বিশ্বনাথে ইয়াবা কারবারিদের রিমান্ড শেষ : গুরুত্বপূর্ণ তথ্য দিয়েছে তবারক

Uncategorized
শেয়ার করুন

স্টাফ রিপোর্টার :সিলেটের আলোচিত ইয়াবা কারবারি তবারক আলী ও তার সহযোগি ওয়াহিদ মিয়ার ৫দিনের রিমান্ড গত (১৮ মার্চ) বুধবার শেষ হয়েছে। ওপর দুই আসামি সাগর হাওলাদার ও ইমন জমাদ্দার এ দুজনকে জেল গেইটে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। মামলার তদন্তকারি কর্মকর্তা সিলেট গোয়েন্দা পুলিশের এসআই মফিজুর রহমান জিজ্ঞাসাবাদ শেষে আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করেছেন। জিজ্ঞাসাবাদে আসামিগণ মাদক ব্যবসার সাথে জড়িত ও তাদের মাদক সিন্ডিকেট সম্পর্কে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য প্রদান করেছেন। মাদক পাচারের পরিবহণরোড পৃষ্টপোষক ও সিন্ডিকেটের অন্যান্য সদস্যদের নাম বলেছে। এসব তথ্য যাচাই বাচাই করা হচ্ছে বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে। যে বাসা থেকে তবারক আলীকে গ্রেফতার করা হয়েছে সেখানে ৪/৫ জনের একটি দল ইয়াবা পরিবহণ ও বিক্রয়ের সাথে জড়িত বলে স্থানীয় একটি সুত্র জানিয়েছে। ইয়াবা ব্যবসার কারনে জনৈক ব্যক্তি বাসা নির্মাণের জন্য জায়গার ব্যবস্থা করে দিয়েছেন। এর উপহার স্বরূপ ইউরোপের একটি দেশে তবারক আলী একজনের পুত্রকে ৭০ লাখ টাকা দিয়ে একটি দোকানে ব্যবসা চালু করে দিয়েছেন। অপর দুই তিন জন হঠাৎ করে টাকা ওয়ালা হয়েছেন। এ বিষয়ে অনেক পূর্বেই ইয়াবা ব্যবসার সাথে জড়িতদের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছিল। কিন্তু এখনও এ ব্যপারে কোন তদন্ত হয়নি। তবারকের সাথে এ এলাকার যাদের সম্পর্ক রয়েছে তাদের ব্যাংক একাউন্ট তদন্ত করলে টাকা লেনদেনের ব্যাপারটি বেরিয়ে আসবে।
এদিকে তবারক আলী ব্যবসার সকল বাঁধার দরজা জানালা ছিদ্র বন্ধ করে নির্বিগ্নে ব্যবসা করার পর হঠাৎ গ্রেফতার হওয়ায় তার সিন্ডিকেটদের মধ্যে আতঙ্ক ও হতাশা বিরাজ করছে। তবারকের সাথে যাদের ঘনিষ্ট সম্পর্ক ও খুচরা পাইকারি ব্যবসায় জড়িত ছিলেন, তাদের কেউ কেউ অন্যত্র সরে গেছেন। আবার কিছু লোক নিজেকে ধোয়া তুলসি পাতা হিসেবে সমাজে জাহিরও করছেন।
গোয়েন্দ পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেফতারকৃতরা অনেক গুরুত্বপূর্ণ তথ্য দিলেও আদালতে ১৬৪ ধারা মতে জবানবন্দি হয়নি। একজন সিনিয়র আইনজীবি জানিয়েছেন এ ধরনের রাষ্ট্রীয় গুরুত্বপূর্ণ মামলায় ন্যায় বিচারের স্বার্থে আদালতে ১৬৪ ধারা জবানবন্দি গ্রহন অতি গুরুত্বপূর্ণ।
মামলার তদন্তকারি কর্মকর্তা গোয়েন্দা পুলিশের এসআই মফিজ জানান, তবারক আলী জিজ্ঞাসাবাদে মুখ খুলছেনা। তবে গুরুত্বপূর্ণ কিছু তথ্য দিয়েছে। যা যাচাই বাছাই-বাছাই করা হচ্ছে। অপর এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলে, প্রয়োজন হলে ১৬৪ ধারা মতে জবানবন্দি গ্রহণ করা হবে।


শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *