বিশ্বনাথে প্রেমিকার সঙ্গে অভিমান করে ছাত্রলীগ নেতার আত্মহত্যা

Uncategorized
শেয়ার করুন

ডাক ডেক্স : প্রেমিকার সঙ্গে অভিমান করে সিলেটের বিশ্বনাথ উপজেলা ছাত্রলীগের সহ সভাপতি শিপন আলী (২৫) গলায় ওড়না পেঁচিয়ে ঘরের সিলিং ফ্যানের সঙ্গে আত্বহত্যা করেছেন। সে উপজেলার দৌলতপুর ইউনিয়নের দুর্যাকাপন গ্রামের ফজর আলীর ছেলে। সোমবার রাত প্রায় সাড়ে ১১টার দিকে উপজেলা সদরের টিএন্ডটি রোডে শিপন মিয়ার বোনের বাসায় এ আত্বহত্যার ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে থানা পুলিশ রাতেই ঘটনাস্থলে গিয়ে ঘরের দরজা ভেঙ্গে শিপনকে ঝুলন্ত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়। মঙ্গলবার সকালে লাশটি সিলেট ওসমানী হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করেছে পুলিশ।

শিপন আলীর আত্বহত্যার বিষয়টি নিশ্চিত করে উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি শীতল বৈদ্য জানান, শিপন আলী সোমবার রাতে এক বন্ধুর বাসায় খাবার খেয়ে উপজেলা সদরের টিএনটি রোডস্থ তার বোনের ভাড়াটি বাসায় চলে যায়। বোনের বাসা একা থাকায় রাতে সেখানে অবস্থান করে এবং মোবাইল ফোনে তার প্রেমিকার সঙ্গে কথা বলতে থাকে। একপর্যায়ে সে গলায় ওড়না পেছিয়ে আত্মহত্যা করে। রাত সাড়ে ১১টায় একটি অপরিচিত নাম্বার থেকে শিপন মিয়ার ভাই ওমান যাত্রী লিটন মিয়াকে (ঢাকা বিমান বন্দরে অবস্থানরত) একটি মেয়ে ফোন করে বলে শিপন আত্মহত্যা করেছে। এই সংবাদটি সাথে সাথে লিটন তার পরিবারের সদস্যদের জানান। খবর পেয়ে স্থানীয় লোকজনদের সহযোগীতায় থানা পুলিশ বাসার দরজা ভেঙ্গে শিপনকে উদ্ধার করে। এরপর শিপন মিয়াকে সিলেট নর্থ ইস্ট মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। ধারণা করা হচ্ছে প্রেমিকার সঙ্গে অভিমান করে সে আত্মহত্যা করেছে।

বিভিন্ন সূত্রে জানাগেছে, উপজেলার দূর্যাকাপন গ্রামের ফজর আলীর ছেলে শিপন মিয়া তার আপন বোনের ভাড়া বাসা উপজেলা সদরের টিএন্ডটি রোডে থাকতেন। বাসায় প্রায় সময় তিনি আশা যাওয়া করেন। গত দুইদিন আগে শিপনের বোন ও তার পরিবারের লোকজন তাদের (শিপনের) বাড়িতে বেড়াতে যান। কিন্তু বাসা খালি থাকায় শিপন ওই বাসায় থাকেন। দীর্ঘদিন ধরে একটি মেয়ের সঙ্গে শিপনের প্রেমের সর্ম্পক রয়েছে। প্রতিনিয়ত ওই মেয়ের সঙ্গে সে মোবাইল ফোনে কথা বলত। সোমবার রাত প্রায় ১১টার দিকে ওই মেয়ের সঙ্গে মোবাইল ফোনে কথা বলছিল। এসময় প্রেমিকার সঙ্গে অভিমান করে সে গলায় ওড়না পেছিয়ে ঘরের সিলিং ফ্যানের সঙ্গে আত্বহত্যা করে।এসময় প্রেমিকা শিপনের ভাই লিটন মিয়াকে মোবাইল ফোনে এবিষয়টি অবহিত করে। এমন খবর পেয়ে শিপনের পরিবারের সদস্যরা বাসায় ছুটে যান। বাসায় এসে তারা বাসার সকল দরজা-জানালা বন্ধ পান। এসময় তারা শিপনকে অনেক ডাকা-ডাকি করে তাঁর কোনো সাঁড়া শব্দ পাননি। পরে পুলিশকে অবহিত করেন।

এদিকে শিপনের ভাই লিটন মিয়া বিদেশে যাওয়ার জন্য তিনি সোমবার ঢাকায় অবস্থান করছিলেন। কিন্তু ভাইয়ের মৃত্যুর সংবাদ শুনে তিনি ঢাকা থেকে আজ মঙ্গলবার বাড়িতে ছুটে আসেন।

তবে এব্যাপারে শিপনের পরিবারের সঙ্গে মোবাইল ফোনে যোগাযোগের চেষ্ঠা করা হলে কারও বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি।

বিশ্বনাথ থানার অফিসার ইন-চার্জ (ওসি) শামীম মুসা বলেন, আজ মঙ্গলবার সকালে লাশটি সিলেট ওসমানী হাসপাতালে মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে বলে তিনি জানান।

সংবাদটি শেয়ার করুন


শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *