নিজস্ব প্রতিবেদক :: বিশ্বনাথ উপজেলা পরিষদের সম্প্রতি অনুষ্ঠিত হওয়া নির্বাচনে মোট ১১জন চেয়ারম্যান পদে প্রার্থী ছিলেন। এর মধ্যে একজন প্রার্থী মনোনয়ন প্রত্যাহার করলে ১০জনের মধ্যে ৬জনেরই নমিনেশন বাজেয়াপ্ত হয়েছে। কেউ কেউ ক্ষমতা, গায়ের জোরে ও অর্থ বলে বিজয়ী হওয়ার চিন্তা ভাবনা নিয়ে প্রার্থী হয়েছিলেন। কিন্তু এমন খায়েশ কারো পুরণ হয়নি। নির্বাচন শেষ হলেও দুইজন প্রার্থী এখন পেঁপে গাছের ডালে অবস্থান করছেন।
বৈরাগী বাজার থেকে পশ্চিম দিকে ব্রিজ পার হয়ে দক্ষিণ মুখি মোড়ে গিয়ে হাতের ডানে একটি জমিতে পেঁপে গাছের একটি বাগান রয়েছে। এই বাগানে পেঁপে গাছের ডালে কয়েকজন চেয়ারম্যার প্রার্থীর ছবিসহ বিলবোর্ড টানানো রয়েছে। রিকশা সিএনজিতে করে আসা-যাওয়া লোকজন এসব বিলবোর্ড দেখে নেমে দাঁড়িয়ে বিলবোর্ড গুলো দেখছেন। দুপুর ১১টার দিকে এ প্রতিবেদক রাস্তা দিয়ে যাওয়ার সময় কিছু লোক দাঁড়িয়ে পেঁপে গাছের দিকে তাকিয়ে কিছু যেন দেখছিলেন। লোকজনের ভীড় দেখে এ প্রতিবেদকও গাড়ি থেকে নেমে চর্তুদিকে তাকাচ্ছিলেন। কিন্তু কিছুই বুঝতে পাছিলেন না। লোকজনকে জিজ্ঞাসা করলেন এখানে কি হয়েছে। কেউ কোন কথা না বললেও একজন বললেন দুজন চেয়ারম্যান প্রার্থী পেঁপে গাছের ডালে বসে কাঁদছেন। বুঝার আর কিছু বাকি রইলনা।
এই পেঁপে বাগানের মালিক হচ্ছেন, রহমান নগর গ্রামের নুর মিয়া। তার কাছ থেকে জানাগেল অনেক চেয়ারম্যান প্রার্থী তার পেঁপে বাগানের পাশের গাছগুলোতে লোহা দিয়ে বিলবোর্ড গুলো গাছে টানিয়ে রাখছিলেন। এতে গাছের কষ্ট হচ্ছিল মনে করে বিলবোর্ড গুলো নামিয়ে পেলেন। একপর্যায়ে একজন চেয়ারম্যান প্রাথী তার মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করেন এবং অন্যদের অনেকেই পরাজিত হয়েছেন। তাই পরাজিত প্রার্থীদের যাতে লোকজন ভুলে না যান, সেজন্য তিনি মায়া করে বিলবোর্ড গুলো খুটি দিয়ে পেঁপে গাছের ডালে বেঁধে রাখছেন। এতে অনেক লোকজন ছবির দিকে তাকিয়ে তার পেঁপে বাগান দেখে খুশি মনে বা কিছু বিনোদন নিয়ে ফিরে যাচ্ছেন।
নুর মিয়া জানালেন, এজন্য তাকে অনেকেই টেলিফোনে ধন্যবাদও জানিয়েছেন এবং চেয়ারম্যান প্রার্থীদের বিলবোর্ডের কারনে তার পেঁপে গাছের সুনাম এখন চারিদিকে ছড়িয়ে পড়েছে।