নিজস্ব প্রতিবেদক : সিলেটের বিশ্বনাথে দীর্ঘ ৩ মাস ১৯ দিন পর থানা পুলিশ কর্তৃক কবর থেকে এক
যুবকের লাশ উত্তোলন করা হয়েছে। তার নাম সুলতান মিয়া (২৭)। তিনি উপজেলার রামপাশা ইউনিয়নের উত্তর আজিজ নগর গ্রামের ইরশাদ আলীর ছেলে। আজ বুধবার
সকাল সাড়ে ১১টায় সিলেট জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সহকারি কমিশনার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট এনএম ইশফাকুল কবিরের উপস্থিতিতে ওই লাশ উত্তোলন
করা হয়।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, পেশায় যানবাহন শ্রমিক ছিলেন সুলতান মিয়া। গেল জুন মাসের ২১ তারিখ রাতে তাকে নিয়ে আসেন তার পরিচিত অন্য যানবাহন শ্রমিকরা। এসময় তিনি অসুস্থ বোধ করলে প্রথমে তাকে উপজেলা হাসপাতাল ও পরে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
পরদিন চিকিৎসাধীন অবস্থায় হাসপাতালেই মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন সুলতান। এরপর স্বাভাবিক ভাবেই গ্রামে সমাহিত করা হয় তাকে। এদিকে গেল ১৬ আগস্ট সুলতান
মিয়াকে হত্যা করা হয়েছে দাবী করে হত্যার বিচার চেয়ে সিলেট আদালতে মামলা দেন তার স্ত্রী নাছিমা বেগম। আদালতের নির্দেশে এটি বিশ্বনাথ থানায় হত্যা মামলা হিসেবে (নাম্বার-১৪, তাং-২০.০৮.২৩ইং) রেকর্ড করা হয়। মামলায় অভিযুক্ত করা হয় একই গ্রামের যানবাহন শ্রমিক হান্নানের ছেলে শাহীন (২৫), ফারুক আলীর ছেলে মুহিন (২১), জয়ফর আলীর ছেলে লুৎফুর রহমান (২০), ও দশদল গ্রামের নূর উদ্দিনের ছেলে সুমন (২০)কে।
এ বিষয়ে কথা হলে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই কবির উদ্দিন জানান, আবেদনের প্রেক্ষিতে আদালতের নির্দেশ প্রাপ্ত হয়ে, উত্তর আজিজ নগর জনৈক গৌছ আলীর পারিবারিক কবরস্থান থেকে সুলতানের লাশ উত্তোলন করা হয়। ভিকটিমের পুরো দেহ না পাওয়া গেলেও, শরীরের বিভিন্ন অংশের হাড়ের অংশ বিশেষ ও মাথার খুলি পাওয়া যায়। মৃত্যুে সঠিক কারণ নির্ণয়ের জন্য এগুলো ওসমানী হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে।