বিশ্বনাথ প্রবল বন্যা : আর পানি বাড়লে মহা বিপদ

বিশ্বনাথ সারাদেশ সিলেট
শেয়ার করুন

নিজস্ব প্রতিবেদক :: সিলেটের সবকটি উপজেলা বন্যা কবলিত হয়েছে। সুরমা ও কুশিয়ারা নদীর পানি বিপদ সীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হওয়ায় জকিগঞ্জ, গোলাপগঞ্জ, বিয়ানী বাজার, জৈন্তাপুর, গোয়াইন ঘাট, কানাইঘাট, কম্পানিগঞ্জ, ছাতক উপজেলায় বাড়ি ঘরে কোমর পানি। পানিবন্ধি মানুষ আশ্রয়ের সন্ধান খুজে কোথাও যেতে পারছেনা। নৌকার অভাবে ঘরের ভেতর কাঠ বাশ দিয়ে মাচাং তৈরি করে কোন রকম দিন যাপন করছেন। সবকটি উপজেলার কাচা পাকা সড়ক, শিক্ষা প্রতিষ্টান পানির নীচে তলীয়ে গেছে। সিলেট শহরের উপশহর খাদিম উসমানী মেডিকেল কলেজ বিমানবন্দর এলাকায় ২০২২সালের বন্যার চেয়েও বেশি পানি হয়েছে। শহরের বাসিন্ধারা আশ্রয়ের সন্ধানে ছোটাছুটি করছেন।

গত কয়েক দিনের অবিরাম বৃষ্টি ও উজান থেকে আসা পাহাড়ি ঢলে বিশ্বনাথ উপজেলার বন্যা পরিস্থিতি মারাত্বক আকার ধারন কেরেছে। সুরমা নদীর পানি বিপদ সীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হয়ে লামাকাজি, খাজাঞ্চি, দৌলতপুর, রামপাশা, দশঘর, দেওকলসসহ প্রতিটি ইউনিয়নের বাড়ি-ঘরে পানি প্রবেশ করেছে। রাস্তাঘাট পানির নিচে তলীয়ে গেছে। সিলেট ছাতক রেল লাইনে ভাঙ্গনের খাল দিয়ে তীব্র গতিতে পানি প্রবেশ করছে। আজ রাতের মধ্যেই পানি বিপদ সীমা অতিক্রম করলে পানিবন্ধি মানুষকে উদ্ধার কঠিন হয়ে পড়বে। ইতিমধ্যে বন্যার পানিতে রবিশস্য ফসল, হাঁস মোগর ও মাছের খামারে বেশ ক্ষয়কতি হয়েছে। লামাকাজি, খাজাঞ্চি, দশঘর ও দেওকলস ইউনিয়নে নির্মিত আশ্রয়ন প্রকল্পের ঘরগুলোতে হাঁটু পানি। বিশেষ করে লামাকাজির সুরমার তীরে বায়নপুর ও ভাটপাড়া আশ্রয়ন প্রকল্প মারাত্বক ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। নীচু ভুমিতে তৈরী আশ্রয়ন প্রকল্পগুলো ঠিকাদাররা নির্মাণ কালীণ সময়ে ভিটা উচু না করায় অল্প বন্যা বা বৃষ্টিতে আশ্রয়ণ প্রকল্পের ঘরগুলো ডুবে যায়।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শাহিনা আক্তার বলেন, কয়েকটি আশ্রয়ন প্রকল্পের ঘরে পানি ঢুকেছে। আমি সরেজমিন দেখে এসেছি এবং সরকারের দেয়া কিছু শুকনো খাবার ও চাল সংশ্লিষ্ট চেয়ারম্যানের নিকট পাঠিয়ে দিয়েছি।


শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *