স্টাফ রিপোর্টার : সিলেটের বিশ্বনাথ উপজেলার খাজাঞ্চি ইউনিয়নের ইসলামপুর গ্রামের এক কাজের মেয়েকে ধর্ষণ করেছে রুহুল আমিন শাহার (৩৫) নামের এক ইমাম। সে সুনামগঞ্জ জেলার দক্ষিণ সুনামগঞ্জ থানার চন্দ্রপুর গ্রামের আফজাল উদ্দিনের পুত্র। এ ঘটনার পর ইমামকে পালিয়ে যেতে সহযোগিতা করার অভিযোগে পুলিশ মসজিদের মোয়াজ্জিনকে ও ইসলামপুর গ্রামের মখদ্দছ আলী (৬৩) নামের এক মাতব্বরকে গ্রেফতার করেছে। (২৯ সেপ্টেম্বর) মঙ্গলবার ধর্ষনের খবর প্রকাশ হওয়ার পর ইমাম পলাতক রয়েছেন। গ্রেফতার হওয়া মোয়াজ্জিনের বাড়ি সুনামগঞ্জ জেলার দক্ষিণ সুনামগঞ্জ থানার চন্দ্রপুর গ্রামের মাওলানা আরিফ উদ্দিনের ছেলে মাহফুজ বীন আরিফ (১৯)। এ ঘটনার পর ধষিতা কিশোরীর বড় বোন দিলারা বেগম বাদি হয়ে ইমাম রুহুল আমিন শাহাকে প্রধান আসামি করে আরো ৬ জনের নাম উল্লেখ করে এবং ৩/৪ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করে বিশ্বনাথ থানায় একটি ধর্ষণ মামলা দায়ের করেন, (মামলা নং-০১/২০২০ইং)।
এজহার সুত্রে জানাগেছে, ইমাম রুহুল আমিন দীর্ঘ ১৫ বছর যাবৎ ইসলামপুর গ্রামের আব্দুস শহীদের বাড়িতে লজিং থেকে জামেয়া ইসলামিয়া আব্বাসিয়া কৌড়িয়া মাদরাসায় লেখা পড়া শেষে ইসলামপুর জামে মসজিদে ইমামতি করতেন। কই বাড়িতে গৃহকর্মীর কাজ করতের ওই কিশোরী। সেই সুবাদে কিশোরীর প্রতি ইমামের কুনজর পড়ে যায়। একপর্যায়ে গত মঙ্গলবার রাতে আব্দুস শহীদের বাড়ির পূর্বপাশে আধাপাকা একটি ঘরে অর্থাৎ (যে ঘরে ইমাম থাকেন) কিশোরী ও ইমামকে পাওয়া যায়। কিশোরী জানায়, তার সাথে ইমামের একাধিকবার ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে। পরে বিষয়টি এলাকায় জানাজানি হলে ইমামকে পালিয়ে যেতে সহায়তা করে এলাকার কিছু বখাটে লোক। পুলিশ ধর্ষণে সহায়তাকারি দুজনকে গ্রেফতার করেছে। বৃহস্পতিবার সকালে তাদেরকে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে। তবে এলাকার সচেতন মহলের দাবি, এ ঘটনায় নিরিহ কোন লোক যাহাতে হয়রানির স্বীকার না হয় সে জন্য তারা পুলিশ প্রশাসনের কাছে সহযোগিতা চেয়েছেন।
এ ব্যাপারে বিশ্বনাথ থানার অফিসার ইনচার্জ ওসি শামিম মুসা ইনকিলাবকে জানান, ধর্ষণকারিকে সহায়তা করায় দু’জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে এবং বাকি আসামিদের গ্রেফতারে পুলিশ মাঠে কাজ করছে।