বিশ্বনাথে ওয়া’রেন্ট’ভুক্ত প-লা-তক ৩ আ-সা-মি গ্রে-ফ-তার

অপরাধ বিশ্বনাথ সিলেট
শেয়ার করুন

নিজস্ব প্রতিবেদক :: বিশ্বনাথ থানা পুলিশের অভিযানে ওয়ারেন্টভুক্ত পলাতক ৩ আাসামিকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। গতকাল রাতে উপজেলার বিভিন্ন স্থানে অভিযান পরিচালনা করে তাদেরকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারকৃতরা হলেন, দশঘর ইউনিয়নের চান্দভরাং (হুপির পার) গ্রামে মৃত ছমেদ উল্লার পুত্র চেরাগ আলী ও তার ভাই তেরাব আলী, চেরাগ আলীর পুত্র জাহেদ মিয়া, (মামলা নং-৩৮৯/২৩ইং)।

এই মামলার বাদী আব্দুস সালাম একজন শ্রমিক। তিনি চুক্তি ভিত্তিক বিভিন্ন লোকজনের বাড়ীঘর, রাস্তা ঘাটে মাটি ভরাটসহ পুকুর খননের কাজ করেন। আসামিরা তাদের বাড়ীর পূর্ব দিকের রাস্তা ও পুকুরে মাটি ভরাটের জন্য আব্দুস সালামের সাথে একটি লিখিত ২লাখ ৮০হাজার টাকায় চুক্তি করা হয়। শর্তে টাকাগুলো বিবাদী সোনাফর আলী বাদী আব্দুস সালামকে ৩ কিস্তিতে পরিশোধ করিবেন। চুক্তিনুযায়ী বাদী ৩ টি ট্রাক ও ১ টি এক্সাভেটর ভাড়ায় আনেন এবং কাজ শুরু করার প্রক্কালে বিবাদী সোনাফর আলী পরিবারের অন্যান্য লোকজনের সাথে বুঝাপড়ার কথা বলিয়া ৩ দিন কাজ বন্ধ রাখেন। এতে বাদী আব্দুস সালাম এক্সাভেট ও ট্রাক ভাড়া বাবত ভর্তুকি আসে ৯৮হাজার টাকা।

এদিকে কাজ বন্ধ থাকায় ক্ষয়ক্ষতির বিষয়ে বাদী আসামী সোনাফর আলী বলেন, কাজ শেষে বিবেচনা করিবেন মর্মে বাদীকে মৌখিক আশ্বাস দেন। বাদী চুক্তিনুযায়ী বিবাদীর বাড়ীর রাস্তা এবং পুকুরের মাটি ভরাটের কাজ সম্পন্ন করেন। কাজ চলাকালীন সময়ে বিবাদী সোনাফর আলী বাদীকে ৪ টি কিস্তিতে মোট ১লাখ ৪৫হাজার টাকা পরিশোধ করেন। চুক্তিনুযায়ী মাটি ভরাটের কাজ সমাপ্তের পর বাদী, বিবাদী সোনাফর আলীর নিকট তাহার যাবতীয় পাওনা টাকা চাহিলে বিবাদী সোনাফর আলী সময় ক্ষেপন করতে থাকেন। এক পর্যায়ে এলাকার গ্রাম্যভাবে সালিশ বৈঠক করেও টাকা না পেয়ে এই মামলা করেন। দীর্ঘ তদন্ত শেষে (পিবিআই) আদালতে আসামিদের বিরুদ্ধে প্রতিবেদন দাখিল করেন।

গ্রেফতারকৃত অন্য দুই নারী আসামি হলেন, দতা গ্রামের রুমন মিয়ার স্ত্রী নাজিরা বেগম, (মামলা নং-৩৭৯/২৪ইং), ও মিয়াজানেরগাও গ্রামের নুরুল ইসলামের স্ত্রী রিনা বেগম, (মামলা নং-৭/২৫ইং)।

গ্রেফতারকৃত আসামিদের আজ আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।

আাসামিদের গ্রেফতারের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন থানা ওসি এনামুল হক চৌধরী।


শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *