নিজস্ব প্রতিবেদক :: সম্প্রতিকালে সিলেটে ১৪ট্রাক চোরাচালানি চিনি আটকের পর সর্বত্র তুলপাড় সৃষ্টি হয়েছিল। এ ঘটনা ধামা চাপা দেয়ার জন্য প্রশাসনের অনেকেই তৎপর ছিলেন। কিন্তু শেষ রক্ষা হয়নি। অবশেষে ছাত্রলীগ, যুবলীগ নামধারি দুজনকে গ্রেফতারের পর পরিস্তিতি কিছুটা শান্ত হলেও সিলেটের প্রশাসনের একজন বড় কর্মকর্তাকে বদলি করা হয়েছে। এ ঘটনার পর চোরাচালানিরা তাদের রুপ পরিবর্তণ করে বিশ্বনাথের দিকে আসা যাওয়া শুরু করেছে। ইতিপূর্বে বিশ্বনাথে ৩-৪বার চোরাচালানি চিনি আটক করা হয়েছে। কিন্তু এদের বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা নেয়া হয়নি।
গতকাল রবিবার রাত ৯টার দিকে বিশ্বনাথ-রশিদপুর সড়কের কারিকোনা এলাকায় চোরাচালানি চিনি ভর্তি কয়েকটি ট্রাক রশিদপুর হয়ে অন্যত্র যাওয়ার জন্য ঢুকে ছিল। ট্রাকে চোরাচালানি চিনি রয়েছে। এমন সংবাদে এলাকার বেশ কিছু যুবক জড়ো হতে থাকলে দ্রæত কয়েকটি ট্রাক চলে যায়। তার পর স্থানীয় লোকজন ৩টি ট্রাক আটক করলে খরব পেয়ে থানা পুলিশ গিয়ে ৩টি ট্রাকে সরকারি চাল বলে দুটি ট্রাক ছেড়ে দেয়। লোকজনের চাপের মুখে একটি ট্রাক থানায় নিয়ে আসলে দেখা যায় এবস ট্রাকে চিনি ভর্তি রয়েছে। পরদিন সকালে পুলিশ সাংবাদিকদের জানায়, এসব চিনি নরসিংদীর দেশবন্ধু একটি কোম্পানি বাজার জাত করনের জন্য নিয়ে এসেছিল।
বিশ্বনাথ থানার এসআই আবু সালেহ জানান, চিনির কোম্পানির লোকজন তাদের কাগজপত্র নিয়ে এসেছে।
সচেতন মহল বলছেন, চিনি চোরাচালানির সাথে কারা জড়িত এ ব্যাপারে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়া উচিৎ।