বিশ্বনাথ চাউলধনী হাওরের কৃষকরা মামলায় জর্জরিতঃ হয়রানী বন্ধ না হলে কঠোর আন্দোলন

Uncategorized
শেয়ার করুন

নিজস্ব প্রতিবেদক: বাংলাদেশের কৃষি ভিত্তিক অর্থনীতির মেরুদন্ড হচ্ছে কৃষি ও কৃষক সমাজ। কৃষকের মাথার ঘাম পায়ে ফেলার পরিশ্রমের কারনে বাংলাদেশ আজ খাদ্যে স্বয়সম্পূর্ণ। কৃষিবান্ধব প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তার সরকার শতশত কোটি টাকা কৃষি উন্নয়নে ব্যয় করছেন। কিন্তু অবিশ্বাস্য হলে সত্য যে, বিশ্বনাথের কয়েক হাজার কৃষক তাদের ইরি-বোরো জমিতে পানির সেচ ও ভূমি রক্ষায় আন্দোলন করতে গিয়ে মামলায় জর্জরিত হয়ে পড়েছেন। থানা পুলিশের সহায়তায় চাউলধনী হাওরের কথিত লীজ গ্রহীতার একটি সিন্ডিকেট উপজেলার দৌলতপুর ও দশঘর ইউনিয়নের চাউলধনী হাওর পারের আন্দোলনরত কৃষকদের বিরুদ্ধে একেরপর এক সাজানো, মিথ্যা ও কাল্পনিক মামলা দিয়ে হয়রানী করছেন। চলতি বছর চাউলধনী হাওরের কথিত লীজ গ্রহীতা দশঘর মৎসজীবি সমবায় সমিতি ও তাদের বাহিনী হাওরের পানি প্রত্যাহার করে দেয়ায় কয়েক হাজার একর ইরি-বোরো জমিতে উৎপাদন ব্যহত হয়। প্রায় চার হাজার একর জমিতে চারা রোপন করা সম্ভব হয়নি। সরকার ২.৭৮ একক জলাশয় ইজারা দিলেও হাওরে প্রায় ৮/১০ হাজার একক জমি রয়েছে। এই সুযোগে লীজ গ্রহীতা ও তার বাহিনী নিরিহ কৃষকদের খাল, বিল, পুকুর, নালা, জলাশয় ইজারার নামে জবরদখল করার চেষ্টা করছে। এতে কৃষকরা বাধা দেয়ায় সরকারি ভূমি লীজের অজুহাতে বড় অংঙ্কের টাকা লেনদেনের মাধ্যমে ইতিমধ্যে চাঁদাবাজীসহ প্রায় ৫০/৬০জন কৃষকের বিরুদ্ধে ৬টি মামলা দায়ের করা হয়েছে। এসব মামলায় কৃষকরা চরমভাবে হয়রানী ও ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছেন। তারা এসব সাজানো মামলা প্রত্যাহার করা না হলে আন্দোলনে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন। ইতিমধ্যে কৃষকরা ও তাদের দেশে বিদেশে থাকা আত্মীয় স্বজনরা একত্রিত হয়ে আন্দোলনের প্রস্তুতি গ্রহণ করছেন।
গত ৯ মার্চ দশঘর নোয়াগাঁও গ্রামের মৃত আব্দুল জব্বারের পুত্র আব্দুল জলিল ৩২জনের নাম উল্লেখ করে এবং ৩০/৩৫জনকে অজ্ঞাতনামা আসামী করে বাংলাদেশ দন্ডবিধি আইনের ৩২৮/১৪৩/৪৪৭/৫০৬ (২) ৩৪ ধারা মতে বিশ্বনাথ থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। মামলা নং-১১, তারিখ: ০৯-০৩-২০২১ইং। বাদী মামলার এজারে উল্লেখ করেন যে, গত ২৮ ফেব্রুয়ারী আসামীরা মৌখালী বিলে অস্ত্র, সস্ত্র সজ্জিত হয়ে টিনের কোঠার মুখ খুলে পানিতে বিষ ঢেলে ১০ থেকে ১৫ লক্ষ টাকার মাছ মেরে ক্ষতি সাধন করে এবং পাহারাদারদের গালিগালাজ করে পালিয়ে যায়। স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ মামলাটি সম্পূর্ণ সাজানো ও কাল্পনিক। এই মামলার সকল আসামীরা ইতিমধ্যে আদালত থেকে জামিনে মুক্তিলাভ করেছেন।

মামলাটি তদন্ত করছেন বিশ্বনাথ থানার এসআই গাজী মোয়াজ্জেম হোসেন। কয়েকদিন পূর্বে আদালতে আরেকটি নন এফাইয়ার মামলা দায়ের করা হয়।
এভাবে একেরপর এক মামলা দিয়ে নিরিহ কৃষকদের হয়রানী করা হচ্ছে। এলাকাবাসী এসব মামলা প্রত্যাহারের দাবী জানিয়েছেন।


শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *