নিজস্ব প্রতিবেদক: বিশ্বনাথের চাঞ্চল্যকর স্কুলছাত্র সুমেল ও কৃষক ছরকুম আলী দয়াল হত্যা মামলার আসামীরা মহামান্য হাইকোট থেকে জামিনে মুক্তি লাভ করে। জামিনে মুক্তিলাভের পর তারা এলাকায় বাদী স্বাক্ষীদের মামলা তুলে নেয়ার হুমকি দেয় এবং আরেকটি হত্যাকান্ড ঘটনোর জন্য বিভিন্ন পরিকল্পনা গ্রহণ করতে থাকে। ডাবল মার্ডারের বাদী পক্ষ ইতিপূর্বে বিশ্বনাথ থানায় দুই-তিনটি জিডি এন্ট্রিও করেছিলেন।
৯ মার্চ বুধবার সন্ধা ৬টার সময় খুনী সাইফুলের বাড়ীর সামনে দয়াল হত্যা মামলার বাদী আহমদ আলীকে খুনীরা জোরপূর্বক অপহরন করে নিয়ে খুন করার প্রচেষ্ঠায় ব্যর্থ হয়। আহমদ আলী স্থানীয় টুকেরবাজার থেকে বাড়ী ফেরার পথে ্ওৎ পেতে থাকা আসামী সিরাজ, সদরুল, নজরুল, পারভেজ, আছকির, জাবেদ মোল্লা সহ ৭/৮জনের একদল খুনীরা আহমদ আলীকে জোরপূর্বক অপহরনের চেষ্টা করে। আহমদ আলীর হাকচিৎকারে গ্রামবাসীরা এগিয়ে গেলে খুনীরা তাকে মারপিঠ করে রাস্তায় ফেলে যায়। প্রথমে আহমদ আলীকে বিশ্বনাথ উপজেলা স্বাস্থ্য কেন্দ্রে ভর্তি করা হয় এবং তার অবস্থার অবনতি ঘটলে তাকে সিলেটের এমএজি ওসমানী মেডিকেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এ রির্পোট লেখা পর্যন্ত আহত আহমদ আলীর জ্ঞান ফিরেনি। এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন ইউপি সদস্য আনোয়ার হোসেন ধন মিয়া।
বিশ্বনাথ থানার ওসি (তদন্ত) রমা প্রসাদ চক্রবর্তী জানান, আহমদ আলীর উপর হামলার খবর পেয়েই আমি নিজেই একদল পুলিশ নিয়ে ঘটনাস্থলে যাই। আহমদ আলীকে চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে নেয়া হয়েছে। উভয় পক্ষই একে অপরকে হামলার জন্য দায়ী করেছে। অভিযোগ পেলে তদন্তপূর্বক ব্যবস্থা নেয়া হবে।