নিজস্ব প্রতিবেদক :: সিলেটের বিশ্বনাথ উপজেলার দৌলতপুর ইউনিয়নের উত্তর দৌলতপুর গ্রামের সাবেক ইউনিয়ন পরিষদ সদস্য আনোয়ার হোসেন (ধনমিয়ার) বিরুদ্ধে নিরীহ লোকজনের উপর সাজানো মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করছেন মর্মে অভিযোগ উঠেছে। আনোয়ার হোসেনের অত্যাচারে গ্রামের লোকজন অতিষ্ট ও ভীত সন্ত্রস্ত। তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ ও সাজানো মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের জন্য বৃহস্পতিবার (১২সেপ্টেম্বর) সিলেট রেঞ্জের উপমহা পুলিশ পরিদর্শক (ডিআইজি) বরাবরে লিখিত অভিযোগ দেয়া হয়েছে।
অভিযোগে উল্লেখ রয়েছে, উত্তর দৌলতপুর গ্রামের মস্তফা মিয়া ও সফিক মিয়ার দৌলতপুর মৌজার ৩৮০৯নং দাগের ভূমির উপর মসজিদের রাস্তা নির্মাণের নামে আনোয়ার হোসেন ও তার লোকজন একটি দেয়াল নির্মাণ করেন। এতে ভুমির মালিক মস্তফা মিয়া নিরুপায় হয়ে সেনাবাহিনীর নিকট অভিযোগ করলে তারা দ্রুত ঘটনাস্থলে গিয়ে প্রতিপক্ষ আনোয়ার হোসেন গংদের জোরপূর্বক নির্মাণকৃত দেয়াল ভেঙ্গে দেয়ার নির্দেশ দেন। পরদিন আনোয়ার হোসেন গংরা নির্মাণকৃত দেয়াল ভেঙ্গে দেয়। কিন্তু সেনাবাহিনী বিশ্বনাথ থেকে চলে যাওয়ার পর, দেয়াল নির্মাণকারিরা ভুমির মালিকের বিরুদ্ধে থানায় দেয়াল ভাঙ্গা, মসজিদের দান বাক্স, ২টন রড ও একটি জেনারেটর চুরির অভিযোগ করলে থানা পুলিশ আমলে নেয়নি।
পরে গত ৯সেপ্টেস্বর আনোয়ার হোসেন আইন শৃঙ্খলা বিঘœকারি অপরাধ (দ্রুত বিচার) আইন এর ৪/৫ ধারা মতে ভুমির মালিকসহ গ্রামের ৯জনের বিরুদ্ধে সিলেটের দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে বিশ্বনাথ সিআর মামলা নং-৫০/২০২৪ইং, দায়ের করেন। আদালত মামলাটি এফআইআর গণ্যে ওসি বিশ্বনাথকে ২দিনের মধ্যে তদন্ত রিপোর্ট দাখিলের নির্দেশ প্রদান করেন। আদালতের নির্দেশে থানা পুলিশ মামলাটি রেকর্ড করে এবং তদন্তকারি কর্মকর্তা এসআই মোয়াজ্জেম হোসেন গত ১২সেপ্টেম্বর দুপুরে সরেজমিনে তদন্তে যান। আনোয়ার হোসেন নিজে দেয়াল নির্মাণ করে, পূণরায় ভেঙ্গে মামলা দায়ের করায় এলাকায় তার বিরুদ্ধে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।
এ মামলার ২নং আসামি প্যারালাইসিস রোগী, গোলাম কিবরিয়া একজন মাওলানা মুফতি, ফাহিম আহমদ, জামিল আহমদ ১০ম শ্রেনীর ছাত্র, এমাদ আহমদ, শেখ সাব্বির আহমদ সিলেট শহরে থাকেন। মামলার ঘটনার তারিখ ও সময়ে তারা এলাকায় ছিলেন না। গত বছর একই ভুমিতে জোর পূর্বক মাটি কাটা নিয়ে এই পরিবারের ৬জনকে কুপিয়ে মারাত্বক জখম করা হয়। এনিয়ে মামলা আদালতে বিচারাধীন রয়েছে। মামলার আসামি মুফতি গোলাম কিবরিয়া বলেন, যারা মহান সৃষ্টিকর্তাকে বিশ্বাস করেনা তারাই একমাত্র এ ধরনের মিথা মামলা দায়ের করে হয়রানী করতে পারে। নিজেরা আমাদের জমিতে জোর পূর্বক দেয়াল নির্মাণ করে সেনাবাহিনীর নির্দেশে ভাঙ্গার পর এই সাজানো মামলা দায়ের করা হয়েছে।
মামলার তদন্তকারি কর্মকর্তা এসআই মোয়াজ্জিন হোসেন জানান, বিষয়টি তদন্ত করা হচ্ছে। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, যৌথবাহিনী দেয়াল ভাঙ্গা নির্দেশের সময় আমি উপস্থিত ছিলাম।