্যান নিজেকে রক্ষার সুযোগ পাচ্ছেন।
গত ২৩ আগষ্ট বিশ্বনাথ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বর্ণালী পাল সিলেট স্থানীয় সরকার বিভাগের নির্দেশনা মোতাবেক অলংকারি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নামজুল ইসলাম রুহেলের বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগের তদন্ত ৭ দিনের মধ্যে সম্পন্ন করে মতামতসহ রিপোর্ট প্রদানের জন্য উপজেলা কৃষি কর্মকর্তাকে দায়িত্ব প্রদান করেন। কিন্তু ১৩ দিন পেরিয়ে গেলেও কৃষি কর্মকর্তা তদন্ত কার্যক্রম শুরুই করেননি। অভিযোগকারিগণ তার সাথে মোবাইলে যোগাযোগ করে তদন্তের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি ক্ষীপ্ত হয়ে বলেন, তদন্তে তারিখ নির্ধারণ করা হলে জানানো হবে, আগে বাগে জানার কি দরকার আছে। এ ব্যাপারে কৃষি কর্মকর্তা রমজান আলী বলেন, আমি তদন্ত করব কি না, নোটিশ দেব কি না এটা আমার বিষয়। মিডিয়াকে বলার কোন দরকার নেই। একথা বলে তিনি উত্তেজিত হয়ে পড়েন।
চেয়ারম্যান রুহেলের বিরুদ্ধে খুনের মামলা সহ প্রায় ১০/১২টি মামলা ছিল। ইতিমধ্যে খুনের মামলাসহ অনেকগুলো মামলার চার্জশীট দাখিল করা হয়েছিল। বর্তমানে ৩টি মামলা বিচারাধীন এবং ২টি মামলা বিশ^নাথ থানা পুলিশ তদন্ত করছে। গত ২৪ জুন ২০২০ইং মনোকুপা গ্রামের মসজিদের মোতাওয়াল্লি মখলিসুর রহমান হত্যাকান্ডের মামলায় আসামি হয়ে পলাতক রয়েছেন। স্থানীয় কয়েকজন ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য ও এলাকাবাসি ও স্থানীয় সরকার মন্ত্রী, স্থানীয় সরকার সচিব ও জেলা প্রশাসক বরাবরে চেয়ারম্যানকে অপসারন বা বহিস্কারের জন্য অভিযোগ দাখিল করেন। গত ৫ আগষ্ট চেয়ারম্যানকে গ্রেফতার ও বহিস্কারের দাবি জানিয়ে এলাকাবাসি সাংবাদিক সম্মেলনও করেছিলেন। জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের স্থানীয় সরকার শাখা গত ২৭ আগষ্ট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে বিষয়টি তদন্তের নির্দেশ দিলে, নির্বাহী কর্মকর্তা ৭ দিনের মধ্যে বিষয়টি তদন্তের জন্য কৃষি কর্মকর্তাকে দায়িত্ব প্রদান করেন।