নিজস্ব প্রতিবেদক : নদীর দেশ, হাওরের দেশ, খাল বিলের দেশ বাংলাদেশ। কিন্তু এসব আর এখন নেই। কোন এলাকায় হাওর-বাওর, বিলে মাছ না থাকলেও গ্রামীণ ঐতিহ্য সংস্কৃতি টিকে আছে মানুষের অন্তরে। গ্রাম বাংলার মাছ ধরার একটি উৎস হচ্ছে পলো বাওয়া। কেউ মাছ পায়, কেউ মাছ না পেয়েও আনন্দে ভেসে যায়। পানির ঝুম ঝুম তালে অনেক শিশু কিশোর জলে ডুবে উল্লাশ করে। এটা যেন গ্রামীণ সাংস্কৃতি রক্ষার একটি বড় উদ্যোগ। শনিবার সকাল থেকে শুরু করে দিন ব্যাপী এ উৎসব পালন করা হয় উপজেলার দৌলতপুর ইউনিয়নের গোয়াহরি বিলে। পলোবাওয়া উৎসবের ছবি ফুটেজ সংগ্রহ করতে ঢাকা-সিলেট থেকে সাংবাদিকসহ উৎসুক জনতার ভিড় দেখা গেছে। এ উৎসবের সপ্তাহখানেক আগ থেকে এলাকায় তেলের টিনে ডাক-ঢুল বাজিয়ে জানিয়ে দেয়া হয় উৎসবের তারিখ। প্রতি বছর মাঘ মাসের প্রথম তারিখে গ্রামবাসী দক্ষিণের বড় বিলে ওই উৎসব পালন করে থাকেন। এই উৎসবটি ধরে রেখেছেন বিশ্বনাথের গোয়াহরী গ্রামের লোকজন।
সকাল থেকে হাওর পারের লোকজন পলোসহ মাছ ধরার বিভিন্ন যন্ত্র নিয়ে বিলের পাড়ে সমবেত হতে থাকেন। দুপুরে ১১টায় ভিবিন্ন দেশে থেকে আসা প্রবাসীসহ একসঙ্গে গ্রামের শত শত লোকজন পলো নিয়ে বিলের পানিতে ঝাঁপিয়ে পড়েন। এ সময় উৎসবটি উপভোগ করতে গ্রামের নারী-পুরুষ, শিশু-কিশোরসহ সবাই বিলের পাড়ে উল্লাস করেন। বিলের পাড়ে উৎসব উপভোগ করতে যাওয়া গ্রামের অনেক প্রবীণদের সাথে কথা বলে জানাযায়, তাদের পূর্বপুরুষেরা প্রায় দেড়শ’ বছর ধরে এ উৎসব পালন করে আসছেন। তাই তারা প্রতি বছর এ উৎসব পালন করে ধারাবাহিকতা রক্ষা করে আসছেন। উৎসবে পলো দিয়ে অনেকেই রুই, রাঙ্গা কারপু, বোয়াল, শউল ও মাগুর মাছসহ নান প্রজাতির হরেক রকমের মাছ ধরেছেন।
যুক্তরাজ্য প্রবাসী ছাদিক হোসাইন বলেন, গ্রামবাংলার ঐতিহ্যবাহি পলো বাওয়া উৎসব প্রতি বছর উৎসবের মত পালন করা হয়। এতে সব বয়সি মানুষ উৎসবে অংশ গ্রহন করেন। তিনি বলেন, পলো বাওয়া উৎসবে অনেক প্রবাসী সৌখিন মানুষেরা প্রবাস থেকে আসেন।