বিশ্বনাথ হাসপাতালে বন্যার্তদের আশ্রয়ের নামে তালা ভেঙ্গে ওয়ার্ড দখল

বিশ্বনাথ সিলেট
শেয়ার করুন

নিজস্ব প্রতিবেদক :: সিলেটের বিশ্বনাথ উপজেলা হাসপাতালে গত ২০জুন বৃহস্পতিবার স্থানীয় কতিপয় যুবক উদ্দেশ্য প্রনোদিতভাবে বিনানুমতিতে জোর পূর্বক হাসপাতালে ঢুকে ৩য় তলার একটি তালা বদ্ধ ওয়ার্ডের তালা ভেঙ্গে বন্যা কবলিত কিছু লোককে ঢুকিয়ে দেয়। তারা হাসপাতাল কতৃপক্ষকে বন্যার্থদের আশ্রয় দেয়ার কথাটি জানায়নি। স্বাস্থ্য কর্মকর্তা কিছু লোকের সাথে রান্না করার হাড়ি-পাতিল, বাসন কোষন, কাপড় ছোপড় এবং বিপদজনক গ্যাস সিলিন্ডার, ঘটনার সময় লোকজনের হাক চিৎকার দেখে হাসপাতালের ভতিকৃত রোগীদের নিরাপত্তার কথা চিন্তা করে পাশের আশ্রয় কেন্দ্রে তাদের নিয়ে যাওয়ার অনুরোধ করলে কয়েকজন যুবক বিশৃংখলা সৃষ্টির চেষ্টা করে এবং তারা ভানবাসি মানুষকে হাসপাতালে স্থান দেয়া হয়নি বলে মোবাইলে অপপ্রচার চালায়। এ ঘটনার মুল কারন হচ্ছে, হাসপাতালে ইতিপূর্বে কতিপয় যুবক আউট সোর্সিং হিসেবে হাসপাতালে কাজ করত। কিন্তু হাসপাতালের ঔষধপত্র চুরি ও নানা অপকর্মে জড়িত থাকায় তাদেরকে অব্যাহতি দেয়া হয়। এ ঘটনার জের ধরে ঐ যুবকরা বৃহস্পতিবার কিছু লোকদের জড়ো করে বন্যার্থদের নিয়ে হাসপাতালে ঢুকে মিথ্যা তথ্যদিয়ে বিশৃংখলা সৃষ্টি করে ব্যর্থ হয়।

উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. দোলোয়ার হোসেন সুমন এ ঘটনায় উর্ধতন কতৃপক্ষের অনুমোতি নিয়ে আজ শনিবার স্থানীয় সাংবাদিকদের বৃহস্পতিবারের ঘটনার বিবরণ দেন। ডা: সুমন বলেন, আমি একজন মানুষ এবং চিকিৎসক, ভানবাসি মানুষকে সহায়তা করা আমার মানবিক দায়িত্ব। কিন্তু বন্যায় আক্রান্ত মানুষের জন্য কাদিপুর শাহ জালাল পল্লী পরিষদ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে আশ্রয় কেন্দ্রে যতেষ্ট খালি জায়গা থাকা সত্বেয় হাসপাতালের একটি ওয়ার্ডের তালা ভেঙ্গে প্রবেশ করার কারণই হচ্ছে বিশৃংখা সৃষ্টি করা। তাছাড়া ঐ যুবকরা আমার বিরুদ্ধে হাসপাতালে একটি সিনক্রেট করারও চেষ্টা করে। তাদের এই ঘটনা বেআইনি অন্যায় ও অনামবিক। এ যুবকরা হাসপাতাল এলাকায় বসবাস করায় ইতিপূর্বে হাসপাতালে আধিপত্ব করে আসছিল। কিন্তু আমি যোগদানের পর হাসপাতালের সকল অনয়ম ও আধিপত্ব বিস্তারের ঘটনা রুখে দেই। এ যুবকরা তাদের পরিচিত ও সম্পর্কিত দেশ বিদেশের লোক দিয়ে মোবাইলে অপপ্রচার চালায়। আমি এ ঘটনার নিন্দা জানাই এবং আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণে উর্ধতন কতৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষন করছি। বন্যায় ক্ষতিগ্রস্থ মানুষকে যেমন সহযোগীতা করা মানবিক দায়িত্ব তেমনি সরকারের দায়িত্বপ্রাপ্ত একজন স্বাস্থ্য কর্মকর্তা হিসেবে উপজেলা বাসির এই প্রতিষ্টানটি রক্ষা করাও আমার নৈতিক দায়িত্ব। এ বিষয়ে কেউ বিভ্রান্তি না হয়ে হাসপাতালের সুষ্টু পরিবেশ ফিরিয়ে আনার সহায়তা কামনা করছি। বিষয়টি মাননীয় প্রবাসি কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মাননীয় প্রতিমন্ত্রী, নির্বাহী কর্মকর্তা, থানা পুলিশসহ সংশ্লিষ্ট উর্ধতন কর্মকর্তাদের অবহিত করা হয়েছে। সাংবাদিক বন্ধুরা, সেই দিন কার পুরো বিষয়টি আপনারা অনুসন্ধান করলে আমার বক্তব্য সঠিক পাবেন বলে বিশ্বাস করি।


শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *