নিজস্ব প্রতিবেদক: বিশ্বনাথের চাঞ্চল্যকর স্কুলছাত্র সুমেল হত্যা মামলার ১৪ আসামী জনরোষের আংশকায় আদালতে সারেন্ডার করেছে।
আজ ২৬ অক্টোবর মঙ্গলবার সিলেটের চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্যাট কাওছার আহমদ এর আদালতে সারেন্ডার করে। আসামীরা হচ্ছেন, লুৎফুর রহমান, ময়ুর মিয়া, ইলিয়াছ আলী, মামুনুর রশীদ, দিলাফর আলী, ওয়াহিদ, জামাল আহমদ, দিলোয়ার হোসেন, ফরিদ মিয়া, আকবর আলী, আজাদ মিয়া, মুক্তার আলী, আব্দুর রকিব, আঙ্গুর আলী। মহামান্য হাইকোর্ট থেকে তাদের সঙ্গীয় জামিনপ্রাপ্ত আসামী শাহিন মিয়া জেলহাজতে রয়েছে।
আসামীরা গত ১৬ সেপ্টেম্বর মহামান্য হাইকোর্ট থেকে ৬ সপ্তাহের (৬ন্স৭) ৪২ দিনের জামিন লাভ করেছিলেন। মহামান্য হইকোর্টের নিদের্শনা মতে ২৮ অক্টোবর আদালতে হাজির হওয়ার কথা। কিন্তু জনরোষের ভয়ে আসামীরা ২দিন আগে (আজ) ২৬ অক্টোবর সারেন্ডার করলে আদালত ২৮ অক্টোবর শুনানীর দিন ধার্য্য করেন এবং আসামীরা ফিরে যায়। এ তথ্য নিশ্চিত করেন বাদী পক্ষের সিনিয়র আইনজীবি এএসএম গফুর। আসামী পক্ষে শুনানীতে অংশগ্রহন করেন হত্যা মামলার প্রধান আসামী জেলহাজতে থাকা সাইফুলের ঘনিষ্ট বন্ধু আইনজীবি গিয়াস উদ্দিন।
এদিকে, সিলেটের জেলা ও দায়রা জজ আদালতে রৌশন আলীর দায়েরী চাউলধনী হাওরের প্রতারনা মামলা আসামী শাহীন, জলিল, ফখরুল ও জুনাব আলীর শুনানী ছিল। বাদী পক্ষের আইনজীবি শুনানীকালে আদালতকে জানান, দশঘর মৎস্যজীবি সমবায় সমিতি লিঃ অযোগ্য সমিতি থাকাবস্থায় জ্বাল কাগজপত্র তৈরী করে হাওরটি লীজ নিয়ে সাবলীজ দিয়ে দুটি হত্যাকান্ড ঘটায়। দয়াল হত্যাকান্ডের পর আসামীদের গ্রেফতার না করায় স্কুলছাত্র সুমেলকে হত্যা করা হয়। তিনি জামিনের বিরোধীতা করেন। শুনানী শেষে আদালত শাহিন, জলিল ও জুনাব আলী জামিন নামঞ্জুর করেন। সুমেল হত্যা মামলার শুনানী হয়নি। আগামী ৪ নভেম্বর শুনানীর দিন ধার্য্য করেন। শুনানীতে বাদী পক্ষের আইনজীবি এএসএম গফুর, রেজাউল করীম ও একেএম সামিউল অংশগ্রহণ করেন । আসামী পক্ষে ছিলেন সিনিয়র এডভোকেট লালা ও গিয়াস উদ্দিন।
উল্লেখ্য যে, গত বৃহস্পতিবার ঢাকার সেগুনবাগিছা এলাকার একটি ১১তলা বিল্ডিং থেকে বাদী পক্ষ মামলার প্রধান আসামী সাইফুলকে আটক করে এবং রমনা থানা পুলিশের সহায়তায় বিশ্বনাথ থানা পুলিশ আটককৃত সাইফুলকে নিয়ে আসে এবং বর্তমানে সে জেলহাজতে রয়েছে। চলতি বছর ২৮ জানুয়ারী কৃষক ছরকুম আলী দয়াল ও ১লা মে স্কুলছাত্র সুমেল কে খুন করা হয়।