স্টাফ রির্পোটার: বিশ্বনাথ উপজেলার ঐতিহ্যবাহী দেওকলস দ্বি-পাক্ষিক উচ্চ বিদ্যালয়কে উচ্চ মাধ্যমিক পর্যায়ের প্রাতিষ্ঠানিক স্বীকৃতি প্রদান করা হয়েছে। বিদ্যালয় ও কলেজের শিক্ষক, কর্মচারীদের বেতন সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের নিজস্ব তহবিল হতে পরিশোধ করার শর্তে এ স্বীকৃতি প্রদান করা হয়। গত ৬মে শিক্ষা মন্ত্রনালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগ বেসরকারি মাধ্যমিক-২ শাখার উপ-সচিব আনোয়ারুল হক সিলেট শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান বরাবরে প্রেরিত এক নিদের্শনার এ তথ্য জানান। প্রতিষ্ঠানটি ১৯৭২সাল থেকে সম্পূর্ণ বিনা বেতনে শিক্ষার্থীদের লেখাপড়ার সুযোগ করে দেয়া হয়েছিল। ২০০০সাল থেকে দেওকলস ডেভলাপমেন্ট ট্রাষ্ট ইউকে প্রতিষ্ঠানটির যাবতীয় ব্যয়ভার গ্রহণ করে আসছে। এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন যুক্তরাজ্য প্রবাসী বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ আজম খান।
১৯৯৮সালে প্রতিষ্ঠানটি বাংলাদেশের সেরা মাধ্যমিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের স্বীকৃতি লাভ করে এবং সে সময় বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ও প্রতিষ্ঠানটির প্রাক্তন ছাত্র মরহুম আব্দুল মুকিত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নিকট থেকে শ্রেষ্ট শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের স্বীকৃতির সনদপত্র গ্রহণ করেন। প্রতিষ্ঠানের এমন সংবাদে তৎকালিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মরহুম আব্দুস সামাদ আজাদ বিদ্যালয়ে এক অনুষ্ঠানে এসে শিক্ষার উন্নতি, লেখা-পড়ার গুণগত মান ও সুন্দর পরিবেশ দেখে সন্তুষ প্রকাশ করেন। গ্রামের প্রত্যন্ত অঞ্চলে এমন একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান দেখে মন্ত্রী সকলের ভূয়সীপ্রশংসা করেছিলেন। বিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতা প্রধান শিক্ষক আবুল কাশেম মাত্র ৩জন ছাত্র নিয়ে ছন-বেতের ঘরে বিদ্যালয়ের যাত্রা শুরু করেছিলেন। আবুল কাশেম এর বাড়ী কুমিল্লা জেলায়। তাঁর অক্লান্ত পরিশ্রম ও এলাকাবাসীর সহযোগিতায় বিদ্যালয়টি তিলে তিলে অগ্রসর হয়ে সেরা প্রতিষ্ঠানের গৌরব অর্জন করে উচ্চ মাধ্যমিক স্তরে উন্নতি হওয়ায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও শিক্ষামন্ত্রনালয় সংশ্লিষ্ট সবার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে শুভেচ্ছা জানান।