নিজম্ব প্রতিবেদক : সিলেটের বিশ্বনাথ উপজেলার অলংকারি ইউনিয়নের পিঠাকরা গ্রামে প্রতি বছর কতিপয় লোক ওরসের নামে অশ্লীলতার আয়োজন করলে প্রশাসন তা বার বার ভন্ডল করে দেয়। আগামি ৪ জানুয়ারি পিঠাকরা গ্রামের হযরত শাহ সিকান্দার (র.) দরগাহ শরিফের ভ‚মি জবর দখলের অসৎ উদ্দেশ্যে দুষ্টু প্রকৃতির কিছু লোক নাছ-গান, মদ-গাজা, হেরোইন ও উটতি বয়সের নারীদের সংগ্রহ করে অশ্লিলতার আয়োজন করে বড় অংকের টাকা রোজগার করে থাকে। মাজারের বর্ণিত ভ‚মির উত্তরাধিকারগণ নিরীহ ও আলেম প্রকৃতির হওয়ায় এ ধরনের কর্মকান্ডে বাঁধা দেয়ায় তাদেরকে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানী ও একাধিকবার শারীরিকভাবে লাঞ্চিত করা হয়। কিন্তু অশ্লীলতা বন্ধে প্রশাসন স্থায়ী কোন উদ্যোগ গ্রহণ করছেন না।
জেলা প্রশাসক বরাবরে দাখিলকৃত এক অভিযোগে জানা যায়, পিঠাকরা মৌজার জেএলনং-৩৫, এসএ খতিয়ান নং-২০ ও ২৪৮, এসএ দাগ নং-১০১৭, ১০১৮, ১০১৯, ৭০৬, ৭১৬ ও ৭১৮ এই ৬টি দাগে মোট ৩ একর ৩৬ শতক অতি মূল্যবান ভ‚মি রয়েছে। এই ভুমিতে হযরত শাহ জালালের সফরসঙ্গী ৩৬০আউলিয়ার একজন হযরত শাহ সিকান্দারের (র.) মাজার শরিফ রয়েছে। শাহ সিকান্দার (র.) হযরত শাহ জালাল (র.) ৩৬০ আউলিয়ার মধ্যে একজন তালিকাভ‚ক্ত মহান ওলী। কিন্তু পিঠাকরা গ্রামের কতিপয় প্রভাবশালি ও দুষ্টু প্রকৃতির লোকজন অর্থের বিনিময়ে ওয়াকফ প্রশাসক বাংলাদেশ, ঢাকা থেকে ওলীর নাম পরিবর্তন করে শাহ সুনামুদ্দিন গং মাজার এলাকায় একটি সাইবোর্ড দিয়ে ওরসের নামে অশ্লিলতা ও বেহায়াপনার আয়োজন করে। ইতিমধ্যে প্রায় বছর খানেক পূর্বে ওয়াকপের অনুমোদিত কমিটির মেয়াদও শেষ হয়েছে।
পিঠাকরা গ্রামের মৃত মো: সিকন্দর আলীর পুত্র মাওলানা ইলিয়াছ হুমাইদি জেলা প্রশাসক বরাবরে দাখিলকৃত এক আবেদনে এসব তথ্য উল্লেখ করে ওরসরে নামে অশ্লিলতা বন্ধের দাবি করেছেন। রেকর্ড ও কাগজপত্রাদি পর্যালোচনা করে দেখা যায়, ইলিয়াছ হুমাইদির ১১তম পূর্ব পুরুষ হলেন হযরত শাহ সিকান্দার। এ নিয়ে প্রশাসন ও হযরত শাহ জালালের মাজারের রেকর্ডপত্রের তাঁর দাবির পক্ষে তথ্য পাওয়া যায়। মাজারের ভ‚মি দখল ও অশ্লিলতার নামে টাকা রোজগার করতে পিটাকরা গ্রামের আখতার হোসেন নামক ব্যক্তি একটি বাহিনী গঠন করে মাজারটি দখলের চেষ্টা করছে। যে কোন সময় এখানে খুন খারাবির মত ঘটনা ঘটতে পারে।
বিশ্বনাথ থানার ওসি রমা প্রসাদ চক্রবর্তী বলেন, অনুলিপির কপি পেয়েছি, ব্যবস্থা নিতে হবে ইউএনও স্যার।