ডেক্স রিপোর্ট : সিলেটের বিশ্বনাথে পুলিশের সঙ্গে ডাকাতদলের ডাকাতদলের সাথে পুলিশের গুলাগুলিরে ঘটনা ঘটে। পুলিশের গুলিতে অজ্ঞাত এক ডাকাত নিহত হয়। এসময় বিশ্বনাথ থানার এসআইসহ তিন পুলিশ সদস্যও আহত হন। শুক্রবার গভীর রাতে উপজেলার বিশ্বনাথ-জগন্নাথপুর বাইপাশ সড়কের সুড়িরখাল নামক স্থানে ডাকাত দলের সঙ্গে পুলিশের বন্ধুক যুদ্ধ হয়। আহত পুলিশ সদস্যরা হলেন-বিশ্বনাথ থানার এসআই মিজানুর রহমান মিজান, কনস্টেবল চন্দন গৌর ও রাসেল দাশ। আহত পুলিশ সদস্যদের সিলেট ওসমানী হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে। শনিবার সকালে নিহত ডাকাতকে সিলেট ওসমানী হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। এদিকে, ডাকাত নিহতের খবর শুনে ঘটনাস্থলের চর্তুদিকের গ্রামের লোকজন গুলাগুলির খবর শুনে জড়ো হন। তারা ডাকাতদলকে ধরার জন্য পুলিশের সাথে সার্বিক সহযোগিতা করেন। এ ঘটনার ১০ দিন পূর্বে বিশ্বনাথ জগন্নাথপুর বাইপাস সড়কে রাত সোয় ১২ টার দিকে মাওলানা আব্দুল আহাদ (ফেঞ্চুগঞ্জ) কে একদল ডাকাত আটক করে নগদ ৩৫ হাজার টাকা ও তিনটি মোবাইল সেট লুট করে নেয়। এ ঘটনার তিনি রাত সাড়ে 3টায় বিশ্বনাথ থানা পুলিশকে লিখিত অভিযোগ দিয়ে যান।
এলাকাবাসি ও পুলিশ সূত্রে জানাগেছে, বিশ্বনাথ-জগন্নাথপুর বাইপাস সড়কের গত এক সপ্তাহে কয়েকটি ডাকাতির ঘটনা সংগঠিত হয়েছে। শুক্রবার দিবাগত রাত সাড়ে ৩টায় বিশ্বনাথ-জগন্নাথপুর বাইপাস সড়কে গাছ ফেলে ১০/১২জন ডাকাতদল ডাকাতির প্রস্তুতি নেয়। এসময় এক মোটরসাইকেল আরোহী টহলরত পুলিশকে অবহিত করেন। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে ডাকাতদের গ্রেফতারে অভিযানে নামে ডাকাতদল পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে পুলিশকে লক্ষ্যে করে গুলি ছুড়তে থাকে এবং পুলিশও আত্বরক্ষার্থে পাল্টা গুলি চালায়। এতে এক অজ্ঞাতনামা ডাকাত নিহত হয়। ডাকাতদের ছুড়া গুলিতে থানার এসআইসহ তিন পুলিশ আহত হন। ঘটনাস্থল থেকে পুলিশ একটি পাইপগান, তিন রাউন্ড কার্তুজ, ১টি দা (বটি) ও ১টি করাত উদ্ধার করে। রাতেই ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন সিলেটের ওসমানীনগর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রফিকুল ইসলাম।
ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বিশ্বনাথ থানার অফিসার ইন-চার্জ (ওসি) শামীম মুসা বলেন, নিহত ডাকাতের পরিচয় সনাক্তকরণের চেষ্ঠা চলছে।