নিজস্ব প্রতিবেদক : সিলেটের বিশ্বনাথ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে মহিলাদের জরায়ু ও স্তন ক্যান্সার নির্নয় ও প্রতিরোধে এক কর্মশালা বুধবার (১৫নভেম্বর) দুপুরে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স হলরুমে এই অনুষ্ঠিত হয়েছে।
কর্মশালায় উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা: মো: দেলোয়ার হোসেনের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন, সিলেটের সিভিল সার্জন ডা: মনিসর চৌধুরী। বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শাহিনা আক্তার।
কর্মশালায় বক্তারা বলেন, জরায়ু ও স্তন ক্যাসার রোধে কিশোরী ও মায়েদের পরিস্কার পরিচ্ছন্নতার উপর গুরুত্বারোপ করেন। তারা বলেন, কিশোরী মেয়েদের মাসিক সমস্যা থেকে অনেক সময় জরায়ু ক্যান্সারের উৎপত্তি ঘটে। তাই কিশোরিদের মা ও অভিভাবকরা বিষয়টির প্রতি সু-নজর দৃষ্টি রেখে তাদের পরিস্কার পরিচ্ছন্ন কাপড় ব্যবহার করাতে হবে। অনেক গরিব ও অশিক্ষিত পরিবারের মেয়েরা স্তন ও জরায়ু ক্যান্সারের বিষয়টি জেনেও পারিবারিক ভয়ে গোপন রাখায় অকালে অনেক মায়ের মৃত্যু ঘটে। যে কারনে সরকার ক্যান্সার প্রতিরোধে উদ্যোগ গ্রহন করেছেন। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার নির্দেশনা অনুযায়ী জরায়ু মুখের ক্যান্সার পুর্ব ব্যবস্থার ভায়া পদ্ধতির পাশাপাশি এইচপিভি পরীক্ষার ব্যবস্থা থাকলে তা আরও নির্ভুলভাবে ক্যান্সার জীবানুর সনাক্ত করা যায়। সর্ববস্থায় এদেশে একজন মহিলা যাতে জরায়ু ও স্তন ক্যান্সারে মারা না যায়, সেদিকে স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা বিভাগের কর্মকর্তা কর্মচারিরা কিশোরী বয়স থেকে জন সচেতনতা সৃস্টির লক্ষ্যে কাজ করছেন এবং যে কোন সমস্যায় কোন ধরনের ভয়ভীতি না করে সরাসরি উপজেলা হাসপাতালে এসে চিকিৎসা নেয়ার জন্য এলাকাবাসির প্রতি আহবান জানান।
কর্মশালায় অন্যান্যদের মধ্যে উপস্তিত ছিলেন জুনিয়র কনসালট্যান্ট গাইনী ডা: অর্পিতা ভট্টাচার্য, আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা : রাজীব বৈশ্নব, মেডিকেল অফিসার রোগ নিয়ন্ত্রণ ডা গোলাম মর্তুজা।জহিরুল ইসলাম জেলা সমন্বয় কারী( বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়) শাহবাগ, ঢাকা।
উল্লেখ্য যে, গত ১১ ই নভেম্বর থেকে ১৫ ই নভেম্বর পর্যন্ত উপজেলার ১৯ টি কমিউনিটি ক্লিনিক এ ১৭০৮ জনকে ভায়া পরীক্ষার আওতায় নিয়ে আসা হয়েছে বলে সভাকে অবহিত করেছেন স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. মো: দেলোয়ার হোসেন।