স্টাফ রিপোর্টার : পূর্ব বিরুধের জের ধরে সিলেটের বিশ্বনাথে আল-ইসলাহ নেতা মাওলানা ইলিয়াস আল হুমাইদিসহ ৫জনকে কুপিয়ে গুরুত্বর জখম করেছে একদল সন্ত্রাসীরা। গতকাল (২৬ মার্চ) বিকেল ৫টার দিকে উপজেলার অলংকারি ইউনিয়নের পিটাকরা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে আহতদের উদ্ধার করে সিলেট ওসমানী হাসপাতালে প্রেরণ করে। আহতরা হলেন, মৃত সিকন্দর আলীর পুত্র উপজেলা আল-ইসলাহ নেতা মাওলানা ইলিয়াস আল-হুমাইদি ও তার বড় ভাই আলকাছ আলী (৫০), মৃত জাহির আলীর পুত্র সুহেল মিয়া (৩৭), বেগম বাহার (৩৮) এবং রাগীব রাবেয়া ডিগ্রি কলেজের দ্বাদশ শ্রেণীর শিক্ষার্থী ইমরানা বেগম (১৮)।
সরেজমিন গিয়ে জানা গেছে, দীর্ঘ দিন ধরে পিটাকরা গ্রামে শাহ সিকান্দার দরগাহ শরীফ নিয়ে ইলিয়াস হুমাইদি ও প্রতিপক্ষ মৃত আব্দুল মুতলিবের উরফে কটাই মিয়ার ছেলে আখতার হোসেনের মধ্যে বিরুধ চলে আসছে। এ নিয়ে উভয় পক্ষের মধ্যে ভিবিন্ন দফতরে পাল্টা-পাল্টি অভিযোগ রয়েছে। প্রতিপক্ষ আখতার হোসেন প্রভাবশালি থাকায় হুমাইদিকে ঘায়েল করতে ২০১৯ সালের ৩ নভেম্বর হুমাইদি সহ ৫জনকে আসামি করে আদালতে একটি সাজানো মিথ্যা চাঁদাবাজির মামলা দায়ের করনে, মামলা নং-৫/২৩৫)। প্রায় ৫৭ দিন হাজতবাস শেষে জামিনে মুক্তি পান হুমাইদি। এর পর থেকে হুমাইদি ও তার পরিবার মামলা-হামলার ভয়ে পালিয়ে বেড়াতেন বলে স্থানীয়রা জানিয়েছেন। আখতার হোসেনের দেয়া চাঁদাবাজির মামলা দীর্ঘ তদন্ত শেষে গত ২৪ মার্চ আদালতে চুড়ান্ত রিপোর্ট দাখিল করে বিশ্বনাথ থানা পুলিশ। এতে মামলার বাদি আখতার হোসেন ক্ষীপ্ত হয়ে হুমাইদি ও তার পরিবারের উপর সন্ত্রাসী হামলা চালায়। মাওলানা হুমাইদিকে প্রাণে হত্যার জন্য আক্রমন করা হয়েছিল, কিন্তু অল্পের জন্য তিনি রক্ষা পান। বর্তমানে তিনি আশংঙ্কাজনক অবস্থায় রয়েছেন বলে জানা গেছে। আহতরা বর্তমানে অসহায় অবস্থায় হাসপাতালে মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছে। এ পরিবারটিকে উচ্ছেদের জন্য প্রবাবশালি মহল উঠে পড়ে লেগেছে। যে কোন সময় বড় ধরনের দূর্ঘটনা ঘটতে পারে । এ ব্যাপারে উর্ধতন পুলিশ মহলের নজর দেয়া জরুরী।
এদিকে বিশিষ্ট আলেমে দ্বীন মাদরাসা সুপার ও আল-ইসলাহ নেতা ইলিয়াস আল-হুমাইদির উপর সন্ত্রাসী হামলায় প্রতিবাদের ঝড় বইছে যোগাযোগ মাধ্যম ফেইসবুকে। তারা এ ঘটনায় জড়িতদের শাস্তির দাবি করে দায়েরি মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের দাবি জানান।