নিজস্ব প্রতিবেদক: বিশ্বনাথ উপজেলার বহুল আলোচিত- সমালোচিত দাপটে সমবায় কর্মকর্তা কৃষ্ণা রাণী তালুকদারকে বি-বাড়িয়ায় বদলি করা হয়েছে। একাধিক অভিযোগের তদন্তের পর তাকে বদলী করা হয়েছে। কৃষ্ণা রাণী তালুকদার সিলেটের যে কোন উপজেলায় বদলী হয়ে থাকার চেষ্টা তদবির করেও সিলেটে থাকতে পারেননি। এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন চাউলধনী হাওর রক্ষা ও কৃষক বাঁচাও আন্দোলন কমিটির আহবায়ক আবুল কালাম।
চাউলধনী হাওরের লীজ ও ডাবল মার্ডারের জন্য এই কর্মকর্তা দায়ী। দশঘর মৎস্যজীবি সমবায় সমিতি একটি অযোগ্য সমিতি হওয়া স্বর্তেও কৃষ্ণা রাণী জ্বাল কাগজপত্র তৈরী করে দিয়ে সমিতিকে বৈধ করে হাওর নিলাম ডাকের সুযোগ করে দেন এবং চাউলধনী হাওর লীজ পাওয়ার পর দশঘর মৎস্যজীবি সমবায় সমিতিকে দিয়ে যুক্তরাজ্য প্রবাসী সাইফুল ও তার বাহিনীর নিকট বেআইনিভাবে সাবলীজ প্রদানে মূখ্যভূমিকা পালন করেন। সাবলীজ গ্রহণ করে সাইফুল বাহিনী চাউলধনী হাওরে কৃষকের জমি জলাশয়, পুকুর জোরপূর্বক দখল করে আতংক সৃষ্টি করে। তার বাহিনী দুটি হত্যাকান্ডও ঘটায়। এই সমবায় কর্মকর্তার বিরুদ্ধে মন্ত্রনালয়সহ উর্ধ্বতন মহলে অভিযোগ দাখিল করার পর সুনামগঞ্জের সমবায় কর্মকর্তা বশির আহমদ ৭ মার্চ সোমবার সকালে বিশ্বনাথ সমবায় কর্মকর্তার কার্যালয়ে তদন্ত সম্পন্ন করেন। ইতিমধ্যে তিনি উর্ধ্বতন মহলে রির্পোট দালিখের পর তাকে (কৃষ্ণা রাণী) বদলী করা হলো। কৃষ্ণা রাণীর বাড়ী নেত্রকোনা জেলায় থাকলেও সিলেটের কোঠায় চাকুরীতে যোগদান করেন।